বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সাইয়্যেদা আঈশা রাদি. বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। উত্তরে তিনি বলেন—
أَنَّهُ كَانَ عَذَابًا يَبْعَثُهُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ فَجَعَلَهُ رَحْمَةً لِلْمُؤْمِنِينَ فَلَيْسَ مِنْ رَجُلٍ يَقَعُ الطَّاعُونُ فَيَمْكُثُ فِي بَيْتِهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا يَعْلَمُ أَنَّهُ لَا يُصِيبُهُ إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ الشَّهِيدِ
“মহামারী হলো, আযাব। যাদের ওপর ইচ্ছে, আল্লাহ এ আযাব পাঠান। পরিশেষে তিনি তা ঈমানদারদের জন্য রহমত বানিয়ে দেন এভাবে যে, কোনো বান্দা যদি মহামারী আক্রান্ত এলাকায় থাকে এবং সেসময় নিজ বাড়িতে ধৈর্য সহকারে, সাওয়াবের নিয়তে এ বিশ্বাস বুকে নিয়ে অবস্থান করে যে, আল্লাহ তাআলা তাকদিরে যা চূড়ান্ত রেখেছেন, তার বাইরে কোনো কিছু তাকে আক্রান্ত করতে পারবে না, তাহলে তার জন্য রয়েছে একজন শহিদের সমপরিমাণ সাওয়াব।”
তথ্যসূত্র :
মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং : ২৬১৮২
মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং : ২৬১৮২
বিখ্যাত হাদিস বিশ্লেষক শুয়াইব আরনাউত রহ. বর্ণনার মান নির্ণয় করে বলেন,
إسناده صحيح على شرط البخاري.
সুবহানাল্লাহ, এই মহামারী আমাদের জন্যে কত বড় রহমত যে,
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই দিনগুলোতে আমরা স্রেফ সঠিক বিশ্বাস লালন করে ঘরে অবস্থান করে দুআ, তাওবা, ইসতিগফার ও ইবাদত পালন করে গেলেই শহিদের সাওয়াব পেয়ে যাব।
তারপরও কি আমরা বুঝব না!Collected
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন