বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ লকডাউনের পূর্বেই নেপালের embassy বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ২০০ নেপালী ডাক্তারকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নেপালে নিয়ে চলে গেছে।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল চট্টগ্রাম (দেবী শেঠীর হাসপাতাল) এর কার্ডিয়াক টিমের সব চিকিৎসক ও স্টাফ এই করোনা দুর্যোগে হাসপাতাল ছেড়ে তাদের দেশ ইন্ডিয়ায় চলে গেছে ।
এই করোনা দুর্যোগের মধ্যে নামী দামী এ্যাপোলো হাসপাতালও গতকাল বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। বসুন্ধরার ওই জায়গায় Ever Care নামে নতুন হাসপাতাল চালু হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলে আবার এপোলো হয়তো নতুন জায়গায় নতুন ভাবে আসবে।
অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসী ইতোমধ্যে তাদের প্রায় 300 নাগরিককে বিশেষ বিমানে করে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
আজ শুনলাম জাপানী নাগরিকরাও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ছেড়েছেন।
শুরু হতে যাচ্ছে করোনার ক্রিটিক্যাল ফেইজ।
একটা বৈশ্বীক মহাবিপর্যয় আমরা অতিক্রম করছি। এটা এমন একটা সময় যখন লাশের জানাযা কিংবা দাফন দেবার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা আক্রান্তের কথা শুনলে মানুষ তার বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলছে। আত্মীয়স্বজনরা লাশ হাসপাতালে রেখে পালাচ্ছে।
করোনা ক্রাইসিস কালীন কোন রোগী কোন হাসপাতাল দেখবে এ ব্যাপারে এতদিন নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় রোগী ভর্তিতে জটিলতা হচ্ছিল। ইতোমধ্যে এ জটিলতা নিরসন হয়েছে।
তবে করোনা আক্রান্ত রোগীর মূল চিকিৎসা Ventilator (লাইফ সাপোর্ট) যা দেয়ার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য ও পর্যাপ্ত ICU trained ডাক্তার আমাদের নেই। আমাদের দেশে ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, ক্রিটিকাল কেয়ার নার্স এবং অন্যন্য ক্রিটিকাল কেয়ার স্টাফের সংখ্যা এবং হাসপাতালে আইসিইউ বেড সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এই ক্রাইসিসের সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ গৃহে অবস্থান করুন।
দেশের চিকিৎসকদের উপরই ভরসা রাখুন এবং তাদেরকে উৎসাহিত করুন। মনে রাখুন চিকিৎসকরাও আমাদের মতো মানুষ, তাদেরও পরিবার পরিজন রয়েছে। চিকিৎসকদের মনোবল ভেঙ্গে গেলে এই মহাবিপর্যয় সামাল দেওয়ার কেউই থাকবে না।
কার্টেসী - ডা: মো: ইমরুল হাসান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন