* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

পিতার মৃত্যুর ৩৪ দিন পরে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু: জানাযা এক সাথে আগামীকাল সকাল ১১ টায়

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কুতুবদিয়ার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার মরহুম গিয়াস উদ্দিন প্রকাশ ভেন্ডার গিয়াস উদ্দিন সিকদার গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

তাঁর মৃত্যুর ৩২দিন পরে ৪০ দিনের ফাতিহা গত ২৪ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ শনিবারে নিজ বাড়িতে সম্পন্ন হয়।

পিতার মৃত্যুর পর ৪০ দিনের ফাতিহা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে গতকাল বাড়ির আনুসাঙ্গিক কাজ শেষে
গতকাল ২৬ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ, সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি কুতুবদিয়া হতে কক্সবাজার বোনজামাই আক্কাস উদ্দিনের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ১) আমিনুল কবির ২) আক্কাস উদ্দিন ৩) সোনিয়া আক্তার।

মগনামাঘাট হতে চকরিয়া বাস স্টেশনে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে করে যাওয়ার সময় পেকুয়ার মেহেরনামার পরে নন্দীপাড়া ষ্টেশনে আকস্মিক সিএনজি ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে আমিনুল কবির (৩২) ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ হন।

বাকিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আক্কাস উদ্দিন (৩৮) মৃত্যুবরণ করেন।

সোনিয়াকে (১৬) গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় ২৭ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের সময় মৃত্যুবরণ করেন।

আমিনুল কবির (৩০) মরহুম ভেন্ডার গিয়াস উদ্দিন সিকদারের ১ম পুত্র। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টম অফিসে কর্মরত ছিলেন।

আক্কাস উদ্দিন (৩৮) মাস্টার ছৈয়দুল আলমের ১ম পুত্র। আমিনুল কবিরের দুলাভাই। মরহুম ভেন্ডার গিয়াস উদ্দিন সিকদারের বড় জামাই। তিনি কক্সবাজারে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতেন।

সোনিয়া আক্তার (১৬) আক্কাস উদ্দিনের ১ম কন্যা।

মরহুম ভেন্ডার গিয়াস উদ্দিন সিকদার ও মাস্টার ছৈয়দুল আলমের বড় নাতনি। আমিনুল কবিরের বড় ভাগ্নি।

আগামীকাল ২৭ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখ, মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পারিবারিক কবরস্তানে একসাথে তিনজনের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় নির্যাতিত শিশু গৃহকর্মী সাদিয়ার (১০) মৃত্যু

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ শেরপুরে শ্রীবরদীতে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী সাদিয়া পারভীন ওরফে ফেলি (১০) মারা গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ ২৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সাদিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার গৃহকর্মী সাদিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় এক বছর আগে শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিলের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলো পৌরশহরের মুন্সীপাড়ার রিকশাচালক সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া পারভিন ফেলি। বিভিন্ন অজুহাতে পান থেকে চুন খসলেই গৃহকর্মী শিশুটিকে অকথ্য নির্যাতন করতেন শাকিলের স্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুর। 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে ৯৯৯-এ করা ফোন কল পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত গৃহকত্রী ঝুমুরকে শহরের বিথি টাওয়ারের ছয় তলায় ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। সেসময় শিশু গৃহকর্মী সাদিয়ার আপাদমস্তক অমানবিক নির্যাতনের নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়। মাথা, পিঠ, হাতসহ শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং পেট ফুলে পানি আসায় শিশু সাদিয়াকে উদ্ধারের পর পরই তাকে জেলা হাপসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু নির্যাতিত সাদিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় সে মারা যায়।
ওসি রুহুল আমিন তালুকদার জানান, শিশু সাদিয়া নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত গৃহকত্রী রুমানা জামান ঝুমুর (৩৫) বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছেন।

নৌবাহনীর কর্মকর্তাকে মারধর: সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেপ্তার, বাড়িতে চলছে র‌্যাবের তল্লাশী অভিযান

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধররের ঘটনার মামলার প্রেক্ষিতে সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণের ৩০ নং ওয়ার্ড কা্উন্সিলন ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এরফান সেলিমের গাড়ির ড্রাইভার মিজান। হাজী সেলিমের লালবাগের বাসায় র‌্যাবের তল্লাশী অভিযান চলছে। তবে র‌্যাব বলছে তার এখনো কেউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তারা বলছেন ইরফান সেলিম সেই বাড়িতে অবস্থান করছেন। 

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গতকাল  রাতে একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা স্ত্রীসহ মোটর বাইকে ছিলেন। পিছন থেকে তাকে প্রথমে ধাক্কা দেয় ল্যান্ডরোভার গাড়ি দিয়ে। আবার গাড়ি থেকে নেমে েএকদফা মারধর করে। পরে আবার কলাবাগানে তাকে আটক করে প্রচন্ড মারধর করে, এতে তার দাঁত ভেঙ্গে যায়। 

এই ঘটনার পর ঐ নৌমাহিনীর কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন ওয়াসিম) স্থানীয় ধানমন্ডী থানায়  চারজনকে আসামী করে একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। 

প্রাথমিক ভাবে সেই মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-১০ যৌথভাবে ইরফোন সেলিম এর লালবাগের বাড়িতে আজ দুপুর ১২টা থেকে অভিযান চলছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিলো। অভিযানে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম ছিলেন। তবে র‌্যাব বলছেন শুধু কালকের ঘটনা নয় তাদের নিকট বিশেষ গোয়েন্দা মাধম্যে আরো কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযান চলছে। সর্বশেষ জানা যায় তল্লাশী অভিযান কালে অস্ত্র, মাদকসহ বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। 

মোট তিনজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ড্রাইভার মিজানকে ১দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। 

অভিযান শেষে র‌্যাবের প্রেসব্রিফিং

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা চান্দগাঁও শাখার অফিস উদ্বোধন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা চান্দগাঁও শাখার অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো। 

তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মুহতারাম ড.মীম আতিকুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডাইরেক্টর আনম রাশেদুল ইসলাম সায়েমসহ আরো অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত চট্টগ্রাম’র ৫টি শাখার সকল প্রিন্সিপাল,ভাইস প্রিন্সিপালগন।

ইসলামি ব্যাংকিং : মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ খন্দকার

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে ৭৫টি দেশে ছয় শতাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইসলামি ব্যাংকিং চালু রয়েছে। সারা বিশ্বে ইসলামি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২.১ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সাল নাগাদ এই সম্পদ ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বের বহু দেশেই এখন ইসলামের অর্থায়নপদ্ধতি গুরুত্বের সাথে আলোচিত ও পঠিত হয়। নামী-দামি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এমনকি বিশ্বের ৫৫টি শীর্ষস্থানীয় আর্থিক ব্যবস্থা ও পুঁজিবাজারের (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম) মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ায় লা ট্রবি ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি অর্থায়ন বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, ডারহাম, হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ডের মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের ৭৫টি দেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ে পাঠ দান করা হয়।

বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থা তিন দশক অতিক্রম করেছে। আইডিবি ইসলামি ব্যাংকিংয়ের মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করে। নাইজেরিয়া, উগান্ডা ও শ্রীলঙ্কাসহ বহু দেশের ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ অবদান রেখেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বা বিআইবিএম আয়োজিত এক সেমিনারে উপস্থাপিত নিবন্ধে মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও উপসাগরীয় দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে শরিয়াহ পরিপালনের অবস্থা ভালো বলে উল্লেখ করা হয়।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উন্নয়ন গবেষক দলের সদস্য বেক, কান্ট ও মেরুশে (২০১০) ‘ইসলামি বনাম প্রচলিত ব্যাংকিং : ব্যবসা মডেল, দক্ষতা ও স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক গবেষণার মধ্য দিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ইসলামি ব্যাংকগুলো প্রচলিত ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি মূল্যসাশ্রয়ী। গবেষণার মাধ্যমে তারা ইসলামি ব্যাংকগুলোর উচ্চ ‘ক্যাপিটালাইজেশন’-এর প্রমাণ পান। এই ‘ক্যাপিটাল কুশন’ ও উচ্চতর ‘লিকুইডিটি রিজার্ভ’-এর কারণে সঙ্কটকালে ইসলামি ব্যাংকগুলো ভালো দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হয়।
বিশ্বব্যাপী ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ও ক্রমাগত উন্নতির পরও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো এরও সমালোচনা করার মতো দিক রয়েছে। খ্যাতিমান গবেষকদের দৃষ্টিতে ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনে ইসলামি ব্যাংকিংকে যেতে হবে আরো বহু দূর, সৃষ্টি করতে হবে দক্ষ ও পেশাদার ব্যাংকার, ঘটাতে হবে পণ্যবৈচিত্র্য ও মানসম্মত সেবার উন্নয়ন। ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সব স্তরে শরিয়াহর নীতিমালা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এখন এ শিল্পের বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু মুনাফা দিয়ে তাড়িত হয়ে শরিয়াহ পরিপালনে শৈথিল্য দেখালে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। ইসলামি ব্যাংকিংয়ের আরো চ্যালেঞ্জ আসছে বিশ্বব্যাপী আর্থিক উদারীকরণ, বিনিয়ন্ত্রণ ও বিশ্বায়ন থেকে। এগুলো মোকাবেলায় শক্তিশালী ভিত্তি, উচ্চতর দক্ষতা ও বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকার শক্তি অর্জনে আগে থেকেই সচেষ্ট হতে হবে।

ইসলামি ব্যাংকব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করতে একদল শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ ও ইসলামি ব্যাংকারের প্রয়োজনীয়তা সময়ের অপরিহার্য দাবিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শরিয়াহ স্কলার জাস্টিস তকি উসমানি বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামি আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত বিষয়গুলো অনেকটা উপেক্ষিত। এমন অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ দেখতে পাওয়া যায়, যারা নামাজ-রোজা, বিবাহ-তালাকের ওপর গভীর জ্ঞান রাখলেও তারা আর্থিক লেনদেনের মাসয়ালা সম্পর্কে তেমন পারদর্শী নন। বিশেষ করে আধুনিক যুগের জটিল ব্যবসাবাণিজ্যসংক্রান্ত রীতিনীতি সম্পর্কে তারা খুব কম ধারণাই রাখেন। ফলে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার মূল সমস্যা বোঝাতে পারছেন না। আলেমরাও নিজ থেকে এসব বিষয় জানার চেষ্টা করেন না। ফিকহের যেসব মূলনীতির ওপর এসব সমস্যার সমাধান দেয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে তারা ততটা অভিজ্ঞ নন বলে তারা ব্যবসাবাণিজ্যের বাস্তবসম্মত সমাধান দিতে ব্যর্থ হন। কাজেই ব্যবসায়ীরা মনে করেন আলেমদের কাছে প্রকৃত সমাধান নেই। তাই তারা যা খুশি করেন। অথচ পূর্ববর্তী আলেমরা এসব বিষয়ে খুবই সচেতন ছিলেন।

হানাফি মাজহাবের অন্যতম ফকিহ ইমাম মুহাম্মদ। তার নিয়ম ছিল বাজারে বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে ওঠাবসা করা এবং ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেয়া। এক দিন এক ব্যক্তি তাকে বাজারে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আলেম মানুষ, কিতাব পড়া ও পড়ানো আপনার কাজ। আপনি বাজারে কেন? তিনি উত্তরে বললেন, আমি ব্যবসায়ীদের রীতিনীতি ও তাদের পরিভাষা সম্পর্কে জানতে এসেছি। কারণ এ ছাড়া সঠিক মাসয়ালা বের করা যায় না।

সম্প্রতি বিআইবিএম আয়োজিত ‘ইসলামি ব্যাংকগুলোতে করপোরেট সুশাসন’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা প্রকৃত ইসলামি ব্যাংকিং নিশ্চিত করতে পরিচালকদের সদিচ্ছা, ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে আলাদা আইন, মান নির্ধারণকারী সংস্থা বা রেটিং এজেন্সি গড়ে তোলা এবং ইসলামি ব্যাংকিংয়ে শরিয়াহর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অনুসরণের তাগিদ দেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য কোনো কোনো সংবাদপত্রে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হওয়ায় ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সর্বাঙ্গীণ উন্নতিসাধনে প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সমালোচনা। কিন্তু সমালোচনার ক্ষেত্রেও রয়েছে নৈতিকতা ও জবাবদিহিতা। ইসলামের দৃষ্টিতে সমাধান জানা না থাকলে শুধু সমস্যা উসকিয়ে দেয়া সমালোচকের কাজ নয়, তাকে প্রকৃত সমস্যার সমাধানও বলে দিতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন সমস্যা ও পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই নবোদ্ভাবিত সমস্যাদির শরিয়াহসম্মত সমাধান প্রয়োজন। সময়ের পরিবর্তনে উদ্ভাবিত নতুন, কঠিন ও জটিল সমস্যাকে যদি শরিয়াহর আলোকে বাস্তবানুগ সমাধান না দেয়া হয় কিংবা সমাধান না দিয়ে নীরবতা অবলম্বন করা হয়, তাহলে ইসলামি শরিয়াহ থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত বিষয়ের সমাধান অবশ্যই দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম র:-এর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, যদি কোনো সমাধানপ্রত্যাশীকে কোনো জরুরি বা প্রয়োজনীয় বিষয় থেকে বিরত থাকার মাসয়ালা দিতে হয়, তাহলে গবেষকের উচিত হবে তার বিকল্প পথ বলে দেয়া।

আমাদের দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং নিয়ে অনেক সমালোচনা দেখা যায়। যাতে কোনো সারবস্তু খুঁজে পাওয়া যায় না। ইসলামি ব্যাংকিং সম্পর্কে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনার পরিবর্তে সেখানে কুৎসা রটনাই মূল প্রতিপাদ্য হয়ে যায়। কিভাবে ইসলামি ব্যাংকিং করা যায়, কোথায় কোথায় ইসলামি ব্যাংকিংয়ে ত্রুটি আছে, কিভাবে তা সমাধান করা যায়, তা নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক কিছু তাদের আলোচনায় থাকে না। কোনো কোনো সমালোচক এমন আছে, যারা ইসলামি ব্যাংকার ও আর্থিক বিশ্লেষকদের আত্মসমালোচনা ও মূল্যায়নে বিবৃত ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সীমাবদ্ধতাগুলোকে এ ব্যবস্থার দুর্বলতা হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা করে। এসব সমালোচকের দৃষ্টান্ত ওই ব্যক্তির মতো যে কোনো ধার্মিকের প্রার্থনায় উল্লিখিত কাকুতি-মিনতি ও অনুশোচনাকে তার অপরাধ হিসেবে তুলে ধরার কসরত করে। প্রচলিত ব্যাংকব্যবস্থার তুলনায় ইসলামি ব্যাংকিংয়ের বয়স একেবারেই কম। সামনে এগোতে হলে ডিঙাতে হবে বহু বাধা ও প্রতিকূলতার পাহাড়। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এ ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সফলতা ও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন কার্যকরী ও যোগ্য নেতৃত্ব, সব পক্ষের আন্তরিক সদিচ্ছা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং গঠনমূলক দিকনির্দেশনা।

ইমেজ সূত্র : https://www.google.com/url?

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে সেমিনারে বক্তারা: সারা বিশ্বে আজ মানবাধিকার ও জননিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম, ২৪ অক্টোবর ২০২০ ইং জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস এডুকেশন চিটাগাং এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা সারা বিশ্বে আজ মানবাধিকার ও জননিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন

ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস এডুকেশন চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, আজ সারা বিশ্বে মানবাধিকারের চরম লংঘন ও সাধারণ জন মানুষের নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই। গুম,খুন,অপহরণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাস দমনে বর্তমান বিশ্ব নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বে কোথাও আইনের শাসন নেই। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, চোরা চালন বন্ধ,গণতন্ত্রের ভিত্ত মজবুত নেই, টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা ও জলবায়ু পরিবর্তন,রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও কোভিড-১৯ এর টিকা সমবন্টন সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠাই জাতিসংঘ দিবসের সার্থকতা।
জাতিসংঘ দিবসে আয়োজিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মুহাম্মদ কবির হোসাইন।
বাংলাদেশ ল‘ইয়াস কাউন্সিল চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট শামসুল আলমের সভাপতিত্বে র্ভাচুয়ালি অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক এমপি ও জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক পাঠাগার সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক পাঠাগার সম্পাদক এডভোকেট ফজলুল বারী, এডভোকেট জুবাইর হোসাইন, শ্রমিক নেতা সেলিম পাটোয়ারী প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আজ ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস। জাতিসংঘের আজ ৭৫তম বছর। ১৯৪৫ সালে এ দিনে বিশ্ব মানিবাধিকার রক্ষা ও আন্তর্জাতিক সংঘ হিসাবে এর প্রতিষ্ঠা হয়। এবারের জাতিসংঘ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হল“আমরা ভবিষ্যত চাই,জাতিসংঘ আমাদের প্রয়োজন, বহুমুখীতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুন:নিশ্চিতের মাধ্যমে“।
সেমিনারে মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ বলেন, মানবাধিকার ও জননিরাপত্তা রক্ষায় মানুষ আজ বহুমুখী হুমকির সম্মুখীন। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমান বিশ্ব বৈশ্বিক মহামারিতে আক্রান্ত। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য মানবিক সহায়তা ও মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা। মানবতাকে রক্ষা, মানব মর্যাদাকে এগিয়ে নেয়া, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায়-যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই এই শ্লোগানের সাথে একাত্ম হয়ে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করতে হবে।

আজব মানুষঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২৪ অক্টোবর ২০২০

নুপু‌রের দাম হাজার টাকা স্থান কিন্তু পা‌য়ে
‌টু‌পির দাম কম হ‌লেও স্থান তার মাথার শি‌রে,
নু‌নে কখ‌নো পোকা ধ‌রে‌নি মিষ্ট‌ি‌তে তা ভরপুর
‌সা‌রিবদ্ধ পিঁপড়া এ‌সে ক‌রে সাবাড় তা দস্তুর।

মৃত মানুষ‌কে স্মরণ ক‌রে ম‌োমের বা‌তি জ্বা‌লি‌য়ে
জন্ম‌দিবস পালন ক‌রে বাতিটা আবার নি‌ভি‌য়ে,
‌মো‌মের বা‌তির নেই প‌্র‌য়োজন মৃত কো‌নো মানু‌ষের
তবুও জ্বালায় সেথায় বা‌তি নাই সীমা অপচ‌য়ের।

মদ বেচ‌তে যায়না কেউ মানু‌ষের ঘ‌রে ঘ‌রে
‌কিনতু গোয়ালা যায় সেথায় দুধ বেচার ত‌রে,
দু‌ধে পা‌নি মেশা‌নো দো‌ষ, স‌‌েতো সবাই জা‌নে
কিন্তু ম‌দে পা‌নি মি‌শি‌য়ে সানন্দ‌ে সে টা‌নে।

জা‌নোয়ার য‌দি ব‌লে তা‌কে ভিষন রে‌গে উ‌ঠে
বা‌ঘের বাচ্চা বলল‌ে আবার আনন্দ‌ে মে‌তে উ‌ঠে ,
বাঘও যে জা‌নোয়ারে‌র দল সে‌টি নাই তার মাথায়
বা‌ঘের বাচ্চা শু‌নে তাই‌তো খু‌শি‌তে ‌সে লাফায়।

মানুষগু‌লো এমন আজব সোজা প‌থে চ‌লেনা
বাকাঁ প‌থেই আগ্রহ বে‌শি শেষ‌টি তার বু‌ঝে না।

প্রথম প্রকাশ ২০ আগষ্ট ২০১৯

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

গভীর রাতে পুকুরে বিষ ঢেলে ধ্বংস করে দিল ঢাবি’র মাস্টার্স করা সিরাজের সব স্বপ্ন!

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  সিরাজ ইসলাম, আমাদের বন্ধু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স কমপ্লিট করে স্বপ্ন দেখেছিলো উদ্যোক্তা হওয়ার। ভিন্নপথে হাঁটতে গিয়ে গ্রাম্য মোড়লদের রোষানলে সব হারিয়ে এখন পথে বসেছে। দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচারের আশায়।

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার নিজ গ্রামেই ধার-কর্জ করে ১৩ বিঘা জমির পুকুরে শুরু করেছিলেন মাছ চাষ। একটু একটু করে স্বপ্নগুলোও বড় হচ্ছিলো। আর মাত্র একটি মাস গেলেই প্রথম দফায় মাছ বিক্রি শুরু করতে পারতেন। সব ঠিকঠাকই চলছিলো।
কিন্তু গ্রাম্য কয়েকজন মোড়লের সিরাজের এমন উত্থান ভালো লাগেনি। সোমবার গভীর রাতে পুকুরে বিষ ঢেলে দেয়। এরপর ধীরে ধীরে মাছ মরতে শুরু করে। একদিন না যেতেই পুকুরে মাছের দাপাদাপির পরিবর্তে সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
ছেলেটি বিশ্ববিদ্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে নিশ্চিত জীবনের চাকরির পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে গিয়েছিলো। প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশি ধার-কর্জ করা। সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলো, মাছ বিক্রি শুরু হলেই সবার ধার-দেনা পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু সব লন্ডভন্ড। নিম্নবিত্ত পরিবারে এতবড় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সাধ্য নেই।
সব ছেড়েছুড়ে উদ্যেক্তা হতে চাওয়া ছেলেটি পরিবারের মুখের দিকেও তাকাতে পারছে না। ধারদেনা শোধ করবে কিভাবে সেই উপায়ও জানা নেই। বিচার পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন না।
কোনোরকম পূর্ব শত্রুতা ছাড়াই এমন জঘন্য কাজ মানুষ করতে পারে !!!
(নওগাঁয় প্রশাসনের কেউ পরিচিত থাকলে সিরাজের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সিরাজের মোবাইল নাম্বার-0 1715-922875, ফেসবুকঃ Siraz Al Islam
মূল লেখাঃ Sanaul Haque Sunny

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

কামরাঙ্গাতে caramboxin নামক এক ধরণের বিষ থাকে


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কামরাঙ্গার বিষাক্ততা সম্পর্কে এতদিন শুধু শোনেছি। নেফ্রলজি ডিপার্টমেন্টে আসার পর নিজ চোখে এর ভয়াবহতা দেখলাম।
কামরাঙ্গাতে caramboxin নামক এক ধরণের বিষ থাকে। সাধারণত সুস্থ কিডনি তা দেহ থেকে বের করে দিতে পারে, কিন্তু chronic kidney disease এর রোগীর ক্ষেত্রে তা শরীরে জমা হয়ে রক্তের সাথে মস্তিষ্কে চলে যায়। এই বিষ মস্তিষ্কে যাওয়ার পর যা হতে পারে : ১) হেঁচকি ২) অবশতা ও দুর্বলতা ৩) বমি বমি ভাব ৪) মানসিক অস্থিরতা ৫) মেন্টাল কনফিউশন ৬) খিঁচুনি এবং সবশেষে ৭) মৃত্যু।

গতকাল যে রোগী আসলো এই সমস্যাগুলোর বেশিরভাগই তার মধ্যে ছিল। এখন শুধু ৭ নং টা বাকি, ICU তে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। নেফ্রলজির রেজিস্ট্রার Dr. Sadik Sadi ভাই কামরাঙ্গার কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই রোগীর আত্মীয় উত্তর দিলেন, হ্যা উনি কিছুদিন আগেই কামরাঙ্গা খেয়েছেন।

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, 'আমার তো কিডনির সমস্যা নাই, তাহলে আমি কি কামরাঙ্গা খেতে পারব?' উত্তর হল : প্রথমত, আপনি হয়তো জানেন না আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা আছে কি না; দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। জেনেশুনে কেন বিষ খাবেন?

পোস্টটা পড়ে থাকলে নিজে সাবধান হোন। আপনজনকেও এই বিষ থেকে রক্ষা করেন।

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

বসনিয়ার জঙ্গলে অবর্ণনীয় কষ্টে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য অবশেষে এসেছে সহায়তা।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ উন্নতজীবনের প্রত্যাশায় দালালের প্রলোভনের পড়ে অনেক বাংলাদেশী বাংলাদেশ ছাড়েন ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে যাওয়ার প্রত্যাশায় বিশেষ করে ইটালী যাওয়ার প্রত্যাশায়। 
এই অনিশ্চিত যাত্রায় আছে নানা দূর্ভোগ নানা কষ্ট। এমকি জীবন চরে যায়; তবুও থেমে নেই এই পথ যাত্রা। 

জার্মানীর ডয়েচেভেলের স্যেজন্যে এই সংবাদটি প্রচার করা হচ্ছে। বসনিয়ার জঙ্গল থেকে সরাসরি সংবাদটি প্রচার করেছেন ডয়েচেভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম এবং ক্যামেরায় ছিলেন অনুপম দেব কানুনগো।

বসনিয়ার জঙ্গলে প্রায় ৬০০ বাংলঅদেশী যুবক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের সেখানে থাকা, কাওয়া ও টয়লেট সারাও কোন ব্যবস্থা নাই। এমনি মানবেতর জীবন যাপন করে তার দালের মাধ্যমে ইটালী ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা কর যাচ্ছেন। 


বসনিয়ার এই   জঙ্গলে বসবাসরতরা জানায়, অনেকেই  প্রতমে ওমানে ছিলো সেখান থেকে ইরান তুর্কী হয়ে বসনিয়ায় এসে হাজির হয়েছে। তাদের অনেকের এই যাত্রা শুরু হয়েছে ৩মাস থেকে ৩ বছর আগে। এই যাত্রা নানা চড়াই উৎড়াই পেড়িয়ে এ পর্যন্ত তাদের আসতে হয়েছে। কখনো হেটে, কখনো নদী পথে স্পীডবোর্ডে ককনো গাড়িতে করে তাদের এই যাত্রা 

এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন মাধ্যমে অবহিত হয়ে  জার্মানীর ডয়েচেভেলের দুইজন সাংবাদিক বসনিয়ার এই শহরের কাছে জঙ্গলে এসে বাংলাদেশী এই বিপ দে পড়া বাংলাদেমী শরনার্থীদের সাক্ষাত কার গ্রহন করে প্রচার করলে। পরের দিন জাতিসংঘের আইওএম সংস্থা তাদের সাহায়ে এগিয়ে আসে। আইওএম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের লোগো সম্বলিত প্যাকেটে কিছু খাদ্য সামগ্রী ও জঙ্গলে গুমানোর জন্য স্লিপিং ব্যাগ প্রদান করে। 

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হান্নান নামের এর শরনার্থী জানান সে লাইনে দাড়িয়েছেন স্লিপিং ব্যাগ ও খাদ্য সাহায্যের জন্য।  সে আরো জানায় এখানে এই ধরনের সাহায্য আগে আর কখনো সে পায়নি।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আরেক শরনার্থী জাবেদ হোসেন জানান সংবাদ প্রচারে কারণেই এই সাহায্য এসেছে। তা নাহলে সম্ভব হতোনা। 

ডয়েচেভেলের সাংবাদিক ভিউয়ারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেন বাংলাদেশে এত উন্নয়নের পরও বাংলাদেশী যুবকেরা জীবনের এই ঝুকি নিয়ে বসনিয়ার জঙ্গলে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের মতামত দেয়ার আহবান সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম। 

সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম এর বর্ণনায় জানা যায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তার সেখানে


অবর্ণনীয় কষ্টে বসবাস করছিলো কোন ধরনের বিছানা বালিশ ছাড়াই, শুধু প্লাস্টিক বিছিয়ে। 

অনেকেই দাবী করেন তারা এখান থেকে দালালের মাধ্যমে মাঝে মাঝেই চেষ্ট করেন ইটালী ও পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্স এর মত দেশে যেতে। ফ্রান্স অনেকের পছন্দের দেশ। তাদের এই যাত্রা নানা জনের নানা কারণ রয়েছে। কেউ বলছেন আর্থিক সমস্যার কথা। কেউ বলছেন, উন্নত জীবনের আশায়, কেউ বলছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আশায়, কেউ বলছেন, তাদের দেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না।

একজন শরনার্থী নুরুল ইসলাম , এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই কাওয়ার ব্যবস্থা নেই, টয়লেটের পানির ব্যবস্থা নেই তারপরও কেন আপনি এখানে এমন যায়গায় আসলেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,  এসে বিপদে পড়েগেছি একনতো আম্রয়ের জন্য এখানে আসতে হয়। কেন আসলেন প্রশ্নের জবাবে বলেন ফেমিলীর আর্থিক অবস্থা খারাপ এই অবৈদ পথে ইউরোপ যাওয়ার জন্য এসেছেন।  উল্লেখ্য, এখানে একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ সিলেটে অধিবাসী। 

জানা যায় যাদের ঘরে টাকা আছে অথবা ধারদেনা করে তারা দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা-পয়সা এনে এখানে অনেক কস্ট করে চলেন। বাড়ি েথেকে ১০,০০০ টাকা আনলে দালালরা তাদের আট হাজার টাকা প্রদান করে। ক্রোয়েশিয়ার বর্ডারে ঢুকার সময় সেই দেশের পুলিশ তাদের নির্যাতন করে। জামা-কাপড়সহ টাকা পয়সা যা পায় সবরেখে শুধু আন্ডা ওয়ার পড়া অবস্থায় ছেড়ে  দেয়। প

প্রতিবার এমন প্রচেষ্টার নাম গেইম। প্রতিবারে জন্য শরনার্থীরা দালালদের প্রদান করেন বাংলাদেশী ৫,০০০ টাকা। আর যদি চুড়ান্তভাবে সফল হয়ে যায় তবে দালালদের দিতে হয় চারলাখ টাকা। 

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

রিজিক

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ রিজিকের সর্বনিম্ন স্তরঃ টাকা, পয়সা, অর্থ,  সম্পদ ।

সর্বোচ্চ স্তরঃ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।

সর্বোত্তম স্তরঃ পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান

পরিপূর্ণ স্তরঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।  

রিজিক খুব গভীর একটি বিষয় যদি আমরা বুঝতে পারি। 

আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটা লিখিত।  

আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না, একটিও বেশি না। 

ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তায়ালা নিয়েছেন। 

আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার। 

যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো, হারাম উপায়ে হলেও ওই ১ কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস! 

আমি যেই ফলটি আজকে ঢাকা বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি, কিনে নি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে। 

এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না। রিজিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না। 

রিজিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী! 

কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিজিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তায়ালা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। 

আলহামদুলিল্লাহ্‌... 

কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিজিকের ভাগই খাচ্ছে। 

আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্‌ তায়ালার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। 

আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের সঠিক পথ ও রিজিক  এর তৌফিক দান করুন। আমিন।


সংগৃহীত

আমাদের প্রিয় ভাই ✍মল্লিক মাহমুদ .

তুমি-এই বাগানের সুরভিত ফুল

আমাদের প্রিয় ভাই,
তোমার প্রতিটি কথার লতায়
স্নেহের পরশ পাই।
বুকের ভেতরে আল কোরানের
সবুজ মমতা রেখে,
আমাদের চোখে স্বপ্ন জাগাও
বিজয়ের ছবি এঁকে।
ছোট-বড় সব কর্মীর তরে
মনের দরজা খুলে,
গান গেয়ে যাও ইত্তেহাদের
সুর শিহরণ তুলে।
সাথী বৈঠকে যখন বন্ধু
হও তুমি মেহমান,
পরম খুশীতে জেগে ওঠে জানি
আমাদের মনপ্রাণ।
ভালোবাসা দিয়ে বৈঠকটাকে
করে দাও একাকার,
রিপোর্ট বইতে দাগ না দিয়েও
পেয়ে যায় সবে পার।
পর্যালোচনা তুলনামূলক
অনেক সহজ হয়,
দেখাতে শুনিনা মুলতবি আর
বাতিল করার ভয়।
আজকে তোমার জন্মদিনের
শুভেচ্ছাটুকু নিও,
সারাটি জীবন এমনি করেই
আমাদের ছাড় দিও।
.
১৭।১০।২০

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

ইসলামী বন্ড সুকুক কী ও কেন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী ইসলামি বন্ড ‘সুকুক’-এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। বর্তমানে বৈশ্বিক ইসলামি আর্থিক সম্পদের আকার প্রায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার ৭৩ ভাগ জুড়েই রয়েছে ব্যাংকিং সম্পদ। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ সুকুক বা ইসলামি বন্ড। বর্তমানে সুকুকের বৈশ্বিক আকার দাঁড়িয়েছে ৩২১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং ফার্ম ‘আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং’র পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে এর চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ৯০০ বিলিয়ন ডলার।

সুকুকের ইতিহাস পুরনো। ইসায়ি সাত শতকে সিরিয়ার দামেস্ক নগরিতে সুকুকের প্রথম প্রচলন হয়। সুকুক আরবি ‘সকক’ শব্দের বহুবচন। আরবি অভিধানে কোনো দলিলে সিলমোহর লাগিয়ে কাউকে অধিকার ও দায়িত্ব অর্পণ করার ক্ষেত্রে শব্দটির ব্যবহার রয়েছে। আবার লিখিত কাগজপত্র, অর্থনৈতিক চুক্তিপত্র, সম্পদের সনদ, ডকুমেন্ট ইত্যাদি বুঝাতেও শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। সমমূল্যের কোনো সার্টিফিকেট যা কোনো সম্পদ ও সেবার মালিকানায় অথবা নির্দিষ্ট প্রকল্পের সম্পদে বা বিশেষ বিনিয়োগের অবিভাজ্য শেয়ারের প্রতিনিধিত্ব করে। সুকুক কেনার মাধ্যমে ভূমি, ভবন, কারখানা বা অন্য কোনো সম্পদের আংশিক মালিকানা এবং ওই সম্পদ থেকে অর্জিত মুনাফার অংশ লাভ করা যায়।

সুকুক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন, মুদারাবা (মুনাফায় অংশীদারি) সুকুক, মুশারাকা (লাভ-লোকসান ভাগাভাগি) সুকুক, মুরাবাহা (লাভে বিক্রি) সুকুক, ইস্তিসনা (পণ্য তৈরি) সুকুক, সালাম(অগ্রিম ক্রয়)সুকুক, ইজারা (ভাড়া)সুকুক, করজ হাসান(উত্তম ঋণ)সুকুক ইত্যাদি। আবার ইস্তিসনা, মুরাবাহা ও ইজারার সমন্বয়ে হাইব্রিড ধরনের কিছু সুকুকের ব্যবহারও লক্ষ্য করা। প্রতিষ্ঠানের তারল্য বাড়ানো, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্প সম্প্রসারণ বা কোনো বৃহৎ প্রকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে মুশারাকা, মুদারাবা, ইস্তিসনা, সালাম ও ইজারা সুকুকের ব্যবহার বেশি। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ইজারা সুকুকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটি পূর্বনির্ধারিত হারে লাভ প্রদানকারী সার্টিফিকেটের বড় উদাহরণ। ইজারা সুকুক কোনো সম্পদ কিংবা সেবার মালিকানায় ঘোষিত অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এ সুকুক ভাড়ায় দেয়া সম্পদের মালিকানার সার্টিফিকেট হিসেবে বিবেচিত।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

ইজারা বা লিজ থেকে প্রাপ্ত ভাড়া সুকুকধারীদের মধ্যে মালিকানার অনুপাতে বণ্টিত হয়। এ ক্ষেত্রে ইজারা দেয়া সম্পত্তির বন্ডদাতাকে কোনো একটি করপোরেট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সুকুকের বিনিময়ে কোনো একটি বিমানসংস্থা ইজারার মাধ্যমে একটি বিমান সংগ্রহ করতে পারে। ধরা যাক, এ ক্ষেত্রে ১০ হাজার ব্যক্তি সুকুক কিনতে চায়। এসব ব্যক্তি আলাদাভাবে নিজ নিজ প্রান্তিকের ভাড়া বিমান সংস্থার কাছ থেকে বুঝে নিতে পারে। এদের একজনের সাথে অপর জনের যোগাযোগের প্রয়োজন নেই। কাজেই ইস্যু ও বাজারজাত করার ক্ষেত্রে ইজারা সুকুক বেশি সহজ। স্থিতিশীল ও স্থায়ী আয়ের একটি উত্তম মাধ্যম হিসেবে ইজারা সুকুক বেশ জনপ্রিয়।

প্রচলিত বন্ড ও ইসলামি সুকুকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বন্ড হলো ঋণদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সম্পাদিত এমন একটি চুক্তি যাতে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার ও পরিশোধের সময় উল্লেখ থাকে। প্রচলিত বন্ডে সুদ, জুয়া, ফটকা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকায় তা শরিয়াহসম্মত নয়। অন্যদিকে সুকুক হলো সম্পদের ওপর মালিকানা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদানকারী বিনিয়োগ সার্টিফিকেট। সুকুক কেবল নগদ অর্থের প্রবাহ নয় বরং এর ক্রেতারা সম্পদে মালিকানা লাভ করে। সুকুক ইস্যুর প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে, সরকার, অর্থ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, করপোরেট সংস্থা বা ব্যাংক, যারা সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে চায়, তাদের স্থিতিপত্রে সম্পদের অস্তিত্ব থাকবে কিংবা কোনো সম্পদ অর্জনের লক্ষ্য থাকতে হবে।

সাধারণত অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মতো দীর্ঘ মেয়াদি অর্থসংস্থানের উৎস হিসেবে সুকুক ইস্যু করা হয়। যেমন, ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাওয়ার প্লান্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো। প্রকল্প মালিক কিংবা কোনো সংস্থা এ প্রকল্পে অর্থসংস্থানের জন্য সমপরিমাণ অর্থের সুকুক ইস্যু করতে পারে। বিনিয়োগে আগ্রহী যে কোনো ব্যক্তি এ প্রকল্পের সুকুক কিনে প্রকল্পের ঘোষিত অংশ বা অংশবিশেষের মালিক হতে পারেন। প্রকল্পটি আয় বা মুনাফাযোগ্য হওয়ার পর সুকুকহোল্ডারগণ তাদের মালিকানার আনুপাতিক হারে মুনাফা অর্জনের অধিকারী হবেন। বিশ্বের বহু দেশে ইসলামি সুকুক চালু রয়েছে। মালয়েশিয়া বিশ্বের মোট সুকুকের ৬৭ ভাগের ইস্যুকারী হিসেবে নেতৃত্বের স্থানে রয়েছে। দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১৯৯০ সালে প্রথম স্থানীয় মুদ্রায় ১২৫ মিলিয়ন মূল্যের ইজারা সুকুক ইস্যু করে। এরপর দেশটিতে ২০০২ সালে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈশ্বিক সুকুক বাজারে ছাড়া হয়। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকায় মালয়েশিয়ায় সুকুকের বাজার ক্রমে সম্প্রসারিত হচ্ছে।

উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন প্রথম সুকুক চালু করে। ২০০১ সালে দেশটির সরকার বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে ইজারাভিত্তিক সুকুক বাজারে ছাড়ে। ২০০৩ সালে কাতার ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সুকুক এবং ২০০৪ সালে বাহরাইন মনিটারি এজেন্সি ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সুকুক ছাড়ে। একই বছরে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক ‘সুকুক আল-ইস্তিসনা’ নামে বিশ্ববাজারে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের একটি নতুন হাইব্রিড সুকুক এবং দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে দুবাই ইসলামি ব্যাংক ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইজারা সুকুক বাজারে ছাড়ে। ২০০৫ সালে ইন্দোনেশীয় সরকার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ওভারসিস বন্ড বিক্রির পরিকল্পনা গ্রহণ করে, এর একটি অংশ ইসলামি পদ্ধতিতে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।

একই বছর এবিসি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ও আবুধাবি বাণিজ্যিক ব্যাংক একত্রে জাহাজে অর্থায়নের ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ‘আল-সাফিনা ইজারা’ সুকুক বাজারে ছাড়ে। সুকুক ইস্যুকারীর তালিকায় রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক, বাহরাইন কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সুদান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও কাতার সরকার। এ ছাড়াও করপোরেট সুকুক ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে আমিরাত এয়ারলাইন, কুম্পুলান গুথরিক অব মালয়েশিয়া, ইসলামি ব্যাংক আবুধাবি ও কাতার ইসলামি ব্যাংক।

বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি অমুসলিম দেশেও সুকুক বেশ সাফল্য ও গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। ২০০৬ সালে আমেরিকার ইস্ট ক্যামেরন পার্টনার্স প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মুশারাকা সুকুক এবং ২০০৯ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জেনারেল ইলেক্ট্রিক ক্যাপিটাল সুকুক লিমিটেড ইজারা সুকুক চালু করে। ২০০৯ সালে সিঙ্গাপুর প্রথম সার্বভৌম সুকুক চালু করে। ২০১১ সালে রাশিয়া ইসলামিক বন্ড সুকুক বাজারে ছাড়ে। রুশ প্রজাতন্ত্র তাতারিস্তানের রাজধানী কাজানে ওই বন্ড ছাড়া হয়। ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম বারের মতো সুকুক চালু করা হয়। এ সময় ব্রিটেনকে ইসলামিক অর্থনীতির কেন্দ্র ও সর্বজনীন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। একই বছর হংকংয়ে ‘ইজারা সুকুক’ চালু করা হয়। ইউরোপের অনেক দেশে ইসলামি সুকুক ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পুরনো দেশগুলোর পাশাপাশি কেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অনেক দেশই প্রথমবারের মতো সুকুক ইস্যু করতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে বন্ডের অবদান মাত্র ১২ ভাগ। অথচ পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তানের জিডিপিতে বন্ডের অবদান যথাক্রমে ৫৫, ৩৫ ও ৩১ ভাগ। দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিভিন্ন মেয়াদি প্রায় ২২১টি সরকারি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব বন্ডের আকার ডিএসইর বাজার মূলধনের প্রায় ১৬ ভাগ। নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষে কাক্সিক্ষত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বন্ড বাজারকে আরো শক্তিশালী করা দরকার। সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে বড় বড় সেতু, মেট্রো রেল ও রেললাইন সম্প্রসারণসহ বহু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব।

বিশেষভাবে ভূ-সম্পত্তি, ফ্লাট, স্থাপনা ইত্যাদি কেনাবেচার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আইনকানুন ইসলামি সুকুকবাজার সম্প্রসারণের উপযোগী করা দরকার। কেননা বিদ্যমান আইনে, এগুলো রেজিস্ট্রেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে যেতে হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে রেজিস্ট্রেশন না হলে তা বৈধ হয় না। এ ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সুকুক থেকে অর্জিত লাভের পুরোটাই ব্যয় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাজেই সুকুকবাজার সম্প্রসারণে এসব আইনগত বাধা দূর করতে হবে। এসব বাধা দূর করা হলে সম্পদভিত্তিক ইসলামি সুকুক দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিল্প সম্প্রসারণে একটি নতুন হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে।
(সংগৃহীত)

ঘি এর উপকারিতা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  দুগ্ধজাত খাবার।ঘি নাম শুনলেই যেন মনটা ভরে যায়।গরম ভাতে একটু ঘি হলেই যেন পুরো ভাতটা নিমিষেই খাওয়া হয়ে যায়।ভাতের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরে দীর্ঘক্ষণ শক্তি থাকে। ঘি এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। বিশেষ কিছু খাবারের স্বাদ বাড়াতে যেমন কাচ্চি বিরিয়ানীসহ আরো অন্যান্য খাবার তৈরিতে ঘিয়ের প্রয়োজন হয়। ঘি খেতে তো অনেকেই পছন্দ করেন আবার অনেকেই অপছন্দ করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না ঘিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে। ঘি তখনই শরীরের ক্ষতি করে, যখন তা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়। তাই ঘিয়ের উপকারিতা পাওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ মেনে ঘি খেতে হবে। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক ঘিয়ের উপকারিতা গুলো কি কি-

১। হাড়ের জন্য:- “ঘিয়ের ভিটামিন ‘কে’ ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিলে হাড়ের স্বাস্থ্য ও গঠন বজায় রাখে। স্বাস্থ্যকর ইনসুলিন ও শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে কাজে লাগে ভিটামিন ‘কে।” বলেন চ্যাডউইক। ঘিতে যেসব ভিটামিন রয়েছে -এ, ডি, ই এবং কে, যা আমাদের হৃৎপিন্ড,হাড়ের জন্য খুব উপকারী। এই ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট যা গিঁটে ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা সমাধানে কাজ করে। তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এটি অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে এবং হাড়কে ভালো রাখে।

২। চুল পড়া প্রতিরোধ করে:- খালি পেটে ঘি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। ঘি চুল নরম, উজ্জ্বল করতে উপকারী।

৩। উপকারি কোলস্টেরল:- কোলস্টেরল দু ধরনের- উপকারি ও ক্ষতিকর।ঘিতে রয়েছে উপকারি কোলস্টেরল। ঘিতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে।যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।

৪। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়/ব্রেন টনিক হিসেবে কাজ করে:- নিউট্রিশনিস্টদের মতে নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকবাবে ব্রেন পাওয়ারের উন্নতিতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এত উপস্থিত ওমাগা- ৬ এবং ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত বেশ কিছু গবেষমায় দেখা গেছে এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমারসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫। কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড- এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।

৬। ওজন কমায় ও এনার্জি বাড়ায়:- ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব দ্রুত এনার্জি বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।

৭। হজম ক্ষমতা বাড়ায়:- ঘিতে রয়েছে প্রচু বাটাইরিক অ্যাসিড, যা আমাদের খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে।যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাদের জন্য ঘি খুবই উপকারী।

৮। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:- প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকায়, ঘি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।ঘি এর বৈশিষ্ঠ্য হল নষ্ট হয় না- ঘি সহজে নষ্ট হয় না। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।

আরও পড়ুনঃ ঘি না মাখন, কোনটা বেশি উপকারী? ঘি খেলে কী মোটা হয় মানুষ?

৯। ক্ষিদে কমায়: ঘিতে ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড থাকায় এটি ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায়। ফলে ওজন হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়। অন্যমতে হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায়।

১০। পজিটিভ ফুড-:- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।

১১। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:- ঘিয়ের মধ্যে কোষকে পুনর্গঠন করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। ঘি ত্বককে ময়েশ্চার করে, ত্বকের রোগ সোরিয়াসিস কমাতে কাজ করে। প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে।

১২। ত্বকের প্রদাহ কমায়: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় সেই প্রাচীন কাল থেকেই ত্বককে মসৃণ করতে ঘিয়ের ব্য়বহার হয়ে আসছে। শুধু কী তাই, ত্বকের প্রদাহ, ক্ষত এবং পোড়ার দাগ মেটাতেও এটি দারুন কাজে আসে।

১৩। ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে: ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত ফ্রি রেডিকালদের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে অনেকেই ঘি সহযোগে রান্না করে থাকেন। এই অভ্যাসও কিন্তু খারাপ নয়। কারণ ঘি-এর “স্মোকিং পয়েন্ট” খুব হাই। ফলে বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলেও কোনও ক্ষতি হয় না।

১৪। চোখকে ভালো রাখে: ঘিতে রেয়েছ ভিটামিন -ই। তাই এটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে অবটিক নার্ভের উন্নতি ঘটে। ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।

১৫।আরও কিছু উপকারিতা: নিয়মিত ঘি খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
১৭।অ্যালার্জি কমায়: ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি।

চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অংশটুকু অবশিষ্ট থাকে ঘিতে। আর এই আমিষ অংশটিই পেটের গড়বড়ের জন্য দায়ী।”

“মাখনে থাকে ‘ক্যাসেইন’ ও ‘ল্যাকটোজ’, যা অনেকেরই হজম করতে সমস্যা হয়, অ্যালার্জি দেখা দেয়। মাখন থেকে এই উপাদানগুলো বের করে দিয়ে ঘি তৈরি করলে চর্বি ও পুষ্টিগুনগুলো পাওয়া সম্ভব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তবে আপনার ঘি সহ্য হয় কি না সেটা আগে নিশ্চিত হতে হবে।” -বলেন চ্যাডউইক।

১৮। প্রদাহরোধী: স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুনঃ অলিভ অয়েল ক্যান্সারের প্রবণতা কমায়, হার্ট ভালো রাখে

১৯। ভিটামিনের উৎস: বিশেষজ্ঞের মতে, “প্রাকৃতিকভাবেই ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লাইনোলেইক অ্যাসিড ও বিউটাইরিক অ্যাসিড থাকে। দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জননাঙ্গ ইত্যাদির জন্য ভিটামিন ‘এ’ অত্যন্ত উপকারী।

ঘিতে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ‘কে’, ‘ই’ এবং ‘বি টুয়েলভ’ থাকে।

ঘিয়ের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘কে’ চর্বিতে দ্রবণীয়। ফলে চর্বিজাতীয় খাবারের সঙ্গে খেলে শরীরে আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। শরীরের প্রয়োজনে ব্যবহৃতও হয় বেশি কার্যকরভাবে।”

২০। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান: কোষকে ‘অক্সিডেটিভ’ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। অক্সিজেনের সঙ্গে পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের যে ক্ষয় হয় তাই হচ্ছে ‘অক্সিডেটিভ’ ক্ষতি। শরীরে চিনি বেশি হলে, বিপাকীয় চাপ বেশি হলে, কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া ভালোভাবে কাজ না করলে এবং ইনসুলিনের অনিয়ম হলে এই সমস্যা হয়। অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যার ঝুঁকি কমাতে কিছুটা হলেও অবদান আছে ঘিয়ের।

২১। নষ্ট হয় না– ঘি সহজে নষ্ট হয় না। প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে ঘি।

২২।স্ফুটনাঙ্ক– ঘি-এর স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি। ২৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত খাঁটি ঘি গরম করা যায় যেমন বিডি হেলথ ঘি। অধিকাংশ তেলই এই তাপমাত্রায় গরম করলে ক্ষতিকারক হয়ে যায়।

২৩। কোষ্ঠকাঠিন্য: ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ন্যাচারাল লুব্রিকেটিং, যা এক ধরনের পিচ্ছিল উপদান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তারা এক কাপ দুধের মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলার ওপর রাখুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি পান করুন।

২৪। স্বাদ: সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

২5। ভিটামিন: ভিটামিন এ ও ই থাকায় ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর।

২৬। রূপচর্চা: রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এক চামচ ঘি নিয়ে আপনার চোখের চারপাশে মাখুন। এবার সারা মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিন। আই ক্রিমের পাশাপাশি এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে ত্বকে শুষ্কতা দূর করতে এটি উপকারী।

২৭। রাগ প্রশমন:বিশেষ কোনো কারণে কিংবা বিনা কারণে খুব রেগে গেছেন। গ্লাস ভাঙে কিংবা কুটিকুটি করে কাগজ ছিঁড়েও কাজ হচ্ছে না। হাতে একটু ঘি নিয়ে নাকে লাগান। এবার স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিন। দেখবেন এর সুগন্ধটা আপনার মন আর মস্তিষ্ককে বশে এনে ফেলেছে। আর রাগের বিষয়টি— ততক্ষণে ভুলে গেছেন আপনি।

২৮। মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমায়:

ঘি’তে লিনলিয়েক এসিড সমৃদ্ধ, এটি এক প্রকার ফ্যাটি এসিড যা প্লাককে প্রতিরোধ করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হার্টের বিভিন্ন রোগ দূর করে।

২৯। কোষ্ঠকাঠিন্যে: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁদের জন্য ঘি খুবই উপকারী।

৩০। মানসিক বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা মুছে ফেলে:

গবেষণায় দেখা যায়, নেতিবাচক আবেগের একটি রাসায়নিক রচনা রয়েছে এবং তা হল এইসব রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। ঘি একটি সুস্থ চর্বি যা এই আবেগ পোষণ করে না। এর পরিবর্তে এটি তাদের খুঁজে ফ্লাশ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংগৃহীত

রোববার থেকে দেশজুড়ে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি; ঢাকায় ক্যাবল কাটার প্রতিবাদ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ অব্যাহতভাবে ক্যাবল কাটার প্রতিবাদে রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে বন্ধ ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ঝুলন্ত তার অপসারণ অভিযান শুরু করেছে। এতে কাটা পড়ছে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তারগুলো। ঢাকায় এমনটি ঘটলেও কমসূচি দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে সারা দেশেই।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমএ হাকিম বলেন, ‘আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ক্যাবল কাটা বন্ধ না হলে আগামী ১৮ অক্টোবর রোববার থেকে সারা দেশে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, ব্যাংকসহ সকল পর্যায়ে ইন্টারনেট ডেটা কানেক্টিভিটি ও কেবল টিভির সেবা প্রতীকীভাবে বন্ধ রাখা হবে। যতদিন আমাদের এই সমস্যার সমাধান না হচ্ছে, ততদিন তিন ঘণ্টা করে সেবা বন্ধ থাকবে।’

এর আগে গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নেতৃবৃন্দ সেবা বন্ধের এ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ডাটা কানেক্টিভিটি এবং ক্যাবল টিভি বন্ধ রাখার প্রতীকী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আইএসপিএবি ও কোয়াব। বিকল্প ব্যবস্থা না করে বিনা নোটিশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক অপসারণের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্যাবল সংযোগ দিতে হয়েছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি অপারেটর ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সৌজন্যে

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

হাশরের ময়দানে ৫টি প্রশ্নের উত্তর না দেয়া পর্যন্ত এক কদমও নরতে পারবে না কেউ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল আ.-কে বললেন, যাও, জান্নাত দেখে আস। হযরত জিবরাইল আ. গিয়ে জান্নাত এবং জান্নাতের বাসিন্দাদের জন্য যেই সব জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের কসম! যে কেউ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই তাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের ইচ্ছা করবে)।

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল আ.-কে বললেন, হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস। তিনি গিয়ে তা দেখে আসলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! এবার যা কিছু দেখলাম, এর প্রবেশপথ তো খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। আমার আশংকা হচ্ছে যে, এই কষ্ট পার করে একজনও হয়তো তাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আসো। তিনি দেখে এসে বলবেন, হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের কসম! যে কেউ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও তাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে তা থেকে বেঁচে থাকতে পারে)।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন, এর প্রবেশপথকে সহজ করে দিলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার তা দেখে আস।
হযরত জিবরাইল আ. গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও জাহান্নামে প্রবেশ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবে না। [আবু দাউদ- হা/৪৭৪৬, তিরমিযী- হা/২৫৬০, নাসাঈ- হা/৩৭৬৩, মিশকাত- হা/৫৪৫২]
রাসুল সা. আরো বলেছেন, ‘আমি জাহান্নামের চেয়ে ভয়ংকর কোন জিনিস কখনও দেখিনি, যা থেকে এর প্রত্যাশিত পলায়নকারীরা ঘুমন্ত। আমি জান্নাতের চেয়ে লোভনীয় কিছু দেখিনি, যার সন্ধানকারীরাও ঘুমন্ত।’ (সহিহ তিরমিযী: ২৫২৬)

বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ৩৬২ তম দোহাজারী শাখা উদ্বোধন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ৩৬২ তম দোহাজারী শাখা  অদ্য ১৫ অক্টোবর, ২০২০ তারিখ উদ্বোধন করা হয়। 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোন প্রধান জনাব ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন ব্যাংকের সম্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও জনাব মোহাম্মদ মাহাবুব উল আলম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ব্যাংকের সম্মানিত এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মুনিরুল মওলা, জনাব কায়সার আলী, জনাব ওমর ফারুক খান, ডিএমডি মোশাররফ হোসেন। 

অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য মানবৃন্দের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ইমতিয়াজ হোসেন, চন্দনাইশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব জাফর আলী হিরু, দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, হাজারী শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জনাব লোকমান হাকিম, সাংগু লিমিটেড এর পরিচালক জনাব মঈনুদ্দিন রাসেল,খান প্লাজার সভাপতি ডা; আবদুর রহমান, হাজারী টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি জনাব নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর৩৬২ তম দোহাজারী শাখা  অদ্য ১৫ অক্টোবর, ২০২০ তারিখ২০২০টা হিসাব খোলার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো। 

ছাত্র আজিজুল ইসলামের মৃত্যুতে আইআইউসি’র ভিসির শোক ও উদ্বেগ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্র্রাম’র ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মোঃ আজিজুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র ভিসি প্রফেসর কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিন গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গত সোমবার ঢাকার হাতিরঝিল লেক থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় আজিজুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের ধারণা ছিনতাইকারীদের হাতে সে নিহত হয়েছে। আইআইউসি’র পক্ষ থেকে গতকাল নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। 

আজিজুল ইসলাম মেহেদীর হত্যার রহস্য উদঘাটন

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...