বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে খানিকটা পথ অতিক্রম করার পরে আবার ভারতে প্রবেশ করতো। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ বছর পর সেই পথ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ব্রডগেজ রেললাইনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর ঐ রেলপথের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রেলপথ আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ শেষ করা হবে।
তিনি জানান দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ভারত তাদের দেশের ভেতরের রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হলেই রেল চলাচল শুরু করা যাবে।
ভারত থেকে বাংলাদেশ ঢুকে আবার ভারতে
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ২০১১সালে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের সময় এই রেলপথের বিষয় একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় অংশে কাজ শুরু হলেও, একটু দেরিতে শুরু হয় বাংলাদেশ অংশের কাজ। ২১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের সময় ভারতীয় হাইকমিশনার রীতা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, একসময় দার্জি লিং মেইল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে রেল, রানাঘাট, ভেড়ামার, হার্ডিজ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পর্বিতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, ভারতের হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে চলাচল করতো। সেটার আদলেই এই পথে আবারও দুই দেশের মধ্যে রেল চালু হবে।
এর ফলে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা একটি রেল বাংলাদেশর ভূখন্ডে প্রবেশ করে খানিকটা পথ পাড়ি দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করে গন্তব্যে পৌছুবে। এভাবে যাতায়াতের ফলে ভারতের রেলে যাত্রাপথ অন্তত ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫৩৭ কিলোমিটার।
চিলাহাটি থেকে পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হলে ভারত ও বাংলাদেশের মূল রেল পথের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হবে।
২০২০সালের জুলাই মাস নাগাদ এই পথে রেল যোগাযোগ চাল করতে চায় দুই দেশের সরকার।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন