* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

৪২ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমি কখনোই দেখিনিঃ আহমেদ জহুর

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ৪২ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমি কখনোই দেখিনি। একজন ফটো- সাংবাদিক ভাই টাকার অভাবে তার ছোটবোনকে বাঁচাতে পারেননি। ছোট বোনটিও ছিল একটি দৈনিক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক। হ্যা বন্ধুগণ, আমি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর স্টাফ ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবুর কথা-ই বলছি। ৩০ জুন মঙ্গলবার তিনি একাই প্রতিবাদের ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এর আগের দিন সন্ধ্যায় তার ছোট বোন দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রেহানা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
আলোকিত বাংলাদেশের কাছে বাবুর পাওনা পাঁচ লাখ টাকার ওপরে। অথচ তার বোনটা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে চলে গেলেন ওপারে। ফোজিত শেখ বাবু তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লিখেছেন, 'আমার কর্মস্থল দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কাছে আমি পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬ টাকা পাই। অথচ আমার বোনের চিকিৎসা ভালভাবে হলো না। একজন ভাই হিসেবে এটা যে কতটা বেদনাদায়ক বলে বোঝাতে পারব না। রেহানাকে আমি মানুষ করেছি। ওর চিরতরে চলে যাওয়ার আগে যদি চিকিৎসাটা ভালভাবে করাতে পারতাম তবুও সান্ত্বনা পেতাম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী রফিকুল আলমের কাছে বহু অনুনয়-বিনয় করেছি টাকার জন্য। অথচ মানবিক প্রতিষ্ঠানের দাবিদার রফিকুল আলমের কাছে আমার অনুনয়-বিনয়, আবেদন- নিবেদন কোনো অর্থই তৈরি করতে পারেনি। আমি এটাও বলেছিলাম যে, আপনারা তো ক্যান্সার হাসপাতাল চালান। আমার বোনের কেমোথেরাপি দিতে হবে। এটা আপনাদের হাসপাতাল থেকেই দেন। আমার পাওনা থেকে কেটে নেবেন। সেটাও কাজী রফিকুল আলম শোনেননি। আজ আমার বোন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছে।
ফোজিত শেখ বাবু ব্যানার হাতে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। দেশে বিদেশে বহু সফল প্রদর্শনী করা ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ কর্মসূচী চলাকালে সাংবাদিকদের কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেন। তাতে দেখা যায়, পাওনা নিষ্পত্তির জন্য তিনি আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক বরাবর প্রথম চিঠি দেন চলতি বছরের ২৬ মার্চ। চিঠি কর্তৃপক্ষ রিসিভ করে নিলেও কোনো জবাব পাননি বাবু। তারপর চিঠি দেন ৭ এপ্রিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লা জবাব। তারপর ২২ মে আরেকটি চিঠি দেন। তারও কোন জবাব দেননি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ধানমন্ডি থানায় আলোকিত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এক সপ্তাহের মধ্যে ফোজিত শেখ বাবুর সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে দেবেন। তারপর দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার হোসেন ফোজিত শেখ বাবুর ফোন ধরাই বন্ধ করে দেন। কাজী রফিকুল আলমতো আগেই বাবুর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ কর্মসূচী থেকে দাবি জানান, তার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে। আর মানবিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলে টাকার পাহাড় গড়া ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনে প্রশাসক বসানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। তার মতে, প্রশাসক বসালেই এ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে এবং উন্মোচিত হবে মানবিকতার মুখোশ।
দেশে সরকার আছে, তথ্য মন্ত্রণালয় আছে, প্রেস কাউন্সিল আছে, অনেক প্রকার সাংবাদিক ইউনিয়ন আছে, আরও আছে কত কত প্রতিষ্ঠান। তবুও সাংবাদিকরা এভাবেই ঠকছেন, অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন! ভাবাই যায় না!!!
azohur2002@gmail.com
০১ জুলাই, ২০২০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...