* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০

বসনিয়ার জঙ্গলে অবর্ণনীয় কষ্টে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য অবশেষে এসেছে সহায়তা।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ উন্নতজীবনের প্রত্যাশায় দালালের প্রলোভনের পড়ে অনেক বাংলাদেশী বাংলাদেশ ছাড়েন ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে যাওয়ার প্রত্যাশায় বিশেষ করে ইটালী যাওয়ার প্রত্যাশায়। 
এই অনিশ্চিত যাত্রায় আছে নানা দূর্ভোগ নানা কষ্ট। এমকি জীবন চরে যায়; তবুও থেমে নেই এই পথ যাত্রা। 

জার্মানীর ডয়েচেভেলের স্যেজন্যে এই সংবাদটি প্রচার করা হচ্ছে। বসনিয়ার জঙ্গল থেকে সরাসরি সংবাদটি প্রচার করেছেন ডয়েচেভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম এবং ক্যামেরায় ছিলেন অনুপম দেব কানুনগো।

বসনিয়ার জঙ্গলে প্রায় ৬০০ বাংলঅদেশী যুবক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের সেখানে থাকা, কাওয়া ও টয়লেট সারাও কোন ব্যবস্থা নাই। এমনি মানবেতর জীবন যাপন করে তার দালের মাধ্যমে ইটালী ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা কর যাচ্ছেন। 


বসনিয়ার এই   জঙ্গলে বসবাসরতরা জানায়, অনেকেই  প্রতমে ওমানে ছিলো সেখান থেকে ইরান তুর্কী হয়ে বসনিয়ায় এসে হাজির হয়েছে। তাদের অনেকের এই যাত্রা শুরু হয়েছে ৩মাস থেকে ৩ বছর আগে। এই যাত্রা নানা চড়াই উৎড়াই পেড়িয়ে এ পর্যন্ত তাদের আসতে হয়েছে। কখনো হেটে, কখনো নদী পথে স্পীডবোর্ডে ককনো গাড়িতে করে তাদের এই যাত্রা 

এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন মাধ্যমে অবহিত হয়ে  জার্মানীর ডয়েচেভেলের দুইজন সাংবাদিক বসনিয়ার এই শহরের কাছে জঙ্গলে এসে বাংলাদেশী এই বিপ দে পড়া বাংলাদেমী শরনার্থীদের সাক্ষাত কার গ্রহন করে প্রচার করলে। পরের দিন জাতিসংঘের আইওএম সংস্থা তাদের সাহায়ে এগিয়ে আসে। আইওএম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের লোগো সম্বলিত প্যাকেটে কিছু খাদ্য সামগ্রী ও জঙ্গলে গুমানোর জন্য স্লিপিং ব্যাগ প্রদান করে। 

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হান্নান নামের এর শরনার্থী জানান সে লাইনে দাড়িয়েছেন স্লিপিং ব্যাগ ও খাদ্য সাহায্যের জন্য।  সে আরো জানায় এখানে এই ধরনের সাহায্য আগে আর কখনো সে পায়নি।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আরেক শরনার্থী জাবেদ হোসেন জানান সংবাদ প্রচারে কারণেই এই সাহায্য এসেছে। তা নাহলে সম্ভব হতোনা। 

ডয়েচেভেলের সাংবাদিক ভিউয়ারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেন বাংলাদেশে এত উন্নয়নের পরও বাংলাদেশী যুবকেরা জীবনের এই ঝুকি নিয়ে বসনিয়ার জঙ্গলে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের মতামত দেয়ার আহবান সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম। 

সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম এর বর্ণনায় জানা যায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তার সেখানে


অবর্ণনীয় কষ্টে বসবাস করছিলো কোন ধরনের বিছানা বালিশ ছাড়াই, শুধু প্লাস্টিক বিছিয়ে। 

অনেকেই দাবী করেন তারা এখান থেকে দালালের মাধ্যমে মাঝে মাঝেই চেষ্ট করেন ইটালী ও পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্স এর মত দেশে যেতে। ফ্রান্স অনেকের পছন্দের দেশ। তাদের এই যাত্রা নানা জনের নানা কারণ রয়েছে। কেউ বলছেন আর্থিক সমস্যার কথা। কেউ বলছেন, উন্নত জীবনের আশায়, কেউ বলছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আশায়, কেউ বলছেন, তাদের দেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না।

একজন শরনার্থী নুরুল ইসলাম , এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই কাওয়ার ব্যবস্থা নেই, টয়লেটের পানির ব্যবস্থা নেই তারপরও কেন আপনি এখানে এমন যায়গায় আসলেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,  এসে বিপদে পড়েগেছি একনতো আম্রয়ের জন্য এখানে আসতে হয়। কেন আসলেন প্রশ্নের জবাবে বলেন ফেমিলীর আর্থিক অবস্থা খারাপ এই অবৈদ পথে ইউরোপ যাওয়ার জন্য এসেছেন।  উল্লেখ্য, এখানে একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ সিলেটে অধিবাসী। 

জানা যায় যাদের ঘরে টাকা আছে অথবা ধারদেনা করে তারা দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা-পয়সা এনে এখানে অনেক কস্ট করে চলেন। বাড়ি েথেকে ১০,০০০ টাকা আনলে দালালরা তাদের আট হাজার টাকা প্রদান করে। ক্রোয়েশিয়ার বর্ডারে ঢুকার সময় সেই দেশের পুলিশ তাদের নির্যাতন করে। জামা-কাপড়সহ টাকা পয়সা যা পায় সবরেখে শুধু আন্ডা ওয়ার পড়া অবস্থায় ছেড়ে  দেয়। প

প্রতিবার এমন প্রচেষ্টার নাম গেইম। প্রতিবারে জন্য শরনার্থীরা দালালদের প্রদান করেন বাংলাদেশী ৫,০০০ টাকা। আর যদি চুড়ান্তভাবে সফল হয়ে যায় তবে দালালদের দিতে হয় চারলাখ টাকা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...