এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ফেনী শহরে দুইবার তাঁর বাসায় যাওয়ার আমার সুযোগ হয়। তাঁর বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য জনাব জিয়া উদ্দিন বাবলুর বিয়ের অনুষ্ঠানেও আমি অংশগ্রহণ করি। মাঝে মধ্যে কোন উপলক্ষে দেখা সাক্ষাৎ হলে আমরা অতীতের অনেক অম্ল মধুর স্মৃতি রোমন্থন করতাম। আমি বিভিন্ন সময়ে যেই সব কৌতুক বলে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছি তিনি অনায়াসে সেগুলো বলে আমাকে রোমাঞ্চিত করতেন। আমার ছাত্র কিংবা শিষ্যের দেখা পেলে সালাম পৌঁছাতেন।
বাহ্যিক অবয়বে তিনি যেমন ছিলেন সুন্দর আত্মিক দিক দিয়েও তেমন ছিলেন বরফের মত স্বচ্ছ ও নির্মল। চলনে বলনে আভিজাত্যের ছাপ ছিল। মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অসাধারণ গুণ ছিল তাঁর। অনেক জনহিতকর কাজের সাথে যুক্ত থেকে তিনি আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে অনবদ্য অবদান রাখেন।
চাঁদগাঁও আবাসিক এলাকা এবং সেখানকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়নে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করেন। করোনাকালীন সময়েও তিনি আর্ত- মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন এবং সরকারী ও বেসরকারী ফান্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন।
এই করোনাযোদ্ধা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আমি তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছিলাম। কিন্তু একটু আগে আমার একান্ত স্নেহভাজন ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান আমাকে ফোনে নিশ্চিত করেছেন যে, জনাব হাসান মাহমুদ চৌধুরী কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।
আমি মরহুমের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর সকল দ্বীনি খিদমাত কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করার জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি।
আব্দুল কাদেরের ওয়াল থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন