* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

আহ্বান আব্দুল হান্নান চৌধুরী

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ

দিন শে‌ষে সন্ধ্যা পে‌রি‌য়ে

নে‌মে আ‌সে আধাঁর রাত,
পা‌খির কোলাহ‌ল থে‌মে গে‌ছে কবে
মা‌ঝে মা‌ঝে আ‌লো জ্ব‌লে আকস্মাৎ।

আপন কর্ম সে‌রে মাবকুল স‌বে
‌ফি‌রে যায় যার যার আপন ঘ‌রে,
‌দি‌নের কোলাহোলে পূর্ণ শহর
রা‌তে নীরব নিস্তব্দ হ‌য়ে প‌ড়ে।

ল্যাম্প পোস্ট‌ে‌র লাইটগু‌লো
জ্ব‌লে উ‌ঠে ধী‌রে ধী‌রে,
তার নী‌চে আসন গে‌ড়ে‌ছে
‌ছিন্নমূল মানব সক‌লে।

গভীর থে‌কে গভীর হয় রাত আ‌রো
বাড়‌তে থা‌কে শী‌তের তীব্রতা,
কুয়াশার চাঁদ‌রে ঢে‌কে যায় গোটা শহর
‌ঢে‌কে যায় চা‌ঁদের স্ন‌ি‌গ্ধতা।

‌নীরব নিস্তব্দ শুনশান নীরবতা
কোথাও নেই কো‌নো কার‌ো সাড়া,
রাস্তার ধা‌রে আড়ষ্ট হ‌য়ে প‌ড়ে আ‌ছে
কত শত আদম গৃহ হারা।

দিন আ‌নে দিন খায় তারা
নেই এতটুকু মাথা গুজার ঠাই,
ফুটপাতই তা‌দের ঘর বাড়ী
ফুটপা‌তেই‌ তাদের ঠাঁই।

কন ক‌নে শী‌তের রা‌তে তারা
প‌ড়ে আ‌ছে রাস্তার ধা‌রে,
শীত নিবার‌নের নেই এতটুকু কাপড়
কত অসহায় তারা হায়‌রে।

এ‌সো স‌বে একসা‌থে ত‌বে
অসহায় মানু‌ষের পা‌শে দাড়াই,
যার যা আ‌ছে তাই দি‌য়ে চ‌লো
তা‌দের দুঃখটা গোছাই।
প্রকাশ ২৩ ডি‌সেম্বর ২০১৯ 

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০

কিভাবে সম্ভব যে আমরা দুইজন একই জান্নাতে অবস্থান করব?!!!

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ একটার দিকে হানিফ পরিবহনে উঠলাম। আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছেন হুজুরটাইপ একজন লোক।

.
তিনি বাস ছাড়ার পরপরই সুপারভাইজারকে বললেন ভাই আমি জুমা পড়বো। নামাজের খুতবার আগে দাঁড়াবেন। সোয়া একটায় দাঁড়ালেই চলবে।
.
বাস যখন চৌদ্দগ্রাম বাজার পার হচ্ছে তখন সোয়া একটা। তিনি উঠে গিয়ে সুপারভাইজারকে বললেন "ভাই সোয়া একটা বাজে। দাঁড়ান না! খুতবা না শুনলে জুমা সম্পূর্ণ হয় না!"
.
আমার তখন চোখে ঘুম ঘুম ভাব। হালকা করে কানে বাজছে ভদ্রলোকের সাথে সুপারভাইজারের বাতচিত। শুধু সুপারভাইজার না আরো কয়েকজন যাত্রী বলছে নামাজ দেড়টায়। একটা পঁচিশে দাঁড়ালেই হবে।
বাসের সে যাত্রীদের মত আমরা অনেকেই জুমার নামাজ পড়াটাকে দায়সারা গোছের বানিয়ে ফেলেছি। শুক্রবার দুপুরে খুতবার শেষ দিকে মসজিদে ঢুকি ও ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর কত দ্রুত মসজিদ থেকে বের হওয়া যায় সে রাস্তা খুঁজি।
.
আমি চোখ খুলেই বললাম সুপারভাইজার সাহেব, বাস দাঁড় করান। ওযু করার একটা সময়ও লাগবে তো!
ভদ্রলোক বললেন আমার ওযু আছে ভাই।
.
অন্যদের অব্যাহত একটা পঁচিশ দাবির মুখে আমার কন্ঠ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। বাস ড্রাইভার একটা পঁচিশে দেখেন রাস্তার পাশে মসজিদ পাচ্ছেন না! আরো মিনিট তিনেক পর ফেনীর ফতেহপুরের দিকে একটা মসজিদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। ততক্ষণে নামাজ প্রায় শেষ!
.
ভদ্রলোক দৌড়ে গিয়ে নামাজ ধরতে ধরতে ইমাম সাহেব সালাম ফিরিয়েছেন!
.
বাসে এতগুলো পুরুষ মানুষ। কারো কোন বিকার নেই শুধু ওই ব্যক্তি ছাড়া। আমি বাসের জানালা দিয়ে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে তাকে নামাজ আদায় করতে দেখছি। জুমা মিস করে ফেলায় সম্ভবত জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন।
.
এতক্ষণ বাস একটা পঁচিশে দাঁড়াতে বলা লোকগুলো দ্রুত আশেপাশে চা দোকান খোঁজা শুরু করলো। কেউ কেউ বেনসন সিগারেট না পাওয়ায় বিরক্ত। গ্রামের দোকানে বেনসন না পাওয়া শীর্ষক হতাশা শুনলাম দুজনের গলায়। একজন বিস্কুট কীভাবে পাঁচ টাকা পিস হয় তা নিয়ে দোকানদারের সাথে ঝগড়া করছে।
এক মহিলা বাচ্চার জন্য চিপস কিনতে এসেছেন। শুকনা সুপারি দিয়ে পান খাচ্ছেন দু'জন। আর আমি জানালা দিয়ে ওই আল্লাহর বান্দাকে দেখছি।
সুপারভাইজার তখন ইমাম সাহেব কেনো নামাজ তাড়াতাড়ি শুরু করেছেন এটা নিয়ে রাগে গজগজ করছেন!
.
দশ মিনিট পর বাস ছাড়লো। সুপারভাইজার বারবার লোকটাকে শুনিয়ে বলছিলো : "আইজকা আগে দাঁড়াই গেছে ইমাম সাব।"
.
আমি ভেবেছিলাম ভদ্রলোক খুব রেগে যাবেন। আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি একটা কথাও বলেননি। শুধু মাথা নিচু করে নিজের আসনে বসে ছিলেন।
আমার কোণাকুণি সামনের সিটে বসেছিলেন বলে আমি তাকে দেখছিলাম।
.
পুরোটা পথ আর মাথা তোলেননি। সুপারভাইজারও আর কিছু বলেননি। শুধু মসজিদ্দা স্কুল পার হওয়ার সময় বলেছিলেন আমাকে রয়েল সিমেন্ট কোম্পানির সামনে নামাই দিয়েন। ভদ্রলোক উঠে সামনে যাচ্ছিলেন। সুপারভাইজার তার ব্যাগটা হাতে নিয়ে বললো ভাই কিছু মনে করিয়েন না!
.
লোকটা আমাকে সর্বোচ্চ অবাক করে দিয়ে সুপারভাইজারের চোখের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কাঁপিয়ে দুই চোখে পানি ঝরিয়ে দিয়ে বললো -
"ভাই জুমার নামাজটা পড়তে পারলাম না!"
.
একজন বাবা তার দুই দশক ধরে লালিত পালিত একমাত্র কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় "আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো" বলতে যেভাবে কাঁদে একজন মানুষ এক ওয়াক্ত জুমার নামাজ পড়তে না পেরে যেনো তেমন আবেগেই কথাটা বললো!

এই ঘটনাটার পড়ে আমি নিজেকে নিয়ে ভাবিঃ
ঐ ভদ্রলোক যে জান্নাতের স্বপ্ন দেখেন, আমিও সে একই জান্নাতের স্বপ্ন দেখি। তাহলে আমাদের মধ্যে এত পার্থক্য কেন! কিভাবে সম্ভব যে আমরা দুইজন একই জান্নাতে অবস্থান করব?!!!
***COLLECTED***

সুখ আল্লাহ একেকজনকে একেক ভাবে দেন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চিতুই পিঠা খাচ্ছিলাম। তো পাশেই এক রিকশাওয়ালা ভাইও পিঠা খাচ্ছিলো।

পেছন থেকে একটা আওয়াজ "আব্বুউউ, আরো ২ টা পিঠা দ্যাও"

এইটা শুনেই পিছনে তাকিয়ে দেখি যে সেই রিকশাওয়ালা ভাইয়ের স্ত্রী আর সন্তান রিকশাতে....তারা পিঠা খাচ্ছে।

তো পিঠার সিরিয়াল ছিল আমার। আমি আমার গুলাই তাকে দিয়ে বললাম তাদের দিয়ে আসেন। আমি একটু পর খাবো....

তাদের পিঠা দিয়ে এসে উনি আমায় বললো, "আজকা মায় ফুতের শখ হইছে রিকশায় ঘুরবো, ঘুরাইতাছি, হপ্তায় একদিন ঘুরান লাগে হেগোরে"

এর ভেতরই আবার তার ছেলে বলে উঠলো, "আরো ২ ডা পিঠা নাও আব্বু, বাইত গিয়া খামু"

তখন আমার সিরিয়ালের পিঠা আবার আমার হাতে। আবার দিয়ে দিলাম তারে।

তখন আমারে উনি বললো, "বাই আমনের দেরি অইতাছেনা?"

বললাম, আপনাগো বাপ মা আর পোলার সুখ দেখি। একটু দেরি হইলে সমস্যা নাই।

সুখ আল্লাহ একেকজনকে একেক ভাবে দেয়। এই বাবাও কোনদিন সেই গাড়িতে চড়াতে পারবেনা তার সন্তানকে, আর সেই বাবাও শীতের দিনে ভর্তা দিয়ে চিতুই খাওয়ার স্বাদ দিতে পারবেনা তার সন্তানকে।

বাট মূল ব্যাপারটা হলো শুকরিয়া।
শুকরিয়া আদায় না করলে সারা দুনিয়ার টাকা পকেটে দিলেও মনে হবে সুখ নাই।

আরেকদিকে দৈনিক ৩০০ টাকা ইনকাম করেও যে সুখের দেখা কেউ পেয়ে গেছে তা হিসেব করার ক্যালকুলেটর আপনার আমার কাছে নাই....

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

চান্দগাঁও‘র খোলাপাড়ায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় এবং চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাবের সার্বি ক সহযেগিতায় ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের খোলাপাড়ায় কম্বল (শীতবস্ত্র)  বিতরণ করা হয়।

শনিবার (২১ নভেম্বর ২০২০) চান্দগাঁও এর খোলা পাড়ায় সানোয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিনামূল্য খতনা ক্যাম্প, চক্ষু চিকিৎসা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও করোনা সু রক্ষা সামগ্রী এবং (শীতবস্ত্র) ১০০ পিচ কম্বল বিতরন করা হয়।

খোলাপাড়া মসজিদের মোতোয়াল্লী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাউছিয়া বাংলাদেশ কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশিনার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড’র সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন থালেদ সাইফু। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবু নাসের মোঃ রনি, বিশিষ্ট সমাজকর্মী মুহাম্মদ আব্দুল হালীম লা্য়ন্স ক্লাব ও গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


বাঁচতে চায় ছাদিকুর রহমান মিছবাহ: সহযোগিতার আবেদন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মাদার বাজারের এক সময়ের সফল এবং জনপ্রিয় ব্যাবসায়ী ছাদিকুর রহমান মিছবাহ। সবাই যাকে এক নামে চিনতো। সেই মিছবাহ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ২০১৮ সালে। 

২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত মিছবাহ এর চিকিৎসা বাবদ / লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এখনও ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা লাগবে। 

যা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব না, মিছবার বাবা নেই এমন কি কোন ভাই নেই। একমাত্র মা তিনি নিজেও এখন অসুস্থ।


 

এতোদিন আত্মীয়স্বজন এবং এলাকার দানশীল ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের সহোযোগিতায় সাধ্যমত চিকিৎসা চালিয়েছেন। এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি মাসে দুইবার কেমোথেরাপী দিতে হয়। যার ব্যায় নিতান্ত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

 আজ / মাস চলছে মুখে খাবার বন্ধ। গলায় শ্বাসনালীতে পাইপ লাগানো আছে।

 

ঠিকানাঃ-

নামঃ- ছাদিকুর রহমান মিছবাহ

গ্রামঃ- লতিব পুর

ডাকঃ- লতিব পুর

থানাঃ- ওসমানী নগর

উপজেলাঃ- ওসমানী নগর

জেলাঃ- সিলেট।

মোবাইল নংঃ- ০১৭১১-৯৮৩৩২৬


 বৃদ্ধ ও অসহায় মায়ের একমাত্র সন্তান এবং ৩ জন অবুঝ সন্তানের পিতা ছাদিকুর রহমান মিছবাহ বাঁচতে চায়! তাই সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে সরাসরি এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

📞+88-01711-983326

 Bkash  (Personal) Number: 01711-983326

 

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

জমিজমা সংক্রান্ত কিছু জরুরী তথ্যঃ মোঃ বাহার উদ্দিন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমি একজন ব্যাংকার। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বানিজ্যিক ব্যাংক "জনতা ব্যাংক লিমিটেড" এর ম্যানেজার। পেশাগত কারনে প্রায়ই আমাকে জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখতে হয় এবং ঘাটাঘাটি করতে হয়। কিছুদিন আগে রাজধানী ঢাকার বেইলী রোডে অবস্থিত "জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ" এ "ডকুমেস্টেশন অব লোন এন্ড এডভান্সেস" শীর্ষক একটি ট্রেইনিং সেশনে অংশগ্রহন করেছিলাম। জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ফ্যাকাল্টি মেম্বারগন ছাড়াও সেই ট্রেইনিং সেশনে আরও অংশগ্রহণ করেছিলেন ভুমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ল্যান্ড রিফর্ম বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মুন্সি শাহাবুদ্দীন আহমেদ। উনার নিকট থেকে প্রাপ্ত ভুমি সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

খতিয়ানঃ

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।

সি এস খতিয়ানঃ

১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

এস এ খতিয়ানঃ

১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র
খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ানঃ

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

বি এস খতিয়ানঃ

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সালে পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।

দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।

খানাপুরি” কাকে বলে?

জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

নামজারি কাকে বলে ?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।

তফসিল” কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

দাগ” নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?

দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।
যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।

ছুটা দাগ” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।

পর্চা কীঃ / “পর্চা” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।

চিটা কাকে বলে?

একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।

দখলনামা কাকে বলে?

দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।
সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।

“খাজনা” ককে বলে?

সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।

বয়নামা কাকে বলে?

১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা নামে পরিচিত।
বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে।
যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।

জমাবন্দিঃ

জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।

দাখিলা কাকে বলে?

সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে নির্দিষ্ট ফর্ম বা রশিদ ( ফর্ম নং১০৭৭) প্রদান করা হয় তা দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।
দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।

DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

“কবুলিয়ত” কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

“ফারায়েজ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।

“ওয়ারিশ” কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলেতার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।

হুকুমনামা কাকে বলে?

আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।

জমা খারিজ কিঃ

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

“মৌজা” কাকে বলে?

CS জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা আলাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।

“আমিন” কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?

ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।

“সিকস্তি” কাকে বলে?

নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

“পয়ন্তি” কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।
---------------------------------
আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী বসতভিটা এবং চাষাবাদযোগ্য জমিকে নির্ভেজাল রাখতে আপনি সচেতন হোন।
---------------------------------
===============================
মো: বাহার উদ্দিন
ম্যানেজার
জনতা ব্যাংক লিমিটেড।
সদস্য, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, ঢাকা।
এক্স-ফ্যাকাল্টি
গ্রীনহিল স্টেট কলেজ, সিলেট।
এবং সীমান্তিক কলেজ, সিলেট।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...