* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

আজ ২৫ শে মার্চ : আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, শাহ্ সূফী হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সাহেব (রাহ.) এর ২২ তম ওফাত বার্ষিকী।

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২০
★ জন্ম :- এ মহান সূফী সাধক ও সমাজ সেবক ১৯৩৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী আপার বার্মার থাংগু জেলার পিনজুলুক রেল স্টেশনের ৩ মাইল পূর্বদিকে কালা বস্তি বাঙ্গালি কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় তার বাবা ব্যবসায় উপলক্ষে সেখানে সপরিবারে অবস্থান করতেন। কথিত আছে যে, পীর সাহেবের পূর্বপুরুষগণ আরব দেশ থেকে প্রথমে বার্মা এবং পরে এদেশে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আগমন করেন। সেখানে যারা ধর্ম কর্ম প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করতেন তাদেরকে "মিয়াজী" বলা হত। এই মিয়াজি পরিবার লোহাগাড়া উপজেলার বড় হাতিয়া স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তুললে সেখানে মিয়াজী পাড়ার গোড়াপত্তন ঘটে। পীর সাহেবের বাবা মাওলানা মোহাম্মদ ওয়াসি উদ্দিন মিয়াজী ছিলেন উদার ও পরহেজগার ব্যক্তিত্ব। তার দাদা ও পরদাদাও সুফী সাধক বড় আলিম ও শরীয়তের পাবন্দ ছিলেন। তারা হলেন যথাক্রমে মাওলানা মুহাম্মদ আলিম উদ্দিন মিয়াজী ও মাওলানা মোহাম্মদ আছহাব উদ্দিন মিয়াজী রাহ.। হুজুরের মহীয়সী মাতা ছিলেন ফিরোজা খাতুন। তিনি অত্যন্ত ধর্মপরায়ণা, দানশীলা ও পর্দানশীন মহিলা ছিলেন। তিনি কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবন যাপন করতেন এবং গারাংগিয়া দরবার শরীফের হযরত বড় হুজুর কেবলা শাহ সুফি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মজিদ রাহ. এর মুরিদ ছিলেন।
★ পড়াশোনা :- আল্লামা শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার ছাহেব কেবলা রাহ. ১৯৪৭ সালে (পাঞ্জুম তথা দাখিল) ১৯৪৯ সালে (ছিয়ম তথা আলিম) ১৯৫১ সালে কৃতিত্বের সাথে (উলা তথা ফাজিল) পাস করেন এবং ফাজিলে রেকর্ডসংখ্যক নাম্বার পাওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হুজুরকে রৌপ্য পদকে ভূষিত করেন। অতঃপর বায়তুশ শরফ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবে আলম হযরত শাহ্ সূফী মীর মোহাম্মদ আখতর ছাহেব রাহ. এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে একই বছর তিনি উম্মুল মাদারিস খ্যাত ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসায় কামিল জামাতে ভর্তি হন এবং ১৯৫৩ সালে তিনি এখান থেকেই মমতাজুল মুহাদ্দিসীন (এম.এ) সনদ লাভ করেন।
★ শিক্ষকতা:- আল্লামা শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার ছাহেব রাহ. ১৯৫৩ সালে উনার পীর মুর্শিদ কুতুবুল আলম হযরত শাহ্ সুফি মীর মোহাম্মদ আখতর ছাহেব রাহ. পবিত্র বাগদাদ শরীফ গমন করলে এবং তার সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদস্থ হাজী মসজিদের ইমাম ভ্রমণ করলে, আল্লামা শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার সাহেব রাহ. তার স্থলে ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন আরে সময় জনৈক আরেকজন ইমাম এর মারফত জানতে পারেন যে, পাঁচলাইশস্থ ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদরাসায় একজন শিক্ষকের পদ খালি আছে। অতঃপর তিনি সেখানে গিয়ে অধ্যক্ষ মাওলানা আতিকুল্লাহ খান সাহেবের কাছে সাক্ষাৎকার দেন। আর তিনি এতে সন্তুষ্ট হলে ১৯৫৪ সালে ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদরাসাতে ইলমুল হাদিসের শিক্ষক হিসেবে আল্লামা শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার সাহেব রাহ. কে নিয়োগ প্রদান করেন। আর এই মাদরাসাতেই হুজুর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত একাধারে ১৪ বছর ইলাম ও আমলের আলোয় আলোকিত হয়ে সোনার মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
★ বাইয়াত গ্রহণ ও খেলাফত :- ১৯৪৮ সালে আলিম শ্রেণীতে (১ম বর্ষে) অধ্যয়নকালে পবিত্র শবে বরাতের রাতে দোয়ার জন্য স্টেশন রোড মসজিদে আসলে, কুতুবুল আলম শাহ সূফী মীর মোহাম্মদ আখতর ছাহেব রাহ. হুজুরকে খাস কামরায় ডেকে নিয়ে বাইয়াত করান। অতঃপর তিনি তার পীর-মুর্শিদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সফরসঙ্গী হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কখনো কখনো মুর্শিদ কেবলা (কুতুবুল আলম শাহ সূফী মীর মোহাম্মদ আখতর ছাহেব রাহ.) এর নির্দেশে উনার পক্ষ হতে দূর-দূরান্তে জিকির ও তরিকতের প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য প্রতিনিধি হিসেবে গমন করতেন। তার মুর্শিদ প্রায় দু'বছর অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে মাওলানাকে সার্বক্ষণিক সোহবতে রেখে তালিম দিতেন। এবং খেলাফতের গুরু দায়িত্ব অর্পণের জন্য মাওলানাকে রুহানী ফয়েজ ধারা গড়ে তুলে ক্রমান্বয়ে সম্মুখপানে এগিয়ে নিয়ে চললেন। অবশেষে ১৯৩১ সালে হজের সময় পুণ্যভূমি মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ যাওয়ার পথে একটি ছোট দু তলা ঘরের নিচে তার পীর মুর্শিদ মাওলানা কে ডেকে আনলেন এবং তরিকতের ভাইদের উপস্থিতিতে বললেন।
"আমি এতদিন মাওলানার (শাহ আবদুল জব্বার ছাহেব) এর পরিচয় মানুষের নিকট প্রকাশ করিনি। কারণ সময় হয়নি। লোকজন তার আসল পরিচয় পেলে সময়ে-অসময়ে বিরক্ত করা শুরু করতো, তাতে আধ্যাত্মিক উন্নতি ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাআলা সময় মত থাকে মানুষের নিকট পরিচয় করিয়ে দেবেন। তখন এমন ভাবে মানুষ তার দিকে ঝুঁকে পড়বে যে, তার আহার নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটবে। মরনের বিশ্বাস তার মুর্শিদ থাকে পূণ্যভূমি মক্কার কাবা শরীফ ও মদীনার রওজা শরীফের মাঝখানে খেলাফতের কঠিন দায়িত্ব অর্পণের অর্থ আমানতদারী, সততা, প্রভৃতি মানবিক গুণে গুণান্বিত হয়ে সৃষ্টির সেবা তথা ইসলামের মূলনীতি বুলন্দ করা।
★ প্রতিষ্ঠানসমূহ :-
এই ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব আল্লামা শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার ছাহেব রাহ. প্রতিষ্ঠা করেছেন ৬০ টি মসজিদ, ১৮৮ টি দ্বীনি তালিম কেন্দ্র, ১০ টি মাদ্রাসা, ১০ টি হেফজখানা, ১৫ টি এতিমখানা, ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি একাডেমি, ১৯৯২ সালে ডিসেম্বর মাসে কক্সবাজার শিশু হাসপাতাল (যা পর্যায়ক্রমে পরে ফ্যাকো সার্জারি সম্মানিত অত্যাধুনিক চক্ষু হাসপাতালে উন্নীত হয়,) ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে বায়তুশ সরফ দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র চালু, ১৯৯০ সালে রাজধানীর ফার্মগেটে বায়তুশ শরফ দারুশ শেফা ক্লিনিক নামে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, সহ দেশব্যাপী বহু সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান করে গেছেন। শুধু তাই নয় মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আর্থিক ও মানবিক সাহায্য প্রদান করেন ১৯৭৮,১৯৮৮,১৯৮৯, সালে এবং বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন ১৯৮৭,১৯৯১,১৯৯৪ সালে।
★ ভয়েস অব আমেরিকা :- ৮ ই জানুয়ারি ১৯৯২ সালে তার কর্মময় জীবন নিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগে (VQA) এক সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয় এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে হতে তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে মিনি গভমেন্ট আখ্যায়িত করা হয়।
★ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বকোষে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমেরিকা বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ইন্টার্নেশনাল ডাইরেক্টরি লিডারশিপ গ্রন্থে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি ছিলেন একজন সফল সাহিত্যিক যিনি একুশটি পুস্তক রচনা করেন।
★ ব্যবসা:- ব্যক্তিজীবনে তিনি আতর, মধু ও বই বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করতেন।
★ ইসলাম গ্রহণ:- তার পবিত্র হাতে হাত রেখে প্রায় ১০০ জন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পবিত্র ইসলামের মহান ছায়াতলে আশ্রয় নেন।
★ মাসিক দ্বিন দুনিয়া:- বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফ চর্চা সহ সাহিত্যের কলমসৈনিক তৈরীর মানুষে ২৮ জুন ১৯৮০ সালে প্রকাশ করলেন ইসলামী মননশীল পত্রিকা "মাসিক দ্বিন দুনিয়া" । বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই মননশীল ইসলামী পত্রিকার প্রধান সম্পাদকবিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এ.কে. মাহমুদুল হক এবং সম্পাদক হচ্ছেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী অকুতোভয় কলম সৈনিক মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ স্যার। (আমার শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় শিক্ষক মন্ডলীর মাঝে অন্যতম ব্যক্তিত্ব)
★ বর্তমানে, পীর আল্লামা শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার ছাহেব রাহ এর রেখে যাওয়া এ কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করছেন, তারঐ স্নেহধন্য বাহারুল উলুম শাহ্ সূফী হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন ছাহেব (মা.জি.আ) পীর ছাহেব বায়তুশ শরফ, বাংলাদেশ।
★ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা:-
আল্লামা শাহ্ আব্দুল জব্বার ছাহেব রাহ. আধ্যাত্নিক শিক্ষা দানের পাশাপাশি মুসলমানরা দুনিয়াতে যেন সুন্দর ও নিস্কুলুস জীবন যাপন করতে পারেন সেই পথের সন্দ্বান দিতেও সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। সুদ ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্হা যে দেশে প্রচলিত সে দেশে শুধু সুদ হারাম এ কথা মুখে বললেই হবেনা, সুদ থেকে মুক্তি লাভের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তাঁর এই চিন্তা থেকে ১৯৮১ ঈসায়ী সালের ২৬ এপ্রিল তাঁর একান্ত উদ্যোগে সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে বেসরকারিভাবে বায়তুশ শরফ ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে " সুদবিহীন ইসলামি ব্যাংক " প্রতিষ্ঠার উপর একটি জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সেমিনারকে কেন্দ্র করে ২৯৮৩ ঈসায়ী সালে বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও শরীয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। সমাজ কর্ম ও ধর্মীয় জেহাদের একটি উজ্জ্বল ফলক হিসেবে ইহা চির ভাস্কর ও চির অম্লান হয়ে থাকবে।
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পিছনে রয়েছে তাঁর মেধা সাহসিকতার বিচক্ষণতা, অধিকন্ত সুদুর প্রসারী চিন্তা ধারা। এ উদ্দেশ্যে তাঁর একান্ত আয়োজনে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ ঈসায়ী সালে বায়তুশ শরফ ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে এক সেমিনারের আয়োজন করেন। এ সেমিনারের আলোকে ৬অক্টোবর ১৯৯২ ঈসায়ী সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট " ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটি " নামে একটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে আল্লামা শাহ আবদুল জব্বার রাহ. এর কর্মতৎপরতায় প্রভাবিত হয়ে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ এর অধীনে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে "চট্টগ্রাম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় " প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেন। বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের সভাপতি আল্লামা শাহ আবদুল জব্বার রাহ. ১৯৯৫ ঈসায়ী সালের আগষ্ট মাসে মাত্র ৩ টি ফ্যাকাল্টির আওতায় ৩টি বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন। যা বর্তমানে " আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় - চট্টগ্রাম " নামে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।
★ওফাত:- ২৫ মার্চ ১৯৯৮ ঈসায়ী সালে তিনি চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফে নিজ হুজরায় (সকাল ৭-১৫ মিনিটে ) ইন্তেকাল করেন। ( ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলায়হে রাজেউন) পরবর্তী দিন ২৬ শেষ মার্চ রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে সকাল ১০টার সময় তাঁর সুযোগ্য ছাহেবজাদা আলহাজ্ব মাওলনা মোহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ছাহেব এর ইমামতিতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, এবং নামাজে জানাযা শেষে চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ মসজিদ সংলগ্ন তার নিজের হাতে গড়া ফুল বাগানে তাঁকে দাফন করা হয়। এবং এপর্যন্ত প্রতিনিয়ত তার মাজার শরীফে বিভিন্ন স্থান হতে ভক্তবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষী গণেসে জিয়ারত করে রুহানি ফুয়ুজাত হাসিল করছেন।
★ ছোটবেলায় প্রথম যখন মাদরাসাতে ভর্তি হই আব্বাজানের সাথে গিয়েছিলাম, হুজুর (শাহ্ সূফী আবদুল জব্বার ছাহেব রাহ,) আমাকে দেখে কোলে তুলে নিয়েছিলেন এবং দোয়া করেছিলেন। আল্লাহর একজন ওলী বন্ধুর স্নেহধন্য পরশ অবশ্যই বরকতের বিষয়। আজ হুজুরের ওফাত দিবসে, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এবং সাথে সাথে সবাই কে বলব যারা এই সংকলিত পোস্টটি পড়েছেন, আমি সমস্ত হকপন্থী অলি-আউলিয়াদের সম্মান করি ও মুহব্বত করি। কারণ ইসলাম আমরা পেয়েছি সুফিসাধক অলি-আউলিয়াদের মাধ্যমে তাদের শ্রদ্ধা করা সম্মান করা প্রত্যেকের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মহান আল্লাহ তাবারক ওতালা তালা হুজুরকে পবিত্র জান্নাতুল ফেরদৌসে দাখিল করুন। আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...