* দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা*

ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র * সকল প্রকার একাউন্ট খুলতে * * টাকা জমা করতে * টাকা উঠাতে * * বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স এর টাকা বোনাসসহ উঠাতে * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্রে আসুন। * * দক্ষিণগাঁও শাহীবাগ বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র শনিবারসহ ৬ দিন খোলা* * প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ 01711-458151* 01700-925241*

বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

নারীকুলের ধারনা হয় জগতের সকল নারী নির্যাতিত, সকল পুরুষ জালিম

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ পুরুষ মানুষের যত ইনকামই থাকুক, তাদের হাতে সবসময় টানাটানি লেগেই থাকে। কারন তারা যতটা ইনকাম করে, নিজের পরিবারকে তারচেয়ে আরেকটু ভালো রাখার চেষ্টা করে।

যখন ইনকাম পাঁচ টাকা থাকে, তখন সাত টাকা এমনিই খরচ হয়ে যায়। পাঁচ টাকা থেকে ইনকাম বেড়ে যখন পনের টাকা হয়, তখন তারা ভাবে, টাকা বাড়ছে যখন আরেকটু বড় বাসা নিয়ে ফেলি, ছেলেটাকে আরেকটু ভালো স্কুলে দেই, বাবাকে আরেকটু ভালো হসপিটালে চিকিৎসা করাই। পনের টাকার ইনকামে তখন খরচ গিয়ে দাঁড়ায় পঁচিশ টাকায়।
এভাবে ইনকামের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে খরচ, নিজের পরিবারকে আরেকটু ভালো রাখার আশায়, তাদেরকে সবচেয়ে বেস্ট টা দেবার আশায়...
এইযে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করার বিরামহীন ক্লান্তিকর সংগ্রাম ছেলেরা আজীবন করে যায়, মেয়েরা সাধারনত এই জিনিসটা কখনো সেভাবে বুঝতে পারেনা।
তারা দেখে দশটা পাঁচটা অফিস করে বাসায় এসে পায়ের উপর পা তুলে পত্রিকা পড়া বা মোবাইল টেপা ভদ্রলোককে, তার মাথার ভেতর চলতে থাকা দুশ্চিন্তা বা কাঁধের উপর চেপে থাকা দায়ীত্বের বোঝা দেখতে পায়না। মাথার উপর থেকে এই বটগাছের বিশাল ছায়াটা সরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ উপলব্ধি করেনা একটা সংসারে একটা দায়ীত্বশীল পুরুষ মানুষের কী ভূমিকা!
যেমনভাবে একটা পুরুষ মানুষ কখনো বুঝতে পারেনা, সারাদিন ঘরে থাকার পরও একটা মেয়ে কেন ঘরটাকে টিপটপ গুছিয়ে রাখতে পারেনা, বাচ্চাদের যত্নে কেন অনিয়ম হয়, সময়মত সব কিছু রেডি কেন থাকেনা। কেন সে নিজেকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখেনা।
আর সব কাজ বাদ দিলে শুধু ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে একা দিন পার করাও কতটা ক্লান্তিকর হতে পারে, আর এদের সাথে নিয়ে করতে গেলে একটা সামান্য সাধারন কাজ কতটা ঝামেলাপূর্ন হয়ে যেতে পারে, এটা তাদের কখনো বুঝে আসেনা।
আমি বলি কি! এই বুঝতে না পারাটাই অনেক বেশী স্বাভাবিক, এইযে আমরা মেয়েরা, নিজেরা মা হবার আগ পর্যন্ত, কিংবা মা হবার পরেও আমাদের মায়েদেরকে কি ঠিকমত বুঝতে পেরেছি? কিংবা আমরা কি যতটুকু সুযোগ হয় তাদের সেবা করার চেষ্টা করি?
অধিকাংশই আমরা নিজেরা মা হয়েও এখনো নিজেদের মায়ের কাছ থেকে সেবা নেই। বাপের বাড়ি যাই আমরা রিল্যাক্স করতে। পুরুষ মানুষ বাবা হয়েও নিজের বাবার কষ্ট বোঝেনা, বুঝতে বুঝতে যতদিন লাগে ততদিনে তার নিজের সন্তান তাকে বলে, বাবা তুমি কিছু বুঝোনা। আর আমরা আশা করি ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা ভিন্ন ধরনের শরীর মন মস্তিষ্ক সম্পন্ন একজন মানুষ আমাদেরকে পুরোপুরি বুঝে ফেলবে।
জীবনসঙ্গীকে বোঝাটা সবসময় জরুরি না, কিন্তু আমি যে বুঝতে পারছিনা বা পারবোনা এইটা বোঝা জরুরি। আমি যা দেখি যতটুকু বুঝি তার বাহিরেও আরও ব্যাখ্যা আরও কারন থাকতে পারে, এই বোধ টা থাকা জরুরি।
এটুকুও না বুঝলে, পুরুষ মানুষ তার কলিগকে গিয়ে বলে, সারাদিন এত কষ্ট করি ভাই পরিবারের জন্যই তো? বাসায় গিয়েও একটু শান্তি পাইনা। বাচ্চাদের চিল্লাচিল্লি, অগোছালো বাসা, বউয়ের শুধু অভিযোগের ঝুলি। এ জীবন আর ভালো লাগেনা।
মেয়েরা বান্ধবীর কাছে বলে, সারাদিন ছোট বাচ্চা নিয়ে সবকিছু কত কষ্ট করে ম্যানেজ করি, উনি এসে একটু বাচ্চাদের রাখবে তা না, এসেই রাগারাগি শুরু সবকিছু নিয়ে। এ জীবন আর ভালো লাগেনা।
অতঃপর নারীকুলের ধারনা হয় জগতের সকল নারী নির্যাতিত, সকল পুরুষ জালিম।
পুরুষকুলের ধারনা হয় জগতের সকল মহিলা অলস অকর্মন্য, জামাইকে জ্বালিয়ে তামা তামা করে ফেলা তাদের একমাত্র কাজ।
অতঃপর ফেসবুকের বাজারে বিতর্কের আসর বসে, সবাই নিজের নিজের দেখা এবং শোনা অভিজ্ঞতার কষ্ঠিপাথরে জগৎ-সংসারকে যাচাই করতে আসে৷ অন্যের চোখে দুনিয়া দেখার চেষ্টা খুব কম মানুষই করে।
পরিশিষ্ট: এতসব ক্যাচালের বাইরেও কিছু পরিবার আছে, যে পরিবারের পুরুষরা নিজেদের সব দুশ্চিন্তা একপাশে সরিয়ে রেখে পরিবারের সাথে হাসিমুখে সময় কাটায়, বাচ্চাদের আখলাক গঠনে সময় দেয়, স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার খবর নেয়, তার কাজ সহজ করার ফিকির করে।
যে পরিবারের নারীরা শত ঝামেলার মধ্যেও ঘরটাকে পরিপাটি করে রাখে, বাচ্চাদের উত্তম তরবিয়ত দেয়ার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে, নিজেকে গুছিয়ে রাখে, স্বামীকে সাধ্যমত মানসিক প্রশান্তিতে রাখে।
আর আমরা, নিজেদেরকে গুনাহ আর অলসতার সাগরে ডুবিয়ে রেখে আশা করি আমাদের ঘরে ঘরে অটোমেটিক উত্তম আখলাক সম্পন্ন সুসন্তান তৈরি হয়ে যাবে! যারা একদিন সমাজকে বদলে দিবে।
লেখিকাঃ জোবায়দা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা.

  বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  প্রতিবছর ঈদ আসে আমাদের জীবনে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। তাই এ দিন সকল কালিমা আর কলুষতাক...