বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃআল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদল লোককে কিছু দান করলেন। সা‘দ (রাঃ) সেখানে বসেছিলেন।
সা‘দ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দিলেন অথচ এক ব্যক্তিকে কিছুই দিলেন না। অথচ বঞ্চিত সে ব্যক্তি আমার নিকট তাদের চেয়ে অধিক পছন্দের ছিল। তাই আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রসূল! অমুক ব্যক্তিকে আপনি বাদ দিলেন কেন? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু’মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ না, মুসলিম।
তখন আমি কিছুক্ষণ নীরব থাকলাম। অতঃপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি, তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছে হলো। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম, আপনি অমুককে দান করা থেকে বিরত থাকলেন? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু‘মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ ‘না, মুসলিম।’ তখন আমি কিছুক্ষণ নীরব থাকলাম।
তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আবার বললাম, আপনি অমুককে দান হতে বাদ রাখলেন? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে মু‘মিন বলেই জানি। তিনি বললেনঃ ‘না, মুসলিম।’ তখন আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম।
তারপর আমি তার সম্পর্কে যা জানি তা (ব্যক্ত করার) প্রবল ইচ্ছা হলো। তাই আমি আমার বক্তব্য আবার বললাম। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় সেই একই জবাব দিলেন।
তারপর বললেনঃ ‘সা’দ! আমি কখনো কখনো আমার প্রিয় ব্যক্তিকে বাদ দিয়েও অন্য কোনো ব্যক্তিবিশেষকে দান করি। এমনটা আমি এই আশংকায় করি, এত সহজে পেয়ে গেলে এবং তার কাছে সব নেয়ামতের প্রাচুর্যতা চলে আসলে তার মধ্যে ঈমান নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে, এমনকী সে ঈমান থেকে বেরিয়েও যেতে পারে। যার পরিণামে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করবেন।
(এ হাদীস ইউনুস, সালিহ, মা‘মার এবং যুহরী (রহঃ)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র যুহরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারি: ১৪৭৮; মুসলিম ১/৬৮ হাঃ ১৫০)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন