* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

না‌জের চৌধুরী ইন্তেকালে আবদুল হান্নান চ্যেধুরীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ উত্তর কাট্টলী পন্ড‌ি‌ত বাড়ী নিবাসী মরহুম মোস‌লেম উদ্দীন চৌধুরীর ২য় পুত্র আবদুল হান্নান ছৌধুরীর চাচাত ভাই মোঃ না‌জের চৌধুরী গত রাত ১টার সময় নিজ বাস ভব‌নে ইন্ত‌ে‌কাল ক‌রে‌ছেন।ইন্না‌ লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই‌হি রা‌জিউন।
আজ(২৭ জুলাই) দুপুর ২টার সময় বাইতুল মোকাদ্দাস জা‌মে মস‌জি‌দে মরহু‌মের নামা‌জে জানাজা অনুষ্ঠ‌িত হবে। চাচাতো ভাই’র ইন্তেকালে আবদুল হান্নান চ্যেধুরী গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন। তিনি শোক বার্তায় মরহুম নাজের চৌধুরীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, মহান আল্লাহ তা‌কে জান্নাতবাসী করুন।আ‌মিন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়াও জাহেদুল ইসলাম চ্যেধুরী মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন্ আরো যারা শোক প্রকাশ করেছেন, আবু হানিফা মোহাম্মদ নোমান, বেলাল উদ্দিন, মুহাম্মদ সাজেদ আহমেদ, মোহাম্মদ শাহ্ জাহান, এডভোকেট আরিফুর রহমান, এসকান্দার মির্জা, আকতারুল ইসলাম আপ্পি, টি. হাসান শাওন, এ.কে. রাফি, শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

বই পরিচিতিঃ : ইসলামের দৃষ্টিতে পোশাক পর্দা ও সাজসজ্জা

বই : ইসলামের দৃষ্টিতে পোশাক পর্দা ও সাজসজ্জা
লেখক : ড. আহমদ আলী
প্রকাশনা : বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার
নির্ধারিত মূল্য : ১৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭২

রিভিউ লেখক :
Rashed Mohammad Zia
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

📚 বই পরিচিতি :

সমগ্র বিশ্বের মুসলিমরা ধর্মীয় দিক থেকে এক জাতি হলেও আমাদের মধ্যে রয়েছে বর্ণ, আচার -আচরণ ও অভ্যাসগত নানা ভিন্নতা ও পার্থক্য। জীবনযাত্রায় রয়েছে স্পষ্ট বৈচিত্র্য। ভাষা- উপভাষার দিক থেকেও রয়েছে পরিষ্কার প্রভেদ। তাই আমরা দেখি, একেক দেশের মুসলিম জনসাধারণের পোশাক ও সাজসজ্জার ধরণ একেকরকম। আরবীদের জাতীয় পোশাক জুব্বা আর পাকিস্তানের জাতীয় পোশাক পাজামা - পাঞ্জাবি। ইউরোপীয়ান মুসলিমরা সালাতের সময় টুপি খুব কমই পড়ে, অথচ আমরা টুপিবিহীন নামাজ পড়তে অনভ্যস্ত সে শৈশব থেকেই।

নানা দেশের মুসলিমদের জীবনযাপনে ও পোশাকাদিতে ভিন্নতা দেখে আমরা অনেকে কৌতূহলী হয়ে এই ধরণের পোশাক পরিধান ও সাজসজ্জার ব্যাপারে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি জানতে বিভিন্ন বইপত্র খুঁজতে থাকি। বাংলা ভাষায় নারী-পুরুষের শারীরিক সাজসজ্জা ও পোশাক পরিধানের উপর ছোটবড় বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। আমি মনে করি, নারী পুরুষের দৈনন্দিন জীবনে পরিধেয় পোশাক ও শারীরিক প্রয়োজনীয় সাজসজ্জা' সম্পর্কে শর'ঈ বিশ্লেষণ জানতে হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শায়খ ড. আহমদ আলীর 'ইসলামের দৃষ্টিতে পোশাক, পর্দা ও সাজসজ্জা' বইটি যে কারো জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী হবে। প্রসঙ্গত এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য এ সম্পর্কিত উপকারী আরেকটা বই হল, ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) এর রচিত 'কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা' বইটি।

📖বইয়ের ভিতরবাহির :

রুচিসম্মত প্রচ্ছদ, মজবুত বাঁধাই, উন্নত কাগজ' ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার ভেতরগত পরিধির পৃথক অবস্থানের কারণে বইটি দেখতে ও স্পর্শ করতেও মনে আনন্দ অনুভব হয়।

বিজ্ঞ লেখক ড. আহমদ আলী তাঁর এ বইটি মোট ৮টি অধ্যায়ের অধীনে বিন্যস্ত করেছেন। পাঠকদের জানার সুবিধার্থে আমি অধ্যায়সমূহের শিরোনাম এখানে উল্লেখ করছি।
১. পোশাকের মূলনীতি, বিভিন্ন বস্ত্র ও রঙ
২. পুরুষদের পোশাক
৩. পুরুষদের সাজসজ্জা
৪. নারী - পুরুষের সাতর ( লজ্জাস্থান)
৫. পর্দা কী, কেন ও কীভাবে
৬. মহিলাদের পোশাক
৭. মহিলাদের সৌন্দর্য ও রূপচর্চা
৮. মহিলাদের অলঙ্কার ব্যবহার

উপরিউক্ত প্রতিটি অধ্যায়ের অধীনে শিরোনামের সাথে সাদৃশ্য রেখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্ভরযোগ্য বর্ণনানুযায়ী আদ্যোপান্ত আলোচনা লেখক অত্যন্ত চমৎকারিত্বের সাথে উপস্থাপন করেছেন। বর্তমান আমাদের সমাজে এবং দেশে ও বিদেশে প্রচলিত মুসলিম নারী - পুরুষের পোশাক ও স্বাভাবিক সাজসজ্জা সম্পর্কিত খুঁটিনাটি সব মৌলিক আলোচনা তিনি এখানে নিয়ে এসেছেন। তাই আমি মনে করি, সময়োপযোগী এ বইটি বাংলাভাষী প্রতিটি মুসলিম পরিবারের সংগ্রহে থাকা প্রয়োজন।

☀️বইটি কেন সবার জন্য প্রয়োজন :

আমরা মুসলিম হিসেবে জীবনের প্রতিটি বিষয়কে দ্বীনি রঙ্গে রঙ্গিন রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই পোশাক এবং সাজসজ্জাও ইসলামী নিয়মেই আমরা অনুসরণ করতে পছন্দ করি। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকে গোঁড়ামিপূর্ণ আবার কেউ কেউ সীমালঙ্ঘনপূর্ণ মনোভাব লালন করি। যার উভয়টিই ক্ষতিকর। ইসলামী পোশাকের মূলনীতি সম্পর্কে লেখক খুবই চমৎকার বলেছেন ; "বস্তুত ইসলামী শারী'আত মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য কোন পোশাক নির্দিষ্ট করে দেয়নি। সাতর ঢাকার জন্য কতকগুলো শর্ত ও সীমারেখা দিয়ে দিয়েছে। এগুলো মেনে চলে দেশ, কাল, পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুযায়ী এক বিস্তৃত আওতা পর্যন্ত যে কোন পোশাকই ইসলামে জায়িজ। পোশাক প্রশ্নে অজ্ঞতা, চাপানো বুজরুকি ও অন্ধ অনুকরণ ইত্যাদির বাইরে গিয়ে কেবল শারী'আতের সীমায় থাকা এবং এর প্রশস্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে গ্রহণ করাই সমগ্র পৃথিবীর মুসলিমদের কর্তব্য"। ( পৃষ্ঠা, ১৫)

🎤বইটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য :

ইসলামী শারী'আতের মূল উৎস কুরআন ও হাদীসের আলোকে সম্মানিত লেখক আধুনিক সমাজে প্রচলিত নানা ধরণের পোশাক ও সাজসজ্জা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা উপস্থিত করেছেন। বিশেষ করে পাশ্চাত্য সভ্যতার নোংরা প্রভাবের কারণে কিছু কিছু মুসলিম দেশেও শরীয়া' বিরোধী যে সকল পোশাক ও সাজসজ্জা গ্রহণের প্রবণতা মুসলিম যুব ও যুবতী সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে তার ব্যবচ্ছেদ করার কারণে এ বইটির গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণ বেড়ে গেছে।

👉 নারী - পুরুষ, যুবক-প্রৌঢ় সকলের জন্য বইটি প্রয়োজন :

আমরা জানি, বর্তমানে যুবসমাজ চু্ল ও দাড়ি- মোচ নিয়ে বহু ধরণের কৃত্রিম সাজসজ্জা গ্রহণ করে, যার বেশীরভাগই শারী'আত সমর্থন করেনা। এবং ইদানীং উঠতিবয়সী ও উচ্চবিলাসী মুসলিম যুবতীরাও তাদের চুল, জুলফি, ভ্রূ, চেহেরা, নাক, দাত ইত্যাদি নিয়ে বহু রকমের পরিবর্তনমূ্লক সাজসজ্জা গ্রহণ করছে, যেগুলোর অধিকাংশই শারী'আত বিবর্জিত ও দ্বীন পরিপন্থী। আবার মুসলিম সমাজে বয়স্ক নারীর পর্দা নিয়ে নানা ধোঁয়াশা প্রচলিত আছে। পুরুষরা বয়সকালীন শারীরিক অনুভূতিজাত যে সকল পরিবর্তনের শিকার হয় সেটার শর'ঈ দিক সম্পর্কেও আমাদের ভিতর বিভিন্ন অজ্ঞতার অস্তিত্ব রয়েছে। সর্বোপরি, দৈনন্দিন জীবনে নারী-পুরুষের পোশাক, পর্দা ও সাজসজ্জা সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে হলে এটি একটি দারুণ উপকারি বই।

✒️বইটি বাসায় থাকলে যে উপকার পাবেন :

আপনার পরিবারে নিশ্চয়ই পুরুষরা নানা রকম পোশাক পরিধান করে থাকে। কেউ পাঞ্জাবি, কেউ প্যান্ট -শার্ট, কেউ জুব্বা, কেউ গেঞ্জি - ট্রাউজার ইত্যাদি। ঘরেবাইরে পরিহিত এসব পোশাক সম্পর্কে শরীয়া'র দৃষ্টিভঙ্গি আপনার জানা থাকবে, যদি বইটি আপনি নিয়মিত অধ্যয়নে রাখেন। অন্যদিকে আমাদের পরিবারের নারীরা ঘরেবাইরে যে সকল পোশাক পরিধানে অভ্যস্ত, অবস্থা, কাল ভেদে সেগুলো সম্পর্কে শর'ঈ দৃষ্টিভঙ্গি জানা থাকা পরিবারের প্রত্যেকের উচিত। কারণ যে পরিবারের নারীরা শর'ঈ পর্দা মেনে চলেনা সে পরিবারের পুরুষ অভিভাবকদের ব্যাপারে হাদিসে যথেষ্ট নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

🌻বিশুদ্ধ হাদিসের উপস্থিতি :

নির্ভরযোগ্য হাদিসের রেফারেন্স যেকোন বিষয়ের গ্রহণযোগ্যতা অধিকতর বৃদ্ধি করে দেয়। কারণ কুরআনের পর হাদিসই শারী'আতের মূল উৎস। সম্মানিত লেখক বইটির বিভিন্ন স্থানে প্রসঙ্গক্রমে বহু হাদিস উল্লেখ করেছেন। সিহাহ সিত্তাহর প্রায় প্রতিটি হাদিসগ্রন্থ থেকে হাদিসের বর্ণনা এনেছেন। তাই এখানে বুখারী- মুসলিমের হাদিস যেমন রয়েছে, তেমনিভাবে সুনানুন নাসায়ী ও সুনানু ইবনি মাজাহ'র হাদিসও রয়েছে।

🧭 আধুনিক জার্নাল - ম্যাগাজিন থেকে তথ্য সংগ্রহ :

সম্মানিত লেখক প্রতিটি বিষয়ের সামগ্রিক ইতি ও নেতিবাচক দিক উল্লেখ করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় স্থানে আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের নানা তথ্য উপস্থাপন করে একজন মুসলিমের পোশাকাদি এবং বিশেষকরে দেহ ও সাজসজ্জার ক্ষেত্রে উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়েও অত্যন্ত চমৎকার আলোচনা তুলে ধরেছেন।

আশা করি, বইটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের যেকোন অভিজাত ও ইসলামী বইপত্রের সংগ্রাহক প্রসিদ্ধ লাইব্রেরিগুলোতে পাওয়া যাবে। আর বিশেষ প্রয়োজনে সংগ্রহ করতে চায়লে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

মহান আল্লাহ তা'য়ালা বইটির লেখক, প্রকাশক, প্রচারক ও বিজ্ঞ পাঠকসমাজের প্রত্যেককে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদানে ভূষিত করুন, আমীন।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০

হাফেজ আবদুল খালেকের ইন্তেকালে আল-আমীন সমাজকল্যাণ ট্রাস্ট নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্ব চনপাড়া জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম হাফেজ আবদুল খালেক ২৩ জুলাই ২০২০ তারিখ দুপুর বেলা বার্ধ্ক্য জনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। 
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রয় ৮২ বছর। 
হাফেজ আবদুল খালেকের ইন্তেকালে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আল-আমীন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করে একটি য়ৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মরহুম আবদুল খালেক এর ইন্তেকালে এলাকাবাসী একজন ইসলামের খাদেমকে হারালেন। নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন, মহান আল্লাহ যেন তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিয়ে, তার বালো কাজগুলোকে কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন। নেতৃবৃন্দ তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বাদ এশা মরহুমের নামাজে জানাজা স্থানীয় জামে মসজিদ প্রঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।

ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ

১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।
১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করো।
১৪. শ্বশুর কিংবা শাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করো, যাতে করে তাদের মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলো এবং কথা বলো। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা।
-সংগৃহীত

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

পেকুয়ায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নদী রক্ষার সংগঠন নোঙর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে একশো নদীর ধারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর বাংলাদেশ। গত ১৩ জুলাই রাজধানীর তুরাগ নদীর পাড়ে গাছের চারা লাগিয়ে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 
এসময় নোঙর বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন শামসও উপস্থিত ছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই কক্সবাজার জেলা ইউনিটের পক্ষ থেকে পেকুয়া উপজেলার ভোলাখালের পাড়ে বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এসময় নোঙর কক্সবাজার জেলা ইউনিটের আহবায়ক পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড:জাকির হাওলাদার, সদস্য সচিব সাংবাদিক এফ এম সুমন, পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক-জাহাঙ্গীর আলম, পেকুয়া উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারি ডা:আশেক উল্লাহ, বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-মোস্তফা জমির, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসহাব উদ্দিন, এমএফএম ব্লাড ডোনার'সের সভাপতি-মো আব্দুল্লাহ, পেকুয়া টুয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার মো:জহিরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোছাইন সুজন চৌ, এম এ রহিম, কক্সবাজার কলেজের ছাত্র মো আরমান বিন কাশেম, আব্দু রহিম, মো:আরাফাত, মো:তারেক জিয়া, মো:ইমন, ইউনুছ ফারুক রনী, মো. আবু ছাদেক, মো:শাহাদাত হোসেন, শ্রাবন তালুকদার মানিক, প্রবাস থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন নোঙরের ইসমাইল খান, মো: মোস্তফাসহ আরোও অনেকে। বৃক্ষ রোপণ পরবর্তী পেকুয়া প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তাগণ সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নদী রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং তারা ধাপে ধাপে কক্সবাজারের প্রায় সকল নদীর পাড়ে কয়েক হাজার বৃক্ষ রোপণ করবেন বলে জানান।

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

নিঃশেষ ভাবনা এম,জে,ইসলামী

হিসেবতো মিলেনা
আমার জীবনের,
কি করেছি কি পেয়েছি
কি দেখেছি ভূবনের!
সাথীরা কই হারিয়ে গেল
মিলন কারো ঘটেনা,
হৃদয় কাঁদে স্রীতি বয়ে
অবুঝ মনে মানেনা।
আপন যারা পর হয়েছে
কেন আমি জানিনা,
আনন্দ বেদনায় বদল
দিবানিশি যাতনা।
জীবন প্রদীপ নিভো নিভো
মরণ সুভাস নাসিকায়,
প্রেম পিরিতি ভালোবাসা
দখল নেয় মরিচিকায়।
কেন ভবে আসা যাওয়া
কেন মরণ জীবনে,
ভাবিলে ভাবনা নিঃশেষ
কেন কাফন দাফনে!
রোজ হাসরে বিচারের দিন
বিচার করবেন রাব্বানা,
জড়রা জড়রা হিসেব নিবেন
পাক কুর'আনে ঘোষণা।
জান্নাত জাহান্নাম আছে
শেষ বিচারের ফয়সালায়,
আল্লাহর ক্ষমা ব্যতীত
জাহাঙ্গীরের নিস্তার নাই।
বুক ভরা দুঃখ নিয়ে
রয়েছি ক্ষমার আশায়,
রাহমান রাহীম মাওলা
রয়েছি সেই ভরসায়।

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

৪২ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমি কখনোই দেখিনিঃ আহমেদ জহুর

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ৪২ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমি কখনোই দেখিনি। একজন ফটো- সাংবাদিক ভাই টাকার অভাবে তার ছোটবোনকে বাঁচাতে পারেননি। ছোট বোনটিও ছিল একটি দৈনিক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক। হ্যা বন্ধুগণ, আমি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর স্টাফ ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবুর কথা-ই বলছি। ৩০ জুন মঙ্গলবার তিনি একাই প্রতিবাদের ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এর আগের দিন সন্ধ্যায় তার ছোট বোন দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রেহানা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
আলোকিত বাংলাদেশের কাছে বাবুর পাওনা পাঁচ লাখ টাকার ওপরে। অথচ তার বোনটা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে চলে গেলেন ওপারে। ফোজিত শেখ বাবু তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লিখেছেন, 'আমার কর্মস্থল দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কাছে আমি পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬ টাকা পাই। অথচ আমার বোনের চিকিৎসা ভালভাবে হলো না। একজন ভাই হিসেবে এটা যে কতটা বেদনাদায়ক বলে বোঝাতে পারব না। রেহানাকে আমি মানুষ করেছি। ওর চিরতরে চলে যাওয়ার আগে যদি চিকিৎসাটা ভালভাবে করাতে পারতাম তবুও সান্ত্বনা পেতাম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী রফিকুল আলমের কাছে বহু অনুনয়-বিনয় করেছি টাকার জন্য। অথচ মানবিক প্রতিষ্ঠানের দাবিদার রফিকুল আলমের কাছে আমার অনুনয়-বিনয়, আবেদন- নিবেদন কোনো অর্থই তৈরি করতে পারেনি। আমি এটাও বলেছিলাম যে, আপনারা তো ক্যান্সার হাসপাতাল চালান। আমার বোনের কেমোথেরাপি দিতে হবে। এটা আপনাদের হাসপাতাল থেকেই দেন। আমার পাওনা থেকে কেটে নেবেন। সেটাও কাজী রফিকুল আলম শোনেননি। আজ আমার বোন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছে।
ফোজিত শেখ বাবু ব্যানার হাতে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। দেশে বিদেশে বহু সফল প্রদর্শনী করা ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ কর্মসূচী চলাকালে সাংবাদিকদের কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেন। তাতে দেখা যায়, পাওনা নিষ্পত্তির জন্য তিনি আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক বরাবর প্রথম চিঠি দেন চলতি বছরের ২৬ মার্চ। চিঠি কর্তৃপক্ষ রিসিভ করে নিলেও কোনো জবাব পাননি বাবু। তারপর চিঠি দেন ৭ এপ্রিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লা জবাব। তারপর ২২ মে আরেকটি চিঠি দেন। তারও কোন জবাব দেননি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ধানমন্ডি থানায় আলোকিত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এক সপ্তাহের মধ্যে ফোজিত শেখ বাবুর সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে দেবেন। তারপর দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার হোসেন ফোজিত শেখ বাবুর ফোন ধরাই বন্ধ করে দেন। কাজী রফিকুল আলমতো আগেই বাবুর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ কর্মসূচী থেকে দাবি জানান, তার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে। আর মানবিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলে টাকার পাহাড় গড়া ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনে প্রশাসক বসানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। তার মতে, প্রশাসক বসালেই এ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে এবং উন্মোচিত হবে মানবিকতার মুখোশ।
দেশে সরকার আছে, তথ্য মন্ত্রণালয় আছে, প্রেস কাউন্সিল আছে, অনেক প্রকার সাংবাদিক ইউনিয়ন আছে, আরও আছে কত কত প্রতিষ্ঠান। তবুও সাংবাদিকরা এভাবেই ঠকছেন, অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন! ভাবাই যায় না!!!
azohur2002@gmail.com
০১ জুলাই, ২০২০

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০

অবশেষে বহুল আলোচিত সাহেদ গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও আওয়ামীলীগ আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সেই সাহেদ গ্রেপ্তার হলো। সাতক্সীরার সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে যাওয়ার পূর্ব মহুহর্তে র‌্যাব সদস্যরা মহিলাদের বোরকা পড়া অবস্তায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের দূর্নতি ও প্রতারনার ঘটনা আলোচনায় আসার পর থেকে আইন শৃংখলা বাহীনী ও র‌্যাবসদস্যরা সাহেদকে খুজেঁ ফিরছিলো কিন্ত সাহেদ ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করার কারণে আইন শৃংখলা বাহীনী ও র‌্যাবসদস্যরা তার খুব কাছাকাছি পৌছার পরও তাকে নাগালের মধে পায় নি। তেজগাও পুড়ারাতন বিমান বন্দরে হেলিকপ্তটার থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে উঠানোর পর সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা।
তারা আরো জানান, এখন থেকে বিকাল ৩টার আগ পর্যন্ত তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই এর কাজে তারা ব্যস্ত থাকবেন। বিকাল ৩টায় তার প্রেসব্রিফিং করবেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জনানো হয়।

কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাবের কারনে আমাদের জনজীবন আজ বিপর্যস্ত: শরীফুল হক; সহযোগি অধ্যাপক


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাবের কারনে আমাদের জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। পারিবারিকভাবে অনেকেরই অর্থনৈতিক/আর্থিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির যখন নানা কারনে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে বা ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে গেছে তখন সে পরিবারটিকে কি ধরণের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তা ভাবলে মন ঠিক রাখা কঠিন। এর আগেও একটি পোষ্টে আমি বলেছিলাম মধ্যবিত্তদের অনেকেই এই বিপর্যয়ের কথা কাউকে বলতেও পারছে না; আবার সইতেও পারছে না।

আই আই ইউ সি-তে শিক্ষকতা করার কারনে অনেক বিষয় খুব কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছি। একটি সেমিস্টার শেষ করে নতুন সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশনের সময় হলে বা নোটিশ দিলে দেখা গেল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত অবস্থা। অনেকেই কি করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবে তা নিয়ে শঙ্কিত। কারণ - অর্থনৈতিক মন্দা। অনেক ছেলে-মেয়েরা টিউশনি করে চলতো। টিউশনি বন্ধ হবার কারনে তাঁরাও বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। আই আই ইউ সি শুরু থেকেই রিজনেবল ফী সেট করে রেখেছে যাতে করে সমাজের প্রায় সকল লেভেল থেকে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পায়। তাঁর উপর কোভিডের কারনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিউশন ফী এর উপর ২০% ওয়েভার ঘোষণা করেছে। এর পরও দেখা যাচ্ছে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারার ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। অনেকে বিভিন্নভাবে অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে ফোন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এমতাবস্থায় তেমনকিছু করতে না পারার ব্যাথায় মন ভারাক্রান্ত। ভাবছি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের পক্ষ থেকে একটি শিক্ষা তহবিল (EduFund) গঠনের উদ্যোগ নেব; সচ্ছল শুভাকাঙ্খীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাব। তাঁদের সহযোগিতায় যদি কিছু ছাত্র ছাত্রীদের উপকার করতে পারি! আমি নিজে আগে আমার কন্ট্রিবিউশন দিয়ে শুরু করব। পাশে থাকবেন তো আপনারা?

করোনায় আইআইইউসি চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ওয়েভার দিয়েছে : ভাইস চ্যান্সেলর

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও গতিশীল রাখার জন্য সেখানে শিক্ষকগণই হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রকৃত প্রাণশক্তি। যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ও প্রথা বিরোধী গুটিকয়েক শিক্সার্থীও অবুঝ থাকে। তাদেরকে বুঝানোর দায়িত্ব ঐ শিক্সকদের নিতে হবে--- এমনটাই বলেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)‘র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম. গোলাম  মহিউদ্দিন।
রবিবার (১২জুলাই) আইআইইউসি আয়োজিত ’মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাকতে শিক্ষকদের করনীয়’ এক অনলাইন সভায় তিনি এসব কথা বরেন।

আইআইইউসি’র প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোহ্ম্মদ আলী আজাদী’র  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষজীবন যাতে বিঘ্নিত না হয়। সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে; বিশেষ করে শিক্ষকদের।শুধু তাই নয় এসব শিক্ষার্থীদের শিক্সাজীবন সচল রাখার ক্ষেত্রে কোন অন্যায়ের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপোষ করা হবে না। 

মহামারী করোনা প্রসঙ্গ টেনে প্রফেসর কেেএম গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, করোনাকালীন সব শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে আইআইইউসি সর্বোচ্চ ওয়েভার দিয়েছে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের উপর, সিবলিংকস, সেমিস্টারের ফলাফলের উপর , মুক্তিযোদ্ধা কোটা, অতিদরিদ্র কোটা, এই বিচশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স  শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সময় দেয়া হয়েছে।

.এসময় অন্যান্যের মধ্যে এরা উপস্থিত ছিলেন আইআইইউস ‘র ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান,, সেন্টার পরিচালক, রেজিষ্ট্রার, প্রক্টর, প্রোগ্রাম সমন্বয়ক, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ মোট ১৭০জন অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০

কে আ‌মি ? আব্দুল হান্নান চৌধুরী


কে আ‌মি,‌কি আমার প‌রিচয়?
‌সে কথা কভু আ‌মি ভা‌বিনি,
কত রঙ্গ র‌সে ভ‌রে‌ছে এ জীবন
‌পিছ‌নে ফি‌রে কভু তাকাই‌নি।
কখ‌নো ভা‌বি‌নি কোথা হ‌তে এ‌সে‌ছি
‌কোথায় হ‌বে আমার শেষ ঠিকানা?
কতটুকু পথ পা‌ড়ি দি‌তে হ‌বে আমায়
জা‌নিনা তার ক‌ো‌নো সীমানা।
অনন্তকা‌ল ধ‌রে থাক‌বেনা কেউ
ফু‌লে ফ‌লে ভরা এই ধরণীতে,
এ‌কে এ‌কে সব ফু‌রি‌য়ে যা‌বে
থাক‌বেনা কেউ কা‌রো সা‌থে।
মুসা‌ফির হ‌য়ে এ‌সে‌ছি মোরা
ক্ষ‌ণি‌কের ত‌রে এইখা‌নে,
মুসা‌ফির বে‌শে আবার চ‌লে যা‌বো
চিহ্ন র‌য়ে যা‌বে সবখা‌নে।
‌হে‌লে দু‌লে কা‌টি‌য়ে‌ছি এই জীবন
আপন খবর কভু রা‌খি‌নি,
‌দি‌নে দি‌নে বে‌ড়ে‌ছে পা‌পের বোঝা
‌নি‌জে‌কে নি‌জে কভু চি‌নি‌নি।
‌হে খোদা তু‌মি দাও‌গো মো‌রে
‌নি‌জে‌কে চেনার যত শক্ত‌ি,
‌শেষ ‌বিচা‌রে পাই যেন আ‌মি
‌‌তোমার দয়ায় চিরত‌রে মুক্তি।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...