বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চিতুই পিঠা খাচ্ছিলাম। তো পাশেই এক রিকশাওয়ালা ভাইও পিঠা খাচ্ছিলো।
পেছন থেকে একটা আওয়াজ "আব্বুউউ, আরো ২ টা পিঠা দ্যাও"
এইটা শুনেই পিছনে তাকিয়ে দেখি যে সেই রিকশাওয়ালা ভাইয়ের স্ত্রী আর সন্তান রিকশাতে....তারা পিঠা খাচ্ছে।
তো পিঠার সিরিয়াল ছিল আমার। আমি আমার গুলাই তাকে দিয়ে বললাম তাদের দিয়ে আসেন। আমি একটু পর খাবো....
তাদের পিঠা দিয়ে এসে উনি আমায় বললো, "আজকা মায় ফুতের শখ হইছে রিকশায় ঘুরবো, ঘুরাইতাছি, হপ্তায় একদিন ঘুরান লাগে হেগোরে"
এর ভেতরই আবার তার ছেলে বলে উঠলো, "আরো ২ ডা পিঠা নাও আব্বু, বাইত গিয়া খামু"
তখন আমার সিরিয়ালের পিঠা আবার আমার হাতে। আবার দিয়ে দিলাম তারে।
তখন আমারে উনি বললো, "বাই আমনের দেরি অইতাছেনা?"
বললাম, আপনাগো বাপ মা আর পোলার সুখ দেখি। একটু দেরি হইলে সমস্যা নাই।
সুখ আল্লাহ একেকজনকে একেক ভাবে দেয়। এই বাবাও কোনদিন সেই গাড়িতে চড়াতে পারবেনা তার সন্তানকে, আর সেই বাবাও শীতের দিনে ভর্তা দিয়ে চিতুই খাওয়ার স্বাদ দিতে পারবেনা তার সন্তানকে।
বাট মূল ব্যাপারটা হলো শুকরিয়া।
শুকরিয়া আদায় না করলে সারা দুনিয়ার টাকা পকেটে দিলেও মনে হবে সুখ নাই।
আরেকদিকে দৈনিক ৩০০ টাকা ইনকাম করেও যে সুখের দেখা কেউ পেয়ে গেছে তা হিসেব করার ক্যালকুলেটর আপনার আমার কাছে নাই....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন