* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

বুধবার, ২৭ মে, ২০২০

নবী করিম ﷺ - বলেছেন ১২ জন মানুষ সবচেয়ে সর্বোত্তম !


★১. রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﻣَﻦْ ﺗَﻌَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻭَﻋَﻠَّﻤَﻪُ ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৫০২৭) . 

★২. রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣَﺎﺳِﻨُﻜُﻢْ ﺃَﺧْﻼَﻗًﺎ ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬০৩৫) . 

★৩. রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ২৩০৫) . 
★৪. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ২২৬৩/২৪৩২) . 

★৫. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে ভালো।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর : ৪১৭৭) . 

★৬. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ﺧِﻴَﺎﺭُﻛُﻢْ ﺃَﻃْﻮَﻟُﻜُﻢْ ﺃَﻋْﻤَﺎﺭًﺍ ﻭَﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟًﺎ তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে তোমাদের মধ্যে বয়সে বেশি এবং (নেক) কাজে উত্তম। . (আহমাদ ৭২১২, ৯২৩৫, সিঃ সহীহাহ ১২৯৮) . 

★৭. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃﻧْﻔَﻌُﻬُﻢْ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সেই ব্যক্তি, যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। . (সহীহুল জামে’ হা/ ৩২৮৯, দারাক্বুত্বনী, সিঃ সহীহাহ ৪২৬) . 

★৮. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ﻣَـﺨْﻤُﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ ﺻَﺪُﻭْﻕِ ﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥِ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺻَﺪُﻭْﻕُ ﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥِ ﻧَﻌْﺮِﻓُﻪُ ﻓَﻤَﺎ ﻣَـﺨْﻤُﻮﻡُ ﺍﻟْﻘَﻠْﺐِ ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন ও মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! সত্যবাদী মুখ বোঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী কে? রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ ও নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ। . (ইবনে মাজাহ ৪২১৬ ,সহিহুল জামে, হাদিস : ৩২৯১) . 

★৯. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻷَﺻْﺤَﺎﺏِ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮُﻫُﻢْ ﻟِﺼَﺎﺣِﺒِﻪِ ﻭَﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﺠِﻴﺮَﺍﻥِ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮُﻫُﻢْ ﻟِﺠَﺎﺭِﻩِ ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৯৪৪) . 

★১০. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺧِﻴَﺎﺭِﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨَﻜُﻢْ ﺃَﺧْﻠَﺎﻗًﺎ ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে বেশি সুন্দর।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৩৫৫৯) . 

★১১. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻣَﻨْﺰِﻟَﺔً ﺭَﺟُﻞٌ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺘْﻦِ ﻓَﺮَﺳِﻪِ ﻳُﺨِﻴﻒُ ﺍﻟْﻌَﺪُﻭَّ ﻭَﻳُﺨِﻴﻔُﻮﻧَﻪُ মর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সে, যে নিজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে শত্রুকে সন্ত্রস্ত করে এবং শত্রুরাও তাকে সন্ত্রস্ত করে। . (বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪২৯১, সিলসিলা সহীহাহ ৩৩৩৩) . 

★১২. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ﻟَﻤُﺆْﻣِﻦٌ ﻣُﺠَﺎﻫِﺪٌ ﺑِﻨَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﻣَﺎﻟِﻪِ ﻓﻲ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ঐ মু’মিন (সর্বশ্রেষ্ঠ) যে আল্লাহর পথে তার জান ও মাল দিয়ে যুদ্ধ করে। . (বুখারী ২৭৮৬, ৬৪৯৪, মুসলিম ৪৯৯৪-৪৯৯৫) 

আল্লাহপাক যেন আমাদেরকে এইরকম সর্বোত্তম মানুষ হবার তাওফীক দেন। আমীন......

সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

দ্বীনের ময়দানে যারা কাজ করবেন, বিশেষ করে যারা দাওয়াতের ফিল্ডে কাজ করবেন, তাদের এত অল্পে রিএ্যাক্ট করলে চলবে না

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ রাসুল (সা.) যখন প্রকাশ্যে ইসলামের ঘোষণা দিলেন, তখন সবার আগে মক্কার যে মানুষটি তার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি ছিলেন আবু লাহাব। এই ঘটনার কিছু দিন পর রাসুল (সা.) তার সব নিকটাত্মীয়দেরকে নিয়ে একবার নৈশভোজের আয়োজন করলেন। খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষে নবিজি (সা.) যখন কথা শুরু করতে যাবেন, তখনই আবু লাহাব আবারো বাগড়া দিলেন। নবিজির (সা.) সমস্ত আয়োজন ভুন্ডুল করে দিলেন। নবিজিকে (সা.) কথাই বলতে দিলেন না।
পরপর দুটো উদ্যেগ আবু লাহাবের কারণে নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার পর রাসুল (সা.) কিছুদিন চুপ থাকলেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হলো, তিনি ক্ষতটা শুকানোর জন্য সময় নিচ্ছেন।
এমতাবস্থায় নবিজির (সা.) দু একজন আত্মীয় তাকে পরামর্শ দিলেন যাতে এ জাতীয় পরবর্তী বৈঠকে তিনি আবু লাহাবকে আর দাওয়াত না দেন। নবিজি (সা.) বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবলেন এবং তারপর পরবর্তী বৈঠকেও আবু লাহাবকে দাওয়াত দেয়ার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিলেন। আবু লাহাবের পক্ষ থেকে এতটা বাঁধা আসার পরও তাকে দাওয়াত দেয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল।
প্রথমত, আবু লাহাবের বাসা ছিল নবিজির (সা.) বাসার একেবারে পাশেই আর দ্বিতীয়ত আবু লাহাবকে এড়িয়ে গিয়ে অন্যন্য চাচাতো ভাই বা জ্ঞাতি ভাইদেরকে দাওয়াত দেয়ার তেমন কোনো সুযোগও ছিল না। বিষয়টি ভালোও দেখাতো না। তৃতীয়ত, নবিজি (সা.) আশংকা করছিলেন যে, আবু লাহাবকে বাদ দিয়ে এ ধরনের কোনো আয়োজনের খবর যদি তার কানে চলে যায়, তাহলে সে হয়তো আরো বেশি ঝামেলা করতে পারে। আর, চতুর্থত, সবচেয়ে বড়ো কথা, নবিজি (সা.) সবসময়ই মানুষের অন্তরের পরিবর্তনের বিষয়ে আশাবাদি ছিলেন, এমনকী ঘোর দুশমনের অন্তর পরিবর্তন নিয়েও তিনি আশাবাদি ছিলেন।। এ কারণেই, আবু লাহাব বার বার তাকে ন্যাক্কারজনকভাবে ফিরিয়ে দেয়ার পরও নবি মুহাম্মাদ (সা.) তার বিষয়ে হাল ছেড়ে দেননি। বরং তিনি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তাকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন।
এই দৃষ্টান্তগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি, দ্বীনের ময়দানে যারা কাজ করবেন, বিশেষ করে যারা দাওয়াতের ফিল্ডে কাজ করবেন, তাদের এত অল্পে রিএ্যাক্ট করলে চলবে না। 

Copy post Ali Ahmad Mabrur

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

ঈদ মুবারাক – তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমাদের অনেকে রামাদানের চাঁদ পাননি, অনেকে রামাদান পেলেও সিয়াম করতে পারেননি, আবার অনেকে সিয়াম করতে পারলেও শাওয়ালের চাঁদের সুসংবাদ পাননি। আমরা সেই সমস্ত সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, যারা রামাদান শেষ করে শাওয়ালের চাঁদের সুসংবাদ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের মাঝে জীবিতদের কেউই এরকম রামাদান এর আগে দেখিনি, যেখানে রামাদান এসেছে অথচ মসজিদগুলো ফাঁকা, জামাতে মানুষ নেই, তারাবিহ নেই, জুমুআ নেই, ইফতারে মসজিদে মানুষের আনাগোনা নেই, সুবহানআল্লাহ। তবে এমন রামাদানও হয়তো এর আগে কেউ পাইনি, যখন মসজিদগুলো ফাঁকা থাকলেও ঘরগুলোই মসজিদে পরিণত হয়ে গেছে, ব্যক্তিগত ইবাদতে মানুষ আগের চেয়ে বেশি মশগুল ও আন্তরিক হয়ে গেছে, মসজিদে আর একটিবার সিজদা দেবার জন্য ব্যাকুল হয়ে গেছে।
আমরা সৌভাগ্যবান, যারা এই অভুতপূর্ব সময় সুস্থভাবে পার করতে পেরেছি, শাওয়ালের চাঁদের সুসংবাদ পেয়েছি। আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের সালাতগুলোকে কবুল করেন, তারাবিহগুলোকে কবুল করেন, কিয়ামুল লাইলগুলোকে কবুল করেন, সিয়ামগুলোকে কবুল করেন, যাকাতকে কবুল করেন, যাকাতুল ফিতরাকে কবুল করেন, প্রতিটা নেক আমলকে তাঁর দয়ার বিনিময়ে কবুল করেন। আল্লাহ যেন আমাদের সুস্থ রাখেন আর যারা অসুস্থ আছেন তাদেরকে শিফা দান করেন আর যারা চলে গেছেন তাদের প্রতি রহম করেন।
মৃত্যুকে এত কাছ থেকে এর আগে আমরা দেখিনি। আল্লাহ যেন আমাদের অনুধাবন করার তাওফিক দান করেন, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনটা ফেলনা, কোনটা প্রয়োজনীয় এবং কোনটা বাহুল্য, কোনটা সত্য এবং কোনটা মিথ্যা। আল্লাহ যেন আমাদের সিরাতুল মুস্তাকিমে কায়েম রাখেন। আল্লাহ যেন আমাদের আগামী রামাদান ও শাওয়াল পর্যন্ত কবুল করেন।
তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
ঈদ মুবারাক।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...