* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০

"যে শহরে কেউ ক্ষুধার্ত থাকে না"

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ না,এটি কুয়েত, আমিরাত, সৌদি আরব ,কাতার , বাহরাইন বা ওমানের কোন শহর নয়,এটি ফিলিস্তিনের ছোট একটি শহর মদীনাতু খলীল বা খলীল শহর। এখানে একটি মসজিদ আছে তা মসজিদে ইব্রাহীম নামে পরিচিত। মসজিদ সংলগ্ন একটি রেষ্ট হাউস বা মুসাফিরখানা, এখানে গমগুঁড়া ও গোশত মিশিয়ে ওদেশের জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়, প্রতিদিন দুপুরে ৫০০ থেকে ৩০০০ পরিবারের সদস্যরা পরিতৃপ্তির সাথে খাবার খেয়ে থাকেন। এই খানা তৈরি ও পরিবেশনের জন্য একটি দাতব্য সংস্থা যুগ যুগ ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, শহরের বিত্তবানদের সহায়তায় বছরের প্রতিদিন ই এই কর্মসূচি চালু আছে, উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে সুলতান সালাহউদ্দিন আইউবী পরবর্তী সময়ে সুলতান কালূন সালেহী ১২৭৯খৃ:সালে এই মুসাফির খানা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ,তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ,এ সিলসিলা চালু আছে নবী ইব্রাহিম খলিলের যামানা থেকেই, কারণ তিনি মেহমান ছাড়া খাবার খেতে বসতেন না।
তাকিয়ায়ে ইবরাহিমী নামে পরিচিত এই খাবার খাওয়ার জন্য দূর থেকে ও মুসাফির সমবেত হয়ে থাকেন, তাদের থাকার জন্য অত্যাধুনিক রেষ্ট হাউস আছে , মসজিদে ইব্রাহিমীর সম্প্রসারন ও সংস্কারের জন্য মুসাফির খানা ও একটু দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং এটি ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে খাবার পরিবেশন সহজিকরণ ও ভিড় এড়াতে আগ্রহী পরিবার গুলো কে পাঁচজন লোকের খাবার নেয়ার মত বড় পাত্র নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে বলা হয়ে থাকে।
ইব্রাহিম খলিল আলাইহিস সালাম এর মেহমানদারি পাঁচ হাজার বছর ধরে বংশানুক্রমে চলে আসছে, সুতরাং মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি পরিবার যদি মেহমানদারির এ ই সুন্নাহ চালু রাখতে সচেষ্ট হন, তবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হয়তো তা টিকিয়ে রাখতে সচেষ্ট হবেন।
খলীল শহরের দানশীল ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এখানে কেউ ক্ষুধার্ত থাকলে আমরা লজ্জিত হবার ভয়ে আপ্রান চেষ্টা করি, আল্লাহর রহমতে কখনো কোন অসুবিধা হয়নি।
(সংগৃহীত)

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

ব্যক্তিগত উপলব্ধি: ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতিক বৈচিত্র।

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমরা এখন অন্য সংস্কৃতির টেলিভিশনের প্রোগ্রাম‌ দেখি, একই পণ্য ক্রয় করি, একই খাবার খাই, একই খেলাধুলা উপভোগ করি, গ্লোবাল সেলিব্রেটিদের নিয়ে মাতামাতি করি, সমর্থন বা সমালোচনা করি ।

আমাদের শাবানা আলমগীর রাজ্জাক ববিতা কবরি বুলবুল আহমেদ সুচন্দা রোজিনারা নেই! কোথায় গেল পুরনো দিনের গান, পল্লীগীতি, ছায়াছবির গানের অনুষ্ঠান ছায়াবানী, ছায়া ছন্দ! সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি পাউরুটি জেলি স্যান্ডউইচ নুডুলস।

ক্রিকেট ফুটবল আমাদের প্রাণের খেলা। কাবাডি হাডুডু বলি খেলা গোল্লাছুট ছোটাছুটি ষাড়ের লড়াই প্রায় ভুলেই গিয়েছি। এই প্রজন্ম এগুলোর নাম শুনেনি,এগুলোর কথা জিজ্ঞেস করলে চোখ বড় করে তাকায়! মাছে ভাতে বাঙালি আমরা। আগে তিন বেলা ভাত খেতাম আর এখন! মেনুতে যেদিন মাছ থাকবে সেদিন সোনামণিরা উপোস থাকবেন কিন্তু খাবেন না! মাছ, মুরগিতে যুক্ত হয়েছে দেশি-বিদেশি! বাবুরা কাঁঠাল চিনেন কিন্তু কাঁঠাল গাছ চেনেন না! স্কুল দেখে, স্কুলের মাঠ দেখেনা!

কাজিন(Cousin) বলে চাচাতো মামাতো খালাতো ফুফাতো ভাই-বোনদের সম্বোধন করতে গিয়ে আমাদের সম্পর্ক নির্ধারণ এখন নতুন কলোনাইজেশন! আমাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কের আলাদা আলাদা অর্থ আছে, যা কিন্তু আন্টি, আঙ্কেল বা কাজিন দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়। যিনি আমার ফুফু তিনি আমার খালা নন। আমার চাচি কিন্তু আমার মামী নন। আমাদের আব্বা পরে হলেন বাবা, আব্বু এখন কিন্তু ডেড! আমাদের সংস্কৃতি গিলে খাচ্ছে শকুন। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতিক বৈচিত্র।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...