জার্মানীর ডয়েচেভেলের স্যেজন্যে এই সংবাদটি প্রচার করা হচ্ছে। বসনিয়ার জঙ্গল থেকে সরাসরি সংবাদটি প্রচার করেছেন ডয়েচেভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম এবং ক্যামেরায় ছিলেন অনুপম দেব কানুনগো।
বসনিয়ার জঙ্গলে প্রায় ৬০০ বাংলঅদেশী যুবক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের সেখানে থাকা, কাওয়া ও টয়লেট সারাও কোন ব্যবস্থা নাই। এমনি মানবেতর জীবন যাপন করে তার দালের মাধ্যমে ইটালী ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা কর যাচ্ছেন।
এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন মাধ্যমে অবহিত হয়ে জার্মানীর ডয়েচেভেলের দুইজন সাংবাদিক বসনিয়ার এই শহরের কাছে জঙ্গলে এসে বাংলাদেশী এই বিপ দে পড়া বাংলাদেমী শরনার্থীদের সাক্ষাত কার গ্রহন করে প্রচার করলে। পরের দিন জাতিসংঘের আইওএম সংস্থা তাদের সাহায়ে এগিয়ে আসে। আইওএম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের লোগো সম্বলিত প্যাকেটে কিছু খাদ্য সামগ্রী ও জঙ্গলে গুমানোর জন্য স্লিপিং ব্যাগ প্রদান করে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আরেক শরনার্থী জাবেদ হোসেন জানান সংবাদ প্রচারে কারণেই এই সাহায্য এসেছে। তা নাহলে সম্ভব হতোনা।
ডয়েচেভেলের সাংবাদিক ভিউয়ারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন কেন বাংলাদেশে এত উন্নয়নের পরও বাংলাদেশী যুবকেরা জীবনের এই ঝুকি নিয়ে বসনিয়ার জঙ্গলে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের মতামত দেয়ার আহবান সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম।
সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম এর বর্ণনায় জানা যায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তার সেখানে
অনেকেই দাবী করেন তারা এখান থেকে দালালের মাধ্যমে মাঝে মাঝেই চেষ্ট করেন ইটালী ও পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্স এর মত দেশে যেতে। ফ্রান্স অনেকের পছন্দের দেশ। তাদের এই যাত্রা নানা জনের নানা কারণ রয়েছে। কেউ বলছেন আর্থিক সমস্যার কথা। কেউ বলছেন, উন্নত জীবনের আশায়, কেউ বলছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আশায়, কেউ বলছেন, তাদের দেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না।
একজন শরনার্থী নুরুল ইসলাম , এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই কাওয়ার ব্যবস্থা নেই, টয়লেটের পানির ব্যবস্থা নেই তারপরও কেন আপনি এখানে এমন যায়গায় আসলেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসে বিপদে পড়েগেছি একনতো আম্রয়ের জন্য এখানে আসতে হয়। কেন আসলেন প্রশ্নের জবাবে বলেন ফেমিলীর আর্থিক অবস্থা খারাপ এই অবৈদ পথে ইউরোপ যাওয়ার জন্য এসেছেন। উল্লেখ্য, এখানে একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ সিলেটে অধিবাসী।
জানা যায় যাদের ঘরে টাকা আছে অথবা ধারদেনা করে তারা দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা-পয়সা এনে এখানে অনেক কস্ট করে চলেন। বাড়ি েথেকে ১০,০০০ টাকা আনলে দালালরা তাদের আট হাজার টাকা প্রদান করে। ক্রোয়েশিয়ার বর্ডারে ঢুকার সময় সেই দেশের পুলিশ তাদের নির্যাতন করে। জামা-কাপড়সহ টাকা পয়সা যা পায় সবরেখে শুধু আন্ডা ওয়ার পড়া অবস্থায় ছেড়ে দেয়। প
প্রতিবার এমন প্রচেষ্টার নাম গেইম। প্রতিবারে জন্য শরনার্থীরা দালালদের প্রদান করেন বাংলাদেশী ৫,০০০ টাকা। আর যদি চুড়ান্তভাবে সফল হয়ে যায় তবে দালালদের দিতে হয় চারলাখ টাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন