যেহেতু এই ধরনের
জনপদ গুলোতে জনসমর্থনহীন একটি শাসক গোষ্ঠী
দীর্ঘদিন ক্ষমতা
আঁকড়ে পড়ে থাকতে
চায়, বিভিন্ন শক্তিশালী বহি:শক্তির তাঁবেদারি তাদের জন্য ফরজ
হয়ে দাঁড়ায়। এরা
তখন দাবার ঘুঁটি
হিসেবে ওই সকল
শক্তিশালী প্রভাবক শক্তিসমুহের ইশারায়
চালিত হতে থাকেন,
ইচ্ছায় হোক আর
অনিচ্ছায় হোক!
এতে সেই জনপদে
যেহেতু জনসাধারণের উপর
শাসক গোষ্ঠীর স্বাভাবিক কন্ট্রোল থাকে
না , জোর পূর্বক
কন্ট্রোল করে
শাসন কাজ অব্যাহত রাখতে হয়- সেহেতু
সেখানকার লোকজন
যারা যুগের পর
যুগ নির্যাতিত ও
নিষ্পেষিত হন,
তাঁরা দিন দিন
অস্বাভাবিকতার দিকে
অগ্রসরমান হতে
থাকেন!
আর এই অবস্থায় দেশের স্বাধীনতা ও
সার্বভৌমত্ব হুমকির
সম্মুখীন হওয়ার
ও সম্ভাবনা থাকে।
এমনকি হঠাৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট
হওয়ার মত ঘটনা
ঘটার ঝুঁকি যেমন
থাকে, তেমনি এই
ধরনের জনপদ ধীরে
ধীরে গৃহ যুদ্ধের দিকে ধাবমান হওয়া
ও বিচিত্র নয়।
কারণ পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতি, সন্দেহ- অবিশ্বাস, সীমাহীন বঞ্চনা,
জানমালের নিরাপত্তাহীনতা, ভঙ্গুর অর্থনীতি, কিছু অযোগ্য ও
অথর্ব জনসমর্থনহীন লোকের
অপশাসন, সম্প্রদায়ভুক্ত রেষারেষি থেকেই মূলত: এসবের
উৎপত্তি ঘটে।
আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিতে আজ উপরের সকল
বিষয়ই বিদ্যমান। তাই
দেশের বিবেকবান, দেশপ্রেমিক , সত্যিকারের সুশীল
চিন্তকবর্গ এই
বিষয়ে দ্রুত জনমত
গঠন করে এই
শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে যত দ্রুত
উত্তরণ করার চেষ্টা
করবেন, তত ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে
আমি বিশ্বাস করি।
সবার আগে আমাদের
এই দেশ "বাংলাদেশ", এই দেশের
স্বাধীনতা ও
সার্বভৌমত্ব- এরপর
ব্যক্তি ও
দল, তিনি যেই
হোন না কেন!
অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক গোলামীর জিঞ্জীর পরিহিত অবস্থায় স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন কখনোই সম্ভবপর নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন