* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

মিসেস লুৎফুন্নেসা আহমেদ’র ইন্তেকালে এবি ব্যাংক পরিবারের শোক প্রকাশ

                    

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ এবি ব্যাংক বোর্ডের পরিচালক, জনাব সাজির আহমেদ’র মাতা ও এবি ব্যাংক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব সেলিম আহমেদ’র সহধর্মিণী, মিসেস লুৎফুন্নেসা আহমেদ চেয়ারম্যান, সুপার গ্রুপ অব কোম্পানী, ২৬ আগস্ট ২০২০, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতলে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

এবি ব্যাংক পরিবার, তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। শোক বাণীতে তারা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মরহুমার জন্য মহান আল্লাহর নিকট জান্নাত প্রার্থণা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীল সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা কি ঘুরিয়ে সুদ খায়? - আকমল হোসাইন

 

১. কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ইসলামী অর্থনীতিতে সুদ নিষিদ্ধ হয়েছে এবং খেলাফত এর শাসন ব্যবস্থা এবং ইসলামী সাম্রাজ্যে ১৩০০ বছর ধরে সুদের কোন প্র্যাকটিস ছিল না। কিন্তু বর্তমান অর্থনীতিতে প্রত্যেকটি স্তরে সুদ রয়েছে। তাহলে সুদবিহীন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কীভাবে প্রচলন করা যায় ? এ সম্পর্কে পূর্বেই বলা হয়েছে এটি করা সম্ভব, তবে যথেষ্ট সম্পদ, মেধা, জ্ঞান, গবেষণা এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন।

২. যা একবার হয়েছে, তা পুনরায় করা সম্ভব। একসময় প্রায় ১৩০০ বছর পৃথিবীর অর্ধেক স্থানে সুদবিহীন অর্থনীতি কার্যকর ছিল। ইয়াহুদীরা যেখানে খৃস্টান বিশ্বে সুদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়, সেই সময়ে মুসলিম বিশ্বে সুদ ছিল না, যা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য হারা মুসলিমরা যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়ল, বিজাতীয় শিক্ষা গ্রহণ করল, বিজাতীয় শিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবিরা অন্ধভাবে পাশ্চাত্যের অনুকরণ করা শুরু করল, রাষ্ট্রনায়করা ইউরোপ ও আমেরিকা বা রাশিয়ার তল্পিবাহক হলো, খৃস্টান পাদ্রীদের মত আলেম সমাজের সৃষ্টি হলো যারা মনে করে ধর্মীয় বিষয়ে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে কিন্তু অন্য কোন বিষয়ে তারা থাকবে না এবং সর্বোপরি জনগণ হলো ভোগবাদী তখনই মুৃসলিম সমাজে সুদ, মদ, ব্যভিচার, ঘুষ সবই বৈধ হওয়া শুরু হলো।
তবে আশার কথা হলো অন্ধকার যুগ হতে মুসলিমরা আবারও আলোর পথে ফিরে আসছে। কারণ তাদের কাছে যে জ্যোতির্ময় গ্রন্থ আল কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) সুন্নাহ রয়েছে, তা ইসলামী স্কলার দ্বারা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। সেই সাথে ইসলামী স্বর্ণযুগের লেখা বইগুলোও বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশ পাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসলিম তরুণ-তরুণীরা ইসলামকে জানতে পারছে এবং সেই মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করছে।
এরই ধারাবাহিকতকা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালে দুবাই ইসলামী ব্যাংক, মিশরের মিটগামার ব্যাংক, সৌদি আরবে আল রাজী ব্যাংক (শরীয়াহ ভিত্তিক) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইসলামী শরীয়াহ এর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। এজন্যই বলা হয়েছে, পৃথিবীর অর্থনীতি একসময় সুদমুক্ত ছিল, আবারও একসময় সুদমুক্ত হবে।
৩. অনেকের ম‌নে প্রশ্ন সৃষ্টি হয় সুদমুক্ত ব্যাংকিং কীভাবে জনগণের অর্থ সংগ্রহ করবে ? সুদি ব্যাংকিং সুদের লোভ দেখিয়ে জনগণের অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। সেখানে ইসলামী ব্যাংকিং-এ যেখানে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে কীভাবে জনগণ তাদের অতিরিক্ত সম্পদ রাখবে ?
(ক) ইসলামী অর্থনীতিতে সুদ নিষিদ্ধ। তাই এখানে কোন সুদি ব্যাংক থাকবে না। তাহলে যাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ আছে, সম্পদের নিরাপত্তার জন্য তারা কোথায় সম্পদ রাখবে ? হয় ঘরে অথবা ব্যাংকে আমানত হিসেবে সম্পদ রাখতে হবে। ব্যাংকে আমানত হিসেবে সম্পদ রাখা হলে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী ব্যাংক সেই সম্পদ বিনিয়োগে ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে এই সম্পদ ব্যাংকে অলস পড়ে থাকবে এবং নতুন কোন সম্পদ সৃষ্টি করতে পারবে না।
খ) ধরুন একজন ব্যক্তি ব্যাংকে ১ কোটি টাকা আমানত হিসেবে রাখল। যেহেতু সে সম্পদ আমানত হিসেবে রেখেছে, সেহেতু এই সম্পদ নিরাপত্তাসহ রাখার জন্য ব্যাংককে বছর শেষে একটি সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। কিন্তু বছর শেষে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী তার ১ কোটি টাকা সম্পদ হতে ২.৫% যাকাত কর্তন করা হলে তার সম্পদের পরিমাণ হবে ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পরের বছর ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার উপর ২.৫% যাকাত আদায় করা হলে তার সম্পদের পরিমাণ হবে ৯৫ লক্ষ ৬ হাজার ২ শত ৫০ টাকা। এভাবে দুবছরেই যাকাত বাবদ তার সম্পদের পরিমাণ (২,৫০,০০০ + ২,৪৩,৭৫০) = ৪,৯৩,৭৫০/- টাকা কমে যাচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে মোট সম্পদের ২.৫% যাকাত বাবদ আদায় করা হলে তা কমতেই থাকবে।
(গ) আল্লাহপাকের যাকাত এর বিধান প্রতিবছর ঐ ১ কোটি টাকা সম্পদধারী ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে দেবে। তখন ঐ ব্যক্তি তার সম্পদকে বৃদ্ধি করার জন্য এটিকে গতিশীল করতে বাধ্য হবে। অর্থাৎ এখন ব্যক্তি নিজেই চাইবে তার সম্পদকে গতিশীল করার জন্য। আর সব অর্থনীতিবিদ স্বীকার করেছেন সম্পদ গতিশীল হলেই অতিরিক্ত সম্পদের সৃষ্টি হয়। আপনি ১ কোটি টাকা ব্যাংকে অলস ফেলে না রেখে একটি কারখানা করুন। সেখানে কিছু লোকের কর্মসংস্থান হবে, পণ্য উৎপাদিত হবে এবং সমাজের আয়ের পরিমাণ তথা সম্পদের পরিমাণ বাড়বে। এজন্যই আল্লাহপাক কোরআনে বলেছেন “যে যাকাত তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকো, তা প্রদানকারী আসলে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করে” সূরা রূম-৩৯। কোরআনের এই আয়াতটি সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ হতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, যাকাত সম্পদ অলস ফেলে রাখতে দেয় না। কারণ সম্পদ অলস ফেলে রাখলে যাকাত প্রতিবছর ঐ সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে দেবে। তাই যাকাত বাধ্য করে সম্পদকে গতিশীল করতে। এজন্যই মহাজ্ঞানী আল্লাহপাক সুদ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যাকাত আদায় করাকে বাধ্যতামূলক করেছেন এবং যাকাত সম্পদকে গতিশীল করে সমাজের মোট সম্পদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
(ঘ) যেহেতু যাকাত সম্পদকে গতিশীল করতে বাধ্য করে, সেহেতু সম্পদকে গতিশীল করার জন্য আমাদের উদাহরণে ১ কোটি টাকা সম্পদের মালিক যদি নিজে ব্যবসা করার ক্ষমতা বা যোগ্যতা না রাখেন, তবে তিনি কোন কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার ক্রয় করবেন। আর যদি কোন কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার ক্রয় না করেন, তবে ব্যাংকে মুদারাবা পদ্ধতিতে ১ কোটি টাকা জমা রাখবেন। মুদারাবা হলো ব্যবসা কাজে একজন মূলধন সরবরাহকারী হবে এবং অপরজন তার মেধা ও শ্রম প্রদান করবে। এক্ষেত্রে মূলধন সরবরাহকারীকে সাহিব-আল-মাল এবং ব্যবসা পরিচালনাকারীকে মুদারিব বলা হয়। ইসলামী ব্যাংকিং এ মুদারাবা পদ্ধতিতে গ্রাহকের টাকা জমা রাখলে গ্রাহক হবেন সাহিব-আল-মাল এবং ব্যাংক হবে মুদারিব। ব্যবসায় যদি মুনাফা হয়, তবে চুক্তি অনুযায়ী সাহিব-আল-মাল এবং মুদারিব (ব্যাংক) উভয়ের মধ্যে মুনাফা বন্টিত হবে। কিন্তু ক্ষতি হলে সাহিব-আল-মাল এর মূলধন কমে যাবে এবং মুদারিব তার শ্রম ও মেধার কোন মূল্য পাবে না। যদি মুদারিবের চুক্তি লংঘন এবং অবহেলার কারণে ক্ষতি হয়, তবে ক্ষতির ভার মুদারিবকে বহন করতে হবে। আবার বিনিয়োগ করার সময় ব্যাংক সাহিব-আল-মাল অর্থাৎ মূলধনের যোগানদাতা হয় এবং বিনিয়োগের জন্য ঋণগ্রহণকারী মুদারিব হয়ে থাকেন। দুর্ভাগ্যজনক সত্য যে, শিক্ষার হার কম থাকায় এবং শিক্ষিত শ্রেণি যারা আছেন, তাদের জানার ইচ্ছে খুবই কম থাকায় ইসলামী ব্যাংকিং এর মুদারাবা কার্যক্রম সম্পর্কে সবার মধ্যে স্পষ্ট ধারণা নেই।
(ঙ) এছাড়া ইসলামী ব্যাংকসমুহ ‘আল ওয়াদীয়াহ’ পদ্ধতিতে জনগণের টাকা ব্যাংকে জমা রাখে। এক্ষেত্রে টাকা জমাকারী কোন ধরনের ঝুঁকি গ্রহণ করতে চান না, অর্থাৎ তিনি মুনাফা বা ক্ষতি কোনটাই গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নন, কিন্তু ব্যাংককে তার টাকা ব্যবহারের অনুমতি দেন। ‘আল ওয়াদীয়াহ’ পদ্ধতিতে জমাকৃত টাকা হতে ব্যাংক মুনাফা অর্জন করলে সেই মুনাফর কোন অংশ জমাকারী পাবেন না। আবার ব্যাংকের ক্ষতি হলেও জামাকারীর কোন ক্ষতি হবে না। জমাকারী শুধুমাত্র তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হন। সাধারণত ব্যবসায়ীরা এই পদ্ধতিতে ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন। যুবায়ের ইবনে আওয়াম (রাঃ), ইমাম আবু হানীফা (র.) এই পদ্ধতিতে জনগণের টাকা নিজেদের কাছে রেখে তাদের সম্পদের নিরাপত্তা দিতেন এবং তাদের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে কোন ধরনের ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তায় না ফেলে ব্যবসা করতেন।
(চ) বিশ্বের প্রতিটি ইসলামী ব্যাংকিং ‘মুদারাবা’ এবং ‘আল ওয়াদীয়াহ’ পদ্ধতিতে জনগণের নিকট হতে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। অথচ কিছু শিক্ষিত লোক ইসলামী অর্থনীতির কোন ধরনের জ্ঞান ছাড়াই বলে দেন, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঘুরিয়ে সুদ খায়। আবার সমাজে আলেম নামধারী কিছু ব্যক্তি আছেন, যারা নামাজে হাত বুকে বাধঁবেন না নাভীর নীচে বাাঁধবেন, জোরে আমীন বলবেন, না আস্তে আমীন বলবেন, এর আকীদা আছে, না নাই এগুলো নিয়ে বিতর্কে ব্যস্ত থাকেন, মসজিদ আলাদা করেন, তারাই সুদী ব্যাংকে টাকা রেখে বলেন ইসলামী ব্যংকসমূহ ঘুরিয়ে সুদ খায় ! অথচ পৃথিবীর সমস্ত ইসলামী ব্যাংকের শরীয়াহ বোর্ড আছে এবং যারা শরীয়াহ বোর্ডে প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাদের ধারে-কাছে যাওয়ার যোগ্যতা এসমস্ত নামধারী আলেমদের নেই।
৪. ‘ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঘুরিয়ে সুদ খায়’ - বক্তব্যটি কতটুকু সঠিক? এ বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আলোচনার পূর্বে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে বর্তমান জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সুদের ভিত্তিতে প্রচলিত আছে। এ অবস্থায় ইসলামী স্কলাররা সুদবিহীন অর্থনীতি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক নিয়ে যে কার্যক্রম শুরু করেছেন, তা বাস্তবায়ন করা খুব সহজ কাজ নয়। চারিদিকে সুদভিত্তিক লেনদেন থাকার কারণে ইসলামী ব্যাংক সমুহের কিছু লেনদেন সন্দেহযুক্ত লেনদেনের মধ্যে পড়তে পারে, তা ইসলামী স্কলাররা স্বীকার করেন। ইসলামী ব্যাংকিং প্রসারের সাথে সাথে একপর্যায়ে এটি ১০০% শরীয়াহভিত্তিক লেনদেনে পৌঁছাবে। কিন্তু নিন্দুকেরা সেই সময়ের অপেক্ষা না করেই ইসলামী ব্যাংকের যে দূর্বলতাগুলো রয়েছে সেগুলো জনসমক্ষে হাইলাইট করে বলছে, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঘুরিয়ে সুদ খায়!
(ক) প্রথম কথা হলো ইসলামী ব্যাংকে জনগণ ‘সাহিব আল মাল’ হিসেবে সম্পদ রাখে এবং ব্যাংক ‘মুদারিব’ হিসেবে সেই সম্পদকে কাজে লাগায়। এখানে ব্যাংকের সাথে জনগণের লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে চুক্তি হয়। জনগণ যখন প্রচলিত সুদী ব্যাংকে সম্পদ জমা রাখেন সেখানে কি ব্যাংকের সাথে জনগণের লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে চুক্তি হয় ? নিঃসন্দেহে না। সোজা বলে দেয়া হয়, আপনি বছর শেষে ৮% সুদ পাবেন। তাহলে আপনারাই বলুন জনগণের সাথে প্রচলিত সুদী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি, কোনটি শরীয়াহ সম্মত ? ধরে নেয়া হলো ইসলামী ব্যাংক শরীয়াহ এর কথা বলে ঘুরিয়ে সুদী ব্যবসা করে এবং সুদের একটি অংশ তার সাথে চুক্তিবদ্ধ জনগণকে প্রদান করে। ইসলামী ব্যাংকের এই জালিয়াতির কারণে কিয়ামতের ময়দানে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, শরীয়াহ বোর্ডের আলেমরা এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন। কিন্তু জনগণ তো দায়ী থাকবেন না, কারণ তাদের ধোকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে জনগণ সুদী ব্যাংকের সাথে স্বজ্ঞানে নির্দিষ্ট সুদের ভিত্তিতে টাকা জমা রাখে, তবে সেই জনগণ আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবে ? অবশ্য আপনি যদি পরকাল বিশ্বাস না করেন, তবে আপনার জন্য সুদী ব্যাংক হলো আদর্শ ব্যাংক!
(খ) সব ব্যাংকের প্রধান ব্যাংক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা প্রতিটি ব্যাংককে মেনে চলতে হয়। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকিং এর অনুমোদন নেন, তবে আপনি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ এর ইসলামী উইং এর নীতিমালার বাইরে যেতে পারবেন না। তাহলে ইসলামী ব্যাংক যদি ঘুরিয়ে সুদ খায়, তবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ কী করে থাকে ? তাদের চোখে কি এটি ধরা পড়ে না ? বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তরল সম্পদ ইসলামী ব্যাংকে থাকে। অন্যান্য ব্যাংকে তারল্য ঘাটতি থাকে। ইসলামী ব্যাংক যদি ঘুরিয়ে সুদ খেত, তবে অন্যান্য ব্যাংক এই অভিযোগ বাংলাদেশে ব্যাংক এ প্রদান করে ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারত। কিন্তু দেখা যায় পুরো উল্টো চিত্র। প্রতিটি সুদী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং এর জন্য তাদের আলাদা উইং খুলছে! আজকে সোনালী, জনতা ইত্যাদি ব্যাংকের ইসলামী উইং রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের এই বিজয় দেখে অনেকেরই মাথা খারাপ। আশা করা যায় একসময় বাংলাদেশের প্রতিটি সুদী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং এ চলে আসবে এবং এ সমস্ত ব্যাংকে যারা চাকুরি করবে, তারা মনে প্রশান্তি নিয়ে চাকুরি করতে পারবে।
(গ) আপনি সুদী ব্যাংকে ১ বছরের জন্য টাকা রাখলেন। ব্যাংক আপনাকে ৮% সুদ দেবে বলেছে। আপনি আরও কিছু টাকা ইসলামী ব্যাংকে রাখার জন্য গেলেন। তারা বলল বছর শেষে আপনাকে প্রায় ৭% মুনাফা দেবে। আপনি সাথে সাথে আবিষ্কার করে ফেললেন, ইসলামী ব্যাংক সুদকে মুনাফা নাম দিয়ে ঘুরিয়ে সুদ দেয় এবং সুদের হার প্রচলিত সুদী ব্যাংকের সুদের হার হতে কম! আপনার আবিষ্কারের মধ্যে অনেক ত্রুটি রয়েছে। ত্রুটিগুলো হলো -
(I) টাকা রাখার সময় ব্যাংকের সাথে যে লিখিত চুক্তি হয়েছে, সেটি আপনি ভালো করে পড়ে দেখেননি। শুধু স্বাক্ষর করেছেন। একবারও দেখেননি আপনি মুদারাবার ভিত্তিতে টাকা জমা দিচ্ছেন। আর দেখলেও মুদারাবা শব্দের অর্থের আপনি হয়ত জানেন না। যার ফলে কোর ধরনের জ্ঞান ছাড়াই আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করে ফেললেন।
(II) আপনি একেবারে সহজ পদ্ধতিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে বললেন, বছর শেষে কত টাকা পাব ? ব্যাংকে যে কাজের চাপ, সেখানে ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে ইসলামী শরীয়াহ বুঝানোর দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। সে সোজা বলে দেবে প্রায় ৭%। আর আপনি ‘প্রায়’ শব্দটি বাদ দিয়ে বললেন ৭%। অর্থাৎ ৭% নিশ্চিত হয়ে গেল। কিন্তু প্রায় ৭% হলে বছর শেষে ৭.৫ বা ৬% বা ৬.৫% হতে পারে। ইসলামী ব্যাংক যে মুনাফা করে থাকে, তার ৬৬% হতে ৬৮% জমাকারীদের নিকট বন্টন করে। ধরুন ব্যাংকের মুনাফা হলো ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমাকারীরা পাবে ৬৬ (৬৬% ধরলে) টাকা। যদি জমাকারীদের টাকা ১০০০ টাকা হয়, তবে প্রতি ১০০ টাকাতে মুনাফা পাওয়া যাবে ৬.৬ টাকা অর্থাৎ মুনাফার হার ৬.৬% (বাস্তব হিসেবে বিভিন্ন Weight দেয়ার কারণে হিসেবের মধ্যে জটিলতা আছে)। সোজা কথা ইসলামী ব্যাংকিং আপনাকে একটি আনুমানিক মুনাফা বলে দেবে এবং বছর শেষে হিসাব-নিকাশ শেষ করে আপনাকে আপনার প্রকৃত প্রাপ্য দেয়া হবে।
(III) আরও একটি শক্ত অভিযোগ হলো, যারা ৩ মাস বা ৬ মাস মেয়াদী টাকা জমা রাখেন, তারা-তো নির্দিষ্ট মেয়াদের পর টাকা উঠিয়ে নেন। তাদেরকে ব্যাংক ৬% মুনাফা (ধরে নেয়া হলো) কীভাবে দেয় ? কারণ ব্যাংক হিসাব-নিকাশ করে বছর শেষে। এ প্রশ্নের উত্তর হলো হিসাব-নিকাশ বছর শেষে করে দেখা গেল যে, মুনাফা ৭% হয়েছে, তখন ব্যাংক অতিরিক্ত পাওনা জমাকারীর যদি অন্যকোন জমার হিসাব থাকে তবে সেখানে অথবা তার স্থায়ী ঠিকানায় Pay Order করে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু যদি বছর শেষে মুনাফা ৫% হয়, তবে ঐ ১% ব্যাংক তার নিজের ক্ষতি হিসেবে মেনে নেবে। কিন্তু ৩ মাস বা ৬ মাস মেয়াদ পুনঃ নবায়ন হয়, তবে সেই টাকা জমাকারীর হিসাব হতে সমন্বয় করা হয়। অবশ্য ব্যাংকের এই কার্যক্রমটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এ শক্তভাবে মেনে চলা হয়।
৫. আরও একটি অভিযোগ হলো ইসলামী ব্যাংক লাভ-লোকসানের কথা বলে, কিন্তু কখনও লোকসান দেয় না। একটু পূর্বেই বলা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা সুদী ব্যাংকের সুদের মত নিশ্চিত নয়। বছর শেষে এটি বাড়তে পারে, আবার কমতেও পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো ইসলামী ব্যাংক একবারও কেন লোকসান দিল না ? এখানে আরও একটি প্রশ্ন করা যায়, যারা স্কয়ার বা বেক্সিমকো এর প্রাথমিক শেয়ার ক্রয় করেছেন, সেই প্রাথমিক শেয়ারের ডিভিডেন্ড কী কখনও ঋণাত্মক (ক্ষতি) হয়েছে ? অর্থাৎ কোম্পানিগুলো কী কখনও ক্ষতি দেখিয়ে আপনার প্রাইমারি শেয়ারের মূল্য কমিয়ে দিয়েছে ?
উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর হলো কোম্পানির যেমন সামগ্রীক ক্ষতি নেই, তেমনি ইসলামী ব্যাংকেরও কোন সামগ্রীক ক্ষতি নেই। ধরুন ইসলামী ব্যাংক ১০০০ টি খাতে বিনিয়োগ করল। এর মধ্যে ৪০ টি খাতে সে ক্ষতি স্বীকার করল, কিন্তু বাকী ৯৬০টি খাতে সে মুনাফা করল। এখন আপনারাই বলুন সামগ্রীকভাবে ব্যাংকের লাভ হবে না ক্ষতি হবে ? অর্থনীতিতে যখন মহামন্দা দেখা দিবে তখন যদি ব্যাংক দেউলিয়া হয়, তবে ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমাকারীসহ সবাই যার যার অনুপাতে ক্ষতি স্বীকর করবেন। কিন্তু সুদী ব্যাংকে টাকা জমাকারীদের সুদসহ সমস্ত টাকার পরিশোধ করে শেয়ার হোল্ডাররা ক্ষতির সমস্ত দায় গ্রহণ করবেন। ২০১৯ সালে ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ব্যালান্স শীট ভাল করে দেখুন। দেখবেন ২০১৯ সালে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার এবং সিকিউরিটি বাবদ বিশাল ক্ষতি হয়েছে।
৬. ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং প্রচলিত সুদী ব্যাংকের কোন কোন বিনিয়োগ কার্যক্রম প্রায় একই দেখে আপনি মন্তব্য করলেন দুটি ব্যাংকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ধরুন দুটি ফ্লাটে দুটি পরিবার থাকে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রথম ফ্লাটের পরিবারের কর্তা ও কর্তী এর মধ্যে বিয়ে হয়নি, কিন্তু অপর ফ্লাটে কর্তা ও কর্তীদের মধ্যে বিধি মোতাবেক বিয়ে হয়েছে। দুটি পরিবার সম্পর্কে আপনি কী মন্তব্য করবেন? কারণ দুটি পরিবারই একই পদ্ধতিতে সন্তান দুটি অর্জন করেছে! আপনার মন্তব্যগুলো নিম্নরূপ হবে -
(I) আপনি যদি কোন ধর্মের অনুসারী হন, তবে বলবেন ১ম ফ্লাটের পরিবারটি অবৈধ, এটি সমাজে অনৈতিকতা সৃষ্টি করবে এবং সমাজকে ধ্বংস করবে। ২য় ফ্লাটের পরিবারটি সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন।
(II) আপনি যদি কোন ধর্মের অনুসারী না হন অর্থাৎ নাস্তিক হন তবে বলবেন ১ম ও ২য় পরিবারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, তারা পারস্পরিক সম্মতির ভিতরে একই কাজ করেছে।
তাহলে দেখুন একই কাজের ফলাফলে ভিন্ন মত এসেছে। আর এই ভিন্নমতের সৃষ্টি হওয়ার পিছনে কারণ হলো নৈতিক জ্ঞান ও নৈতিকতাহীন জ্ঞান। জ্ঞানের ভিতর যখন নৈতিকতা হারিয়ে যাবে, তখন যেখানে আমরা একই ফলাফল দেখছি, সেই একই ফলাফলের একটি সমাজ গঠন করে এবং অপরটি সমাজ ধ্বংস করে। কম হউক আর বেশি হউক নৈতিক জ্ঞান আসে ধর্ম হতে। আপনি যদি ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে চান, তবে ইসলামী দর্শন (কোরআন-সুন্নাহ) জেনে আপনাকে মন্তব্য করতে হবে।
🖋 আকমল হোসাইন,
সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ,
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার।

সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

বাংলা মা‌য়ের আর্তনাদ আব্দুল হান্নান চ‌ৌধুরী

পঞ্চাশ‌টি বছর আজ হ‌য়ে গেল‌ো

তোরা মুক্ত ক‌রে‌ছি‌লি আমা‌কে,
‌লক্ষ ত্যা‌গের বি‌নিম‌য়ে তোরা
ছি‌নি‌য়ে আন‌লি এই স্বাধীনতা‌কে।
‌দি‌নে দি‌নে তোরা বড় হ‌য়ে‌ছিস
কত কি এখন তো‌দের,
আমায় তোরা ভু‌লে গে‌লি আজ
নাই কিছু আর স্বা‌ধের।
খু‌নের নেশায় মত্ত হ‌য়ে তোরা
ভাই‌কে ভাই ‌কর‌ছিস খুন,
‌দি‌নে দি‌নে তা বে‌ড়েই চ‌লে‌ছে
নাই মোর আজ চো‌খে ঘুম।
শাড়ীর আঁচলটা ‌চে‌য়ে দেখ ঐ
‌লাল খু‌নে হ‌য়ে‌ছে রঞ্জ‌ি‌ত,
রক্ত‌ে‌র গন্ধ আজ ছ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়ে‌ছে
পাপ হ‌য়ে‌ছে অ‌নেক সঞ্চি‌ত।
‌ভিন‌দে‌শীদের খাম‌ছি‌ খে‌য়ে খে‌য়ে
শরীর আমার আজ ক্ষত বিক্ষত,
‌দি‌ন দি‌ন আমায় নিস্ব ক‌রে‌ছে
চল‌ছে তা আ‌জো অ‌বিরত।
মজলু‌মের চো‌খের লোনা পা‌নি‌তে
চুলগু‌লো আমার হয়‌ে‌ছে সিক্ত,
‌মাথার খোপা আজ খ‌সে প‌ড়ে‌ে‌ছে
হ‌য়ে‌ছি আ‌মি আজ কত রিক্ত!
‌দীপ্ত শপথ ক‌রে‌ছি‌লি সে‌দিন
মা‌টি ও মা‌য়ের ত‌রে,
‌সেই শপথ ভু‌লে গে‌লি তোরা
‌নিত্য দুঃখ আজ আমার ঘ‌রে।

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

দু'টি দেহে একটি প্রাণ : এম,জে,ইসলামী

কতো আদর যতনে

গড়েছি তোমারে,
নিপুণ ভালোবাসার
বাঁন্দিয়া দ্বোরে।
পৃথিবী চলে যাক
বিনাশ হওক সবি,
তুমি মননে রবে
হয়ে দৃপ্ত রবি।
তুমি কলিজাসম
ভালোবাসা নিদারুণ,
এই বঁন্দন ছিঁড়ে কবুও
না হয় যেন করুণ!
পৃথিবী রবেনা ভাই
রবেনা চাঁদ সূরুয,
রবে ভালোবাসার নীড়
অম্লান চির সবুজ।
হে প্রভু রাহীম রাহমান
তোমার বহমান রহমত,
আমাদের উপর বর্ষাও
চিরদিন অবিরত্।
হে প্রভু বয়ে দাও
রহমতের বাতাস,
ভাই আমার প্রবাসে
আমি নিজবাস।
দুইটি দেহে মোদের
একটিই তো প্রাণ,
বিরহে হাহাকার হৃদয়
জানতো তুমি রাহমান!
চিরদিন সুখে রাখো
ভাইকে আমার,
এই আবেদন প্রভু
কদমে তোমার।
তুমি র'ব তুমি সব
তুমি বিচারক,
সবকিছুর মালিক তুমি
তুমি ধারক ও বাহক।
তুমি রাহমান প্রভু
অসীম অপার,
কল্যাণময় করো জীবন
প্রার্থনা আমার।।

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

জালিম শাসক জনগণের কৃতকর্মেই ফসল: জনগণ জালিম শাসক নির্বাচিত করে

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ এই দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই যার যার গল্পে সে একজন মহানায়ক। একজন দূর্নীতিবাজ জালিম তাঁর গল্পে সে একজন জনদরদী মহান নেতা। একজন দুশ্চরিত্র পুরুষ তাঁর গল্পে সে একজন মহান পুরুষ। একজন বাজারি পতিতাও তাঁর গল্পে সে একজন পুতপবিত্র মহিয়সী নারী। কিংবা দুর্ধর্ষ একজন খুনিও তাঁর নিজের গল্পে সে একজন সাহসী বীর। এই দুনিয়ার রঙ্গ মঞ্চে আমরা সবাই যার যার গল্পে একেকজন সুপার হিরো। আমাদের গল্পে আমারা কেউই খলনায়ক নই। ইনফ্যাক্ট, একজন খলনায়কও তার নিজের গল্পে সে একজন নিষ্পাপ মহান ব্যক্তি।


আমাদের গল্পে আমাদের কখনোই ভুল হওয়ার সুযোগ নেই। আর সেজন্যই আমরা যা করি তা বারবার করতে পারি এবং সে কাজের জন্য আমরা গর্ববোধও করি।

মানুষ কখনই নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করাতে পছন্দ করে না। মানুষ যদি নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে নিজের বিচার করতো তাহলে সে যা করে তা সে করতে পারতো না। একবার অন্যায় করলেই সে তাঁর কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হতো এবং সে আর সেই কাজটি দ্বিতীয়বার করতো না।

মানুষ নিজের কৃতকর্মের জন্য তখনই লজ্জিত হয় যখন সে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিজেকে বিচার করতে পারে।

মানুষ অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে যতটা সময় ব্যয় করে সেই সময়টুকু যদি সে নিজের জন্য ব্যয় করতো তাহলে সে একজন ওলি আওলিয়া হয়ে যেতো। আমরা সারা জীবন ওলি আওলিয়াদের খোঁজ করি। আমরা যদি আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের ভুলত্রুটিগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারতাম তাহলে ওলি আওলিয়াদের খোঁজে এখানে সেখানে দৌড়াতে হতো না। আমরা যদি অন্যের পিছনে তাঁদের দোষদ্রুটিগুলো নিয়ে গবেষণা না করে নিজের নিয়তির কথা চিন্তা করতাম এবং পরকালে নিজের পরিনতির কথা একটু স্মরণ করতাম তাহলে নিজেরাই একেকজন ওলি আওলিয়া হয়ে যেতাম।

আমরা যদি সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারতাম তাহলে মিথ্যার পিছনে ছুটে সময় নষ্ট করতাম না, জালিম-খুনি-দূর্নীতিবাজদেরকে মাথায় তুলে নৃত্য করতাম না।

একজন জালিম-দূর্নীতিবাজ শাসক কিংবা ব্যক্তিকে সমর্থনের জন্য আমাদেরকে কতটা খেসারত দিতে হবে তা যদি বিন্দু পরিমানে বুঝার চেষ্টা করতাম তাহলে আমরা সেই জালিম-দূর্নীতিবাজ থেকে যোজন যোজন দূরে থাকতাম।

একজন মানুষ তখনই হারামের সাথে সখ্যতা গড়তে পারে যখন সে সৃষ্টিকর্তার দেয়া শাস্তির কথা ভুলে যায়, আর যখন একটি জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নিকট হারাম কাজ, হারাম বস্তু, হারাম খাবার স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন সে জাতির উপর আল্লাহর গজব বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।

আমরা যখন বছরের পর বছর জুলুমের শিকার হই, জালিম শাসকের দ্বারা নির্যাতীত হই তখন অসহায়ের মতো শুধু উর্ধ্ব গগণের দিকে তাকিয়ে দৈব সাহায্যের প্রত্যাশায় থাকি। অথচ আমরা ভুলে যাই আমাদের উপর নির্যাতনের অন্যতম কারণই হলাম আমরা। আমাদের কৃতকর্মের শাস্তিস্বরূপ সৃষ্টিকর্তাই আমাদের জন্য জালিম শাসক নিয়োজিত করেন।

আমরা নিজেরাই জানি না কখন যে আমরা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুমের রাস্তা তৈরী করে ফেলি। আমাদের উপর নির্যাতনের জন্য আমরাই জালিম শাসকদের নির্বাচিত করি। তারপর যখন সেই নির্বাচিত শাসকই আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে তখন কিংকর্তব্যবিমূডঢ় হয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। শুধু তাই নয় নিজেরদের কৃতকর্মের কথা টোটালি ভুলে গিয়ে রাতারাতি ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য উর্ধ্বকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তো কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না যদি না তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য স্বচেষ্ট হয়।

বাংলাদেশও সে নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেদেরকেই যুদ্ধে নামতে হবে। তবে যুদ্ধে যাবার আগে নিজেদেরকে যোগ্য যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আসতে হবে। তা না হলে যুদ্ধ শুরুর আগেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। বারবার জালিম দূর্নীতিবাজদের দ্বারা নির্মমভাবে নির্যাতিত হতে হবে।
কালেক্টেড

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

পিএইচডি ডিগ্রী লাব করায় মুহাম্মদ আজহার উদ্দিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ কোরিয়ার KYUNG HEE UNIVERSITY Computer Engineering এ Phd ডিগ্রী অর্জন করায় মুহাম্মদ আজহার উদ্দিনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন।

চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী পন্ডিত বাড়ির নিবাসী আক্তার উদ্দিন চৌধুরী’র একমাত্র ছেলে মুহাম্মদ আজহার উদ্দিন দক্ষিণ কোরিয়ার KYUNG HEE UNIVERSITY Computer Engineering এ Phd ডিগ্রী অর্জন করায় স্থানীয় পন্ডিত বাড়ি সমাজ কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়েছে। 

পন্ডিত বাড়ি সমাজ কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন জনাব মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

কব‌রের আড্ডা: ‌ আব্দুল হান্নান চৌধুরী

 

বাসরটা‌কে ফু‌লে ফু‌লে সাজা‌বে ব‌লে

কত আ‌য়োজন, কত কল্পনা দিন রাত,
কখ‌নো কি ভে‌বেছ‌ো,কব‌রের জীব‌নে
‌কেমন হ‌বে ‌তোমার সে‌ই প্রথম রাত।
মৃত্যু এক‌দিন এ‌সে দি‌বে দুয়া‌রে হানা
বাঁচ‌বেনা এর থে‌কে কেহ,
জীবন প্রদীপ নি‌ভে যা‌বে চিরত‌রে
নীরব নিথর প‌ড়ে র‌বে এই দেহ।
কবর পাড়ের এ‌কে এ‌কে সবাই
নি‌বে চিরত‌রে বিদায়,
একা প‌ড়ে র‌বে তু‌মি কব‌রে
‌কো‌নো সঙ্গ‌ি পা‌বেনা সেথায়।
ফে‌রেশতা এ‌সে বল‌বে তোমায়
‌লিখ তোমার পাপ পূণের হিসাব,
বল‌বে তু‌মি, নাই খাতা কলম কা‌লি
‌কিভা‌বে লি‌খি এতসব হিসাব।
‌ফে‌রেশতা বল‌বে, কাফ‌নের কাপড় ছি‌ড়ে
বানাও তে‌ামার হিসা‌বের খাতা,
আঙ্গুল‌ বানি‌য়ে কলম, থুথু‌র কা‌লি‌তে
‌লিখে যাও তোমার জীব‌নের হালখাতা।
এ‌কে এ‌কে লি‌খে যা‌বে তু‌মি
পাপ পূণের ‌হিসাব যতটা ,
নি‌জের হা‌তে লি‌খে যা‌বে সব
বাদ যা‌বেনা তার ছি‌টে ফোটা।
ফেরেশতা ব‌লবে সিল মা‌রো ত‌বে
‌তোমার লিখা আমল নামায়,
ন‌খের আঁচ‌ড়ে ক‌রো তা তু‌মি
এটাই তোমার একমাত্র উপায়।
‌নি‌জের আম‌লের নি‌জে স্বাক্ষী হ‌য়ে
স্বাক্ষর কর‌বে তু‌মি আমল নামায়,
লি‌খিত আমল নামা গলায় ঝু‌লি‌য়ে
‌ফে‌রেশতা নে‌বে ত‌বে চির বিদায়।
মুনকার ন‌কির ফে‌রেশতা এ‌সে
বস‌বে তোমার শিয়‌রে,
‌তিন‌টি প্রশ্ন জিজ্ঞা‌সিত হ‌বে
উত্তর দি‌তে হ‌বে সব বরাব‌রে।
‌দু‌নিয়ার জীব‌নে ক‌রেছ‌ো যা নেক আমল
কব‌রে হ‌বে তা তোমার জ্ঞা‌তি,
‌কিয়ামত পর্যন্ত থাক‌বে সে সা‌থে
‌হয়ে তোমার মহান সা‌থী।
‌নেককার বান্দা সব একসা‌থে হ‌য়ে
আডড্ডা জমা‌বে সবাই কব‌রে,
‌কেয়ামত পর্যন্ত থাক‌বে সবাই সেথায়
‌চির সুখ জান্না‌তের অ‌পেক্ষা ক‌রে।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

পরীক্ষাকে সামনে রেখে অভিভাবকদের দেয়া হয়েছে বেতন এবং পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার তাগাদা।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ স্কুল বন্ধ করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে। এরই মধ্যে কিছু স্কুলে চলছে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার তোড়জোড়। তাও আবার অনলাইনে।

পরীক্ষাকে সামনে রেখে অভিভাবকদের দেয়া হয়েছে বেতন এবং পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার তাগাদা।
ছবিগুলো চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে অবস্থিত সেন্ট মেরীস স্কুলের।
বেতন এবং পরীক্ষার ফি জমা দিতে স্কুলের নিদিষ্ট দিন বুধবার সকালে জড়ো হন কেজি ও প্রথম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা।
করোনাকালে শ শ অভিভাবকের বেতন জমার সময় মানা হয়নি সামাজিক দুরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রায় চারঘণ্টা ধরে চলে যজ্ঞ।
একটিমাত্র কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে জমা নেয়া হয় ফি। তারপর ক্লাস টিটারকে বেতন বই জমা দেয়া এবং পরীক্ষার খাতা কেনা সর্বত্রই ভিড়। যা প্রচলিত বাজার থেকেও অধিক।
প্রশ্ন হলো, এ ভুল কার। স্কুল কর্তৃপক্ষ নাকি অভিভাবকদের? কে নেবে এর দায়?
উৎসঃ ফেইসবুক

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০

ইব্রাহী‌ম (আঃ) এর স্বপ্ন ও কুরবানী: আব্দুল হান্নান চৌধুরী

 

ইব্রাহী‌ম এর স্মৃতি বিজ‌ড়িত প‌বিত্র এই ঈদুল আযহা

ত্যা‌গের ম‌হিমা‌য় উদ্ভা‌সিত গোটা মুস‌লিম উম্মাহ,
পশুর গলায় ছু‌রি দি‌য়ে কর‌বে ম‌নের পশুত্ব কুরবানী
রক্ত‌ে‌র বন্যায় ভে‌সে যা‌বে জীব‌নের যত পাপ গ্লা‌নি।
হজ্জ্ব‌ে‌র প্র‌তি‌ হুকু‌মে র‌য়ে‌ছে ইব্রাহী‌ম এর স্মৃ‌তি গাঁথা
মুস‌লিম‌ উম্মাহর অন্ত‌রে র‌য়ে‌ছে তার সম্মান পাতা,
লক্ষ মুস‌লিম জ‌ড়ো হ‌য়ে কাঁ‌দে আরাফা‌ত ময়দা‌নে
নিষ্পাপ হ‌য়ে ফির‌বে তারা ছ‌ড়ি‌য়ে যা‌বে সবখা‌নে।
শত পরীক্ষায় জর্জরিত ছিল‌ো ইব্রাহী‌ম এর জীবন
‌আল্লাহর প্র‌তি দৃঢ় বিশ্বাস তা‌কে করল‌ো উত্তোরণ,
শত বাঁধা ড‌িঙ্গ‌ি‌য়ে তি‌নি দি‌য়ে‌ছেন দ্বী‌নের দাওয়াত
‌দি‌য়ে গে‌লেন মুস‌লি‌মের তর‌ে মূল্যবান সওগাত।
নমরু‌দের খোদায়ীর বিরু‌দ্ধে প্রশ্ন ছু‌ড়লেন তি‌নি
অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হ‌লেন ঈমান তার কভু ট‌লে‌নি,
‌খোদার ইশারায় ইব্রাহী‌ম এর ত‌রে অগ্নি হ‌লো শীতল
সত্য ত‌বে বিজয় হ‌লো,মিথ্যা হ‌লো চিরত‌রে বিফল।
কো‌নো সন্তান ছিলনা কভু ইব্রাহী‌ম এর ছোট্ট ঘ‌রে
প্রভুর কা‌ছে দোয়া মা‌গে শুধু এক‌টি সন্তা‌নের ত‌রে,
অব‌শে‌ষে শেষ বয়‌সে প্রভু দিলেন তা‌কে সু সন্তান
আদ‌রের ধন ছিল সে যে ,ছিল সে পরা‌নের পরান।
প্রভু তা‌কে স্বপ্ন দেখা‌লেন কর‌তে সন্তান কুরবানী
‌চিন্তায় ছি‌লেন পরীক্ষায় কখন ফেল ক‌রে না জা‌নি,
‌বিবৃত কর‌লেন পুত্র ইসমাইল‌কে তার স্বপ্নের কা‌হিনী
পুত্র বল‌লেন,এ কা‌জে আমায় ধৈ‌র্যশীল পা‌বে তু‌মি।
অব‌শে‌ষে কুরবানী দি‌লেন আপন সন্তান‌কে ইব্রাহীম
‌খোদা তা‌তে খু‌শি হ‌য়ে দি‌লেন তা‌কে সম্মান অসীম,
যত‌দিন থাক‌বে এই পৃ‌থিবী, থাক‌বে হজ্জ্ব কুরবান
মুস‌লিম উম্মাহ স্মরণ কর‌বে তার এই প্র‌তিদান।
প্রকাশঃ ৭ আগষ্ট ২০২০

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০

রেমিটেন্স যোদ্ধা কুয়েত প্রবাসী রেজাউলের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সকলের প্রতি আহবান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধা কুয়েত প্রবাসী রেজাউলের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ মানবতা সেবী সকলের প্রতি আহবান 
সে আজ বড়ই অসহায় ও বিপদগ্রস্ত। ২০২০সালের ফেব্রূয়ারী মাসে সে চাকুরী হারায়। একই বছরের এপ্রিল মাসে সে কঠিন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়। চাকুরী না থাকায় আয়-রোজগার বন্ধ। ফলে সে কদিকে খাদ্য, ওষধ-পথ্য সংকটে ভুগছে।  অপর দিকে দেশে তার পরিবার-পরিজনের নিকট কোন টাকা-পয়সা পাঠাতে পারছে না। দেশেও রয়েছে তার অনেক ঋণ। পাওনাদার তার অসুস্থতা ও চাকুরী হারানোর সংবাদ পেয়ে ঋণ পরিশেধের জন্য ঘন ঘন চাপ দিচ্ছে। তাই সে এখন মানসিকভাবেও সমস্যাগ্রস্ত। চিকিৎসার জন্য রেজাউল কুয়েতে কোন সরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পাচ্ছে না। সেখানে গেলে তার কফিল (স্থানীয় মালিক) কে সাথে নিয়ে যেতে বলে। কফিল তার পাসপোর্ট রেখে তাকে বের করে দিয়েছে। কফিলতো তার সাথে যাবেও না বরং তার পাসপোর্ট আনতে গেলে তাকে নতুন মালিক নিয়ে যেতে বলে। অসুস্থতার কারণে সে নতুন চাকুরী, চিকিৎসা, পাসপোর্ট উদ্ধার কোনটাই করতে পাছে না। এ অবস্থা নিয়ে সে কয়েকবার এম্বাসীসহ গেলেও সব জায়গায় তাকে অবহেলা করা হয়েছে। তার অসুস্থতার কারণে তাকে সহযোগিতা না করে, এক প্রকার তাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় কুয়েতে অবস্থানরত বাংলাদেশী এই রেমিটেন্স যোদ্ধাকে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ মানবতার সেবায় নিয়োজিত সকল সংস্থা, ব্যক্তিবর্গ -গোষ্ঠীর প্রতি সবিনয় আবেদন জানিয়েছে রেজাউল করিম। বিশেষ করে এই মুহুর্তে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, যথাযথ চিকিৎসা আর সেই সাথে প্রয়োজন তার পাসপোর্ট উদ্ধার করা। রেজাউলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল নাম্বার: 0096599562317 প্রদান করা হলো যাতে ইমু সংযুক্ত আছে।  

রেজাউল করিম বাংলাদেশের নাগরিক প্রথমবার ২০০৬ সালে টাকা সংগ্রহ করে কুয়েতে যান। এর পর কয়েকবার দেশে আসেন। সে বিবাহিত তার স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান আছে। শেষবার সে ২০১৭ সালে কুয়েত প্রবাসী হয়েছে। সে ঋরগ্রস্ত। সে তার এবং তার মেয়ের ভবিৎষ্যত নিয়ে সংকিত। কুয়েতে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসী মানব দরদী ভাইগণ প্রদত্ত ইমু নাম্বারে যোগাযোগ করে প্রত্যক্ষ কোন সহায়তা করতে পারেন।

এই প্রতিবেদককে সে ফেইসবুকে ফ্রেইন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে। প্রতিবেদক তার প্রোফাইলে পরিচিত একটি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার চিত্র দেখে তাকে ফেইসবুকে ফ্রেইন্ডভূক্ত করে। পরে সে মেসেঞ্জারে প্রতিবেদককে কল করলে তার সাথে প্রতিবেদকে কথা হয়। কথা হয় কয়েকদিন। আলাপচারিতায় তার উল্লেখিত তথ্য জানতে পারেন। রেজাউলের সাথে কথা বলে এই প্রতিবেদকের ধারণা জন্মেছে যে তার দেয়া উপরোক্ত তথ্য সঠিক।   

গানের কবিতা : এখানে জীবনের মেরামত করা হয় - চৌধুরী গোলাম মাওলা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ (1985 সাল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তাৎক্ষণিকভাবে গেয়েছিলাম এই গানটির মুখ ও অস্থায়ী অংশ। সেদিন তা অনুষ্ঠানের আবহ সঙ্গীত হিসাবে পরিবেশন করেছিলাম। আজ দিলাম তার পূর্ণরূপ। আলহামদুলিল্লাহ।)

এখানে হাসপাতাল
এখানে জীবনের মেরামত করা হয়
এখানে হাসপাতাল..
জীবন ঘষে বাঁচাতে জীবন
অবিরাম রুদ্ধ প্রয়াস
কারো সূর্য যায় অস্ত
কারো বা আসে নতুন সকাল
এখানে হাসপাতাল ।।
এখানে ধনি আসে
এখানে গরিব আসে
কেউ হাসে আর কেউবা
চোখের জলে ভাসে
কাতর ধ্বনি কান্না হাহাকার
হাসি বেদনা সবই একাকার
দিবারাত্রির একই দৃশ্য
থামবে কি কোনো কাল ?
এখানে হাসপাতাল ...
এই যে হাসপাতাল নীরবে
দাঁড়িয়ে রয়
আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে শুধু
তার করুনার ভরসায়
এখানে জীবনের মেরামত করা হয়
এখানে হাসপাতাল ...
নামি ডাক্তার দামি ঔষধ
বিরল কত যে পথ্য !
চলে দৌড়ঝাঁপ যা কিছু সাধ্য
যমে ও মানুষে রশি টানাটানি
কী অনিশ্চিত যুদ্ধ !
হাসির ফোয়ারা ফুটবে
কারো-বা চোখে মুখে
ব্যথার অশ্রু বইবে
কারো ভেজা নিঃশ্বাসে
কোথাও জমবে প্রেম হাসি মেলা
কারোবা সাঙ্গ জীবনের খেলা
এমনই একদিন মৃত্যুতে ক্ষয়
কে রাখে সেই খেয়াল ?
এখানে হাসপাতাল ...
এই যে হাসপাতাল নীরবে
দাঁড়িয়ে রয়
জীবন ও মৃত্যুর তিনিই মালিক
আল্লাহু দয়াময়
এখানে জীবনের মেরামত করা হয়।
এখানে হাসপাতাল ...

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...